যার জন্ম আছে তার মৃত্যুও নিশ্চিত।
কিন্তুমৃত্যুর পর মানুষের কী হয়?
মানুষ কোথায় যায়? পরজগত আসলে কেমন? এমন হাজার প্রশ্ন সবার মনে!সাধারণত ধর্ম বিশ্বাসী মানুষদের দুটো স্থানের ধারণা থাকে
♦♦১. বেহেশত বা স্বর্গ, ২. দোজখ বা নরক। যারা পৃথিবীতে ভালো কাজ করে, তাদের জন্য বেহেশত আর যারা খারাপ কাজ করবে, তাদের জন্য দোজখ।কিন্তু এই আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে মৃত্যুর পরের জীবন নিয়েও হয়েছে গবেষণা। এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা নানা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন।দেখা গেছে, অনেকেই কিছু সময়ের জন্য মারা যায়।
♦♦অবিশ্বাস্যভাবে আবার জীবনে ফিরে আসে। তারা সঙ্গে নিয়ে আসে আত্মার জগতের একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা।
প্রায় সহস্র মানুষ তাদের এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন নানা সময়। অনেকেই নারকীয় বা স্বর্গীয় রাজ্যের কথা বলেছেন। কিন্তু এর বাইরেও একটা বর্ণনাআছে।
♦♦যা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, সে বর্ণনা অধিকাংশের ক্ষেত্রে একই রকম।ডা. মিশেল নিউটন একজন মনোবৈজ্ঞানিক যিনি ‘হিপনোথেরাপি’ বিশেষজ্ঞ। তিনি মানুষকে বশীভূত করে মানুষের মনের পুরাতন এবং গোপন কথা বাইরে আনেন। তারই একটি বই `আত্মার যাত্রা এবং আত্মার লক্ষ্য’।
♦♦যেখানে তিনি তার চার যুগের মৃত্যু ফেরতদের উপর গবেষণারকথা লিখেছেন। আশ্চর্যজনকভাবে সবাই একই কথা বলেছেন।তারা অধিকাংশ যা বলেছেন, তা প্রায় সকলের ক্ষেত্রে খুব সুন্দরভাবে মিলে যায়।
♦♦সেই সববর্ণনা থেকেই একটা চিত্র পাওয়া যায়। মানুষমরে গেলে আসলে কী ঘটে?বর্ণনার সেই ৯টি চিত্র হলো:মৃত্যুর পর সবার প্রথমে জীবনের সেরা সময় এবং সবচে খারাপ সময়ের কথা মনে আসে। ঠিক সিনেমার মতো চোখের মধ্যে ভেসে ওঠে সব বিশেষ মুহুর্তগুলো।সকলেই বলে যে, তারা মরে যাওয়ার পর একটা আলোক রশ্মি দেখেছে। তারপর ধীরে ধীরে সে আলো তাদের চুম্বকের মতো কাছে টানে।
♦♦যেন নিজের আত্মার ঘরে ফিরে যাচ্ছে সে।
♦♦সে আলো অনেক স্নিগ্ধ এবং উষ্ণ।আত্মা শরীর ছেড়ে বাইরে আসার পর, সে আত্মা আশেপাশের সব কিছু দেখে এবং শুনতে পায়।অনেকেই দেখে, তার শরীর থেকে আত্মা বের হয়ে যাচ্ছে শরীরটি পিছে ফেলে। এ সময় একটা ভয় কাজ করে ভেতরে।
♦♦এর পরের ধাপে দেখা হয়, পূর্বের মৃত নিকটআত্মীয়দের সাথে। অনেকেই সেখানে দেখেছে যে, তার নিকটজনেরা তাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং তারা সকলে মিলে আড্ডা দিচ্ছে।মৃত্যুর পর জীবনে ফিরে আসা অনেকেই জানিয়েছে যে তারা শান্তি এবং নিস্তব্ধতার বিষয়টি মাত্রাধিক অনুভব করে। আর আসলে কী ঘটেছে, তা অন্যদের ঠিকভাবে বুঝিয়েও বলতে পারে না।অধিকাংশ বলেছেন, তারা এক বা একাধিক দেবদূত দেখেছেন। যারা তাদের সাহায্য করেছে মৃত্যু যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে এবং এই দেবদূতরা বিপদে পড়া মানুষদেরও সাহায্য করেন। যদিও মৃত্যুর পর মানুষের কোনো শরীর থাকে না। তবু তখনও নিজেকে আলাদা একটা সত্তা বলে মনে হয়।মৃত্যুর পর মানুষের পুরো জীবন চোখের সামনেক্ষণিকের জন্য ভেসে ওঠে। যার মাধ্যমে মানুষ তার করে যাওয়া কাজের একটা ধারণা পায় এবং সে সময় মনে হয়, পৃথিবীতে আবার ফেরত এসে অপরিপূর্ণ কাজগুলো শেষ করা যায় কি না……….
শেয়ার করুন…….
ধন্যবাদ…….
ট্রিকবিডির সাথে থাকুন…….