একবার এক নওমুসলিম বন্ধুর সাথে
ভ্রমণে বেরহলাম। পথিমধ্যে
নামাজের সময় হলে, একসাথেই
মসজিদে নামাজে গেলাম। তো
আমি অল্পসময়েই ক্বসর আদায় করে
মসজিদ থেকে বেরিয়ে এলাম।
কিন্তু নওমুসলিম বন্ধুটি নামাজ
শেষকরে মসজিদ থেকে বেরুতে
পৌনে একঘণ্টা লাগিয়ে দিলো।
আমি বিরক্ত হচ্ছিলাম, এই লোকটি
কি আমাকে একটুও অনুসরণ করতে
পারে না! কেমনে আমাকে বাইরে
দাঁড় করিয়ে রেখেছে! আমি
মনেমনে এইসব ভাবছিলাম।
.
নম্রতার সাথে আমাকে বললো-
‘আসলে তোমরাতো ছোট থেকেই
আল্লাহর কথা শোনতেছো, তোমরা
মুসলিম পরিবারে জন্মেছো, তাই
অল্পসময়ে কত সহজেই তোমরা
নামাজে একাগ্রতা আনতে পারো,
আল্লাহর সাথে কথা বলতে পারো।
কিন্তু আমার তো আধাঘন্টা লেগে
যায় নামাজে একাগ্রতা আনতে, এই
অবস্থা তৈরি করতে যে, আমি
আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আছি।
তুমি দয়াকরে আমাকে এমন পন্থা
বলে দাও যে, কী-ভাবে অল্পসময়ে
সহজেই নিজেকে আল্লাহর কাছে
সমর্পণ করতে একাগ্রতা আনতে
পারি।’
.
তাঁর কথা শোনে আমার চোখদিয়ে
লজ্জায় আমার মাথা নত হয়ে
গেলো, আমার অন্তরে নিজের
ঈমানের দুর্বলতা ছাড়া কিছুই
পেলাম না।
— অনুবাদ করেছেন আবু সাঈদ
মুহাম্মাদ উমর