মানুষ অপরাধ বা গুনাহ করবে এটাই
স্বাভাবিক। তবে সেই গুনাহ থেকে
মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ বিভিন্ন
ধরণের সুযোগ করে দিয়েছেন। তেমনি
একটি হল নফল আমল। এটি করলে সওয়াক
আছে, তবে না করলে গুনাহ নেই।
এবার আমরা এমন একটি আমলের বিষয়ে
জানাব, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিরমিযি
শরীফে হযরত মা’কাল ইবনে ইয়াসার
(রাঃ) এর বর্ণিত রেওয়ায়েত ।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন : যে ব্যক্তি
সকালে ৩
বার ‘আউযুবিল্লাহিস্সামিউল
আলিমি মিনাশ শাইতোয়ানির
রাজিম” পাঠ করার পর সুরা হাশরের
সর্বশেষ তিন আয়াত পাঠ করিবে
আল্লাহ তায়ালা তাহার জন্য ৭০
হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে
দিবেন, তারা সন্ধ্যা পর্যন্ত
পাঠকারীর জন্য রহমতের দোয়া করবে।
যেদিন এই আয়াত তিনটি পাঠ করিবে
শহীদের মউত হাসিল করিবে। যে
ব্যক্তি সন্ধ্যায় এভাবে পাঠ করিবে
সেও একই মর্তবা লাভ করিবে।
আয়াত তিনটি হল :
ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﻋَﺎﻟِﻢُ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐِ ﻭَﺍﻟﺸَّﻬَﺎﺩَﺓِ ﻫُﻮَ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦُ
ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ
হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা
হু। আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাতী
হুয়ার রাহমানুর রাহীম।
ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﻤَﻠِﻚُ ﺍﻟْﻘُﺪُّﻭﺱُ ﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻡُ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻦُ
ﺍﻟْﻤُﻬَﻴْﻤِﻦُ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ ﺍﻟْﺠَﺒَّﺎﺭُ ﺍﻟْﻤُﺘَﻜَﺒِّﺮُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﻤَّﺎ ﻳُﺸْﺮِﻛُﻮﻥَ
হু আল্লা হুল্লাজী লা(আ) ইলাহা ইল্লা
হু। আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল ম্যু মিনুল
মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল
মুতাকাব্বির। ছুব হানাল্লাহী আম্মা
ইউশরিকুন।
ﻫُﻮَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺨَﺎﻟِﻖُ ﺍﻟْﺒَﺎﺭِﺉُ ﺍﻟْﻤُﺼَﻮِّﺭُ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺄَﺳْﻤَﺎﺀ ﺍﻟْﺤُﺴْﻨَﻰ ﻳُﺴَﺒِّﺢُ ﻟَﻪُ
ﻣَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻫُﻮَ ﺍﻟْﻌَﺰِﻳﺰُ ﺍﻟْﺤَﻜِﻴﻢُ
হু আল্লাহুল খালেকুল বারিয়্যুল
মুছাওরেলাহুল আছমা(আ)উল হুছনা। ইউ
ছাব্বিহু লাহু মা ফিছ ছামা ওয়াতি
ওয়াল আরদ্ ওয়া হুয়াল আজীজুল হাকীম।“
অর্থ : তিনিই আল্লাহ, যিনি ব্যতীত
(সত্য) কোন মা’বুদ নেই, তিনি অদৃশ্য এবং
পরম দয়ালু। তিনি মহান বাদশাহ, অত্যন্ত
পবিত্র, শান্তিদাতা,
নিরাপত্তাবিধানকারী,
রক্ষণাবেক্ষণকারী, সম্মানের
অধিকারী, মহত্তের অধিকারী,
গর্বকারী, মুশরিকদের শিরক হতে
আল্লাহ তা’য়ালা পবিত্র।
তিনি আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা, সঠিকভাবে
প্রস্তুতকারী, আকৃতিদানকারী, তাঁহার
জন্য সুন্দর সুন্দর নাম রহিয়াছে।
আসমানসমূহে ও জমিনে যাহা কিছু
আছে সবই তাঁহার পবিত্রতা বর্ণনা করে
এবং তিনি সম্মানের অধিকারী মহান
কৌশলী।