কবুলের সময় ও যেই দুয়াগুলো বেশি কবুল হয়…
কিছু কিছু সময় আছে বা এমন কিছু দুয়া আছে যা আল্লাহ খুব দ্রুত কবুল করে থাকেন। এরকম কিছু দুয়া হচ্ছেঃ।।।।।।।।।।।।।।
♦♦♦♦♦
১. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে তাহাজ্জুদের সময় যেই দুয়া করা হয় আল্লাহ সেটা সবচাইতে বেশি কবুল করে নেন। এই দুয়া করার জন্য সর্বোত্তম হচ্ছে, রাতের বেলা তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যাওয়া। রাতের শেষ তৃতীয়াংশে ঘুম থেকে উঠে ওযু করে অন্তত ২ রাকাত বা সম্ভব হলে আরো বেশি তাহাজ্জুদের নামায পড়ে সজীবতার সাথে আল্লাহর কাছে অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয়, বিনয়, আশা ও দুয়া কবুল হবে এমন দৃঢ়তা নিয়ে কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে দুয়া করা।
♦♦♦ মা-বোনেরা ঋতুকালীন অসুস্থতার সময় নামায না পড়েও দুয়া করতে পারবেন, দুয়া কবুলের সময়ের ফযীলত তারা ঠিকই পাবেন।
এই সময় হিসাব করার নিয়ম হচ্ছেঃ মাগরিবের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার সময় থেকে ফযর ওয়াক্ত শুরু হওয়া পর্যন্ত সময়কে ৩ দ্বারা ভাগ করে শেষ তৃতীয়াংশের সময়টাই হচ্ছে দুয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়।
♦♦♦♦
রাত এমন একটা সময় যখন প্রত্যেকে তার আপনজনের সঙ্গে অবস্থান করে। এ সময় একজন মুমিন ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক গভীরতর করার সুযোগ গ্রহণ করে থাকে। আর এটা এমন এক সময় যখন দুআ কবুল করার জন্য আল্লাহর ঘোষণা রয়েছে।
♦♦♦♦♦
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল, ‘কোন দো‘আ সর্বাধিক শোনা (কবুল করা) হয়?’ তিনি বললেন, “রাত্রির শেষভাগে এবং ফরয নামায সমূহের শেষাংশে”।
তিরমিযী ৩৪৯৯, ইমাম তিরমিযী ও শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ।
♦♦♦♦♦
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“রাতের এমন একটা সময় আছে যখন মুমিন বান্দা আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের যা কিছু চায় আল্লাহ তা দিয়ে দেন। আর এ সময়টা প্রতি রাতে। (মুসলিমঃ ৭৫৭)
♦♦♦♦♦♦
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেনঃ
“প্রতি রাতে যখন রাতের এক তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তখন আমাদের প্রতিপালক পৃথিবীর নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করেন। তখন তিনি বলেনঃ “কে আছে আমার কাছে দুআ করবে আমি কবুল করব? কে আমার কাছে তার যা দরকার প্রার্থনা করবে আমি তাকে তা দিয়ে দেব? কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি ক্ষমা করে দেব”। (বুখারীঃ ১১৪৫, মুসলিম)
♦♦♦♦♦♦♦
২. প্রত্যেক ফরয নামাযের শেষে যেই দুয়া করা হয় সেটাও দুয়া কবুলের শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময় দুয়া মাসুরা বা হাদীসে বর্ণিত যেই দুয়াগুলো আছে সেইগুলো করা ভালো। এছাড়া কেউ অন্য যেকোনো দুয়া দুনিয়া আখেরাতের কল্যানের জন্য দুয়া করতে পারে। বিশেষ করে নিজের জন্য নিজের মাতা-পিতা, ভাই-বোন, বা যেকোনো মুসলিমের জন্য দুয়া করতে পারে। কুরআনে বর্ণিত দুয়াগুলো যেমন রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া…রাব্বির হা’মহুমা কামা…এই দুয়াগুলোও করতে পারবে।
♦♦♦♦
***নামাযের শেষে অর্থ হচ্ছেঃ প্রত্যেকে ফরয নামাযের তাশাহুদ ও দুরুদ পড়ার পরে সালাম ফেরানোর আগে দুয়া মাসুরার সময় যেই দুয়াগুলো করা হয় সেই সময়, সালাম ফিরানোর পরে না, আগে। এই অর্থ করেছেন শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা, ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম যাআদ আল-মাআ’দ ১/৩০৫।
শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন (রহঃ) বলেছেন,
“দুয়া করতে হবে তাশাহুদের পরে ও সালাম ফেরানোর আগে। আর সালাম ফেরানোর পরে করতে হবে মাসনুন যেই যিকিরগুলো আছে সেইগুলো। যেমনটা আদেশ করা হয়েছে, “অতঃপর যখন তোমরা নামায শেষ কর, তখন দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহর যিকির কর” (সুরা নিসাঃ ১০২)।
কিতাব আল-দুয়া, শায়খ মুহাম্মাদ আল-হামাদ, পৃষ্ঠা ৫৪।
পুরুষরা জামাতে পড়লে হয়তো খুব বেশি সময় পাবেন না, কিন্তু মা-বোনদের উচিত বেশি বেশি দুয়া মাসুরা বা কুরআন হাদীস থেকে গুরুত্বপূর্ণ দুয়াগুলো আরবীতে মুখস্থ করে ফরয নামাযে পড়া।
♦♦♦♦
৩. আযান ও ইকামতের মাঝখানে যেই সময়, সেই সময়ের দুয়া কবুল করা হয়।
মসজিদের মাইকে আযান দেওয়ার পরে মুসল্লিরা নামাযের জন্য একত্রিত হলে জামাত শুরুর আগে আরেকটা আযান দেওয়া হয় মসজিদের ভেতরে, সেটাকে “ইকামত” বলা হয়। অধিকাংশ মসজিদেই সাধারণত আযানের ১৫ মিনিট অথবা ৩০ মিনিট পরে ইকামত দেওয়া হয়। আর মাগরিবের ওয়াক্ত ছোট হওয়ায় আযানের ৪-৫ মিনিট পরেই ইকমত দেওয়া হয়। আযানের জবাব দেওয়ার পরে নামায শুরুর আগে ঐ সময়ে বেশিবেশি দুয়া করা উচিত।
♦♦♦♦♦
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত দুআ’ কখনই ফিরিয়ে দেওয়া হয়না”।
তিরমিযীঃ৩৫৯৪, আবু দাউদঃ৫২৫, শায়খ আলবানী ইরওয়াউল গালীলঃ ১/২৬২।
♦♦♦♦
৪. যেকোনো নামাযের সিজদার সময় দুয়া…
ফরয, সুন্নত, নফল যেকোনো নামাযের সিজদাতে দুনিয়া বা আখেরাতের যেকোনো কল্যানের জন্য সিজদার তাসবীহগুলো পড়ার পরে দুয়া করা যায়। আরবীতে দুয়া করতে পারলে ভালো। এইজন্য আরবীতে কুরআন ও হাদীস থেকে কিছু দুয়া মুখস্থ করা উচিত। কিন্তু কেউ আরবী না জানলে তিনি নফল ও সুন্নত নামাযে বাংলা বা ইংরেজীতে তার যা প্রয়োজন সেই দুয়া করতে পারবেন। কুরআনে বা হাদীসে বর্ণিত দুয়াগুলো যেমন রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া…রা
♦♦♦♦♦♦♦
ব্বির হা’মহুমা কামা…এই দুয়াগুলোও করতে পারবে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “বান্দা সিজদার অবস্থায় স্বীয় প্রভুর সর্বাধিক নিকটবর্তী হয়। অতএব তোমরা অধিক মাত্রায় (ঐ অবস্থায়) দো‘আ কর।”
♦♦♦♦♦♦
মুসলিম ৪৮২, নাসায়ী ১১৩৭, আবূ দাউদ ৮৭৫, আহমাদ ৯১৬৫
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “রুকুতে তোমরা রবের বড়াই বর্ণনা কর (অর্থা ৎ ‘সুবহানা রাবিবয়্যাল আযীম’ পড়)। আর সিজদায় দো‘আ করতে সচেষ্ট হও। কারণ, তোমাদের জন্য সে দো‘আ কবূল হওয়ার উপযুক্ত”।
মুসলিম ৪৭৯, নাসায়ী ১০৪৫, ১১২০, আবূ দাউদ ৮৭৬, ইবনু মাজাহ ৩৮৯৯, আহমাদ ১৯০৩, দারেমী ১৩২৫, ১৩২৬
♦♦♦♦♦
৫. যেকোনো প্রয়োজনে দুয়া ইউনুসঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যেকোনো প্রয়োজনে কোনো মুসলিম যদি দুয়া ইউনুস পড়ে, আল্লাহ তার দুয়া কবুল করবেন”।
সুনানে আত-তিরমিযী, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামিঃ ৩৩৮৩।
অন্য হাদীস অনুযায়ী, “দুয়া ইউনুস পড়লে আল্লাহ তার দুঃশ্চিন্তা দূর করে দেবেন”।
♦♦♦♦♦
উচ্চারণঃ লা ইলা -হা ইল্লা –
আনতা , সুবহা ’- নাকা ইন্নি
কুনতুম- মিনায -যোয়ালিমিন ।
অর্থঃ “( হে আল্লাহ) তুমি ছাড়া
আর কোনো মা ’বুদ নাই, তুমি
পবিত্র ও মহান ! নিশ্চয় আমি
জালেমদের অন্তর্ভুক্ত । ”
সুরা আল- আম্বিয়াঃ ৮৭।
♦♦♦♦♦♦
৬. রাতে ঘুম ভেঙ্গে গেলে দুয়া কবুলের একটা সময় আছে। এইজন্য মাঝরাতে ঘুম ভাংলে বা তাহাজ্জুদের জন্য ঘুম থেকে উঠার পরে প্রথমে একটা দুয়া পড়ে, পরে দুনিয়া বা আখেরাতের যেকোনো কল্যানের জন্য দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেন। ঘুম ভেঙ্গে গেলে প্রথম এইদুয়া করতে হবে…
♦♦♦♦♦♦♦
« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛﺒَﺮُ، ﻭَﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲِّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ » « ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔﺮْ ﻟِﻲ »
দুয়াটা পড়ে পরে অন্য দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করেন।
রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে জেগে উঠে বলে,
“লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্’দাহ লা-শারীকালাহু, লাহুল মুলকু, ওয়ালাহুল
হামদু, ওয়াহুয়া আ’লা কুল্লি শায়ইন ক্বাদীর। সুবহা’-নাল্লাহি, ওয়ালহা’মদু লিল্লাহি, ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার। ওয়া লা- হা’ওলা ওয়ালা- ক্বুওয়াতা ইল্লা- বিল্লা-হিল আ’লিয়্যিল আ’যীম। রাব্বিগফির লী”
তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। যদি সে দোআ’ করে, তবে তার দোআ’ কবুল হবে। যদি সে উঠে ওযু করে নামায পড়ে, তবে তার নামায কবুল করা হবে”। বুখারীঃ ফাতহুল বারীঃ ১১৫৪। হাদীসের ভাষ্য ইবন মাজাহ এর অনুরূপ। দেখুন, সহীহ ইবন মাজাহ্: ২/৩৩৫।
♦♦♦♦♦♦
৭. ৫ ওয়াক্ত নামাযের আযানের সময়ে দুয়াঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
আবু দাউদ, হাদীসটি সহীহ, সহীহুল জামিঃ ৩০৭৯।
♦♦♦♦
৮. বৃষ্টির সময়ে দুয়াঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“দুইটি বিষয় আছে এমন যেইগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়না, আযানের সময় দুয়া ও বৃষ্টির সময়ে দুয়া”।
আবু দাউদ, শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামিঃ ৩০৭৮।
♦♦♦♦♦
৯. যখন মোরগ ডাকে তখন দুয়া কবুল হয়। কারণ মোরগ আল্লাহর রহমতের ফেরেশতাদের দেখতে পেয়ে ডাকে।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে, তখন তোমরা আল্লাহ্র অনুগ্রহ চাইবে, কেননা সে একটি ফেরেশতা দেখেছে। আর যখন তোমরা কোনো গাধার স্বর শুনবে, তখন শয়তান থেকে আল্লাহ্র কাছে আশ্রয় চাইবে, কেননা সে শয়তান দেখেছে”।
বুখারীঃ ৩৩০৩, মুসলিমঃ ২৭২৯।
♦♦♦♦
১০. এছাড়াও লাইলাতুল ক্বদরের সময় দুয়া, যমযম পানি পান করার আগে দুয়া, মজলুমের দোয়া, অসুস্থ ব্যক্তির দুয়া, সন্তানের জন্য পিতার দুয়া, আরাফার দুয়া, অসহায় বিপদগ্রস্থের দুয়া, রোযাদারের দুয়া, ইফতারীর আগের দুয়া, জুমুয়ার দিনে বিশেষ একটা সময়ের দোয়া, অনুপস্থিত মুসলিমের জন্য যেউ দুয়া করা হয় সেটাও তার জন্য কবুল করা হয়।
♦♦♦♦♦
“ইসমে আযমের” উসীলায় দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেনঃ
নবী (সাঃ) এক ব্যক্তিকে তাশাহুদ ও দুরুদের পরে সালাম ফিরানোর আগে (দুয়া মাসুরা পড়ার সময়) এই দুয়া পড়তে শুনলেন। নবী (সাঃ) সাহাবাদেরকে বললেন, তোমরা কি জানো সে কিসের দ্বারা দুয়া করেছে? সাহাবারা বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল ভালো জানেন। তিনি বললেন, সেই মহান সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রান, নিশ্চয়ই এই ব্যক্তি আল্লাহর নিকট তাঁর “ইসমে আযম” বা সুমহান নামের উসীলায় দুয়া করেছে। “ইসমে আযমের” উসীলায় দুয়া করলে আল্লাহ সেই দুয়া কবুল করে নেন, আর কোনো কিছু চাইলে আল্লাহ তাকে তা দান করেন।
♦♦♦♦♦
আবু দাউদ, নাসায়ী, আহমাদ, বুখারীর আল-আদাবুল মুফরাদ, ত্বাবারানী ও ইবনে মান্দাহ “আত-তাওহীদ” গ্রন্থে (৪৪/২, ৬৭/১, ৭০/১-২), একাধিক সহীহ হাদীসে এসেছে।
ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺑِﺄَﻥَّ ﻟَﻚَ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪَ ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﻭَﺣْﺪَﻙَ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻚَ، ﺍﻟْﻤَﻨَّﺎﻥُ، ﻳَﺎ ﺑَﺪِﻳﻊَ ﺍﻟﺴَّﻤَﻮَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻳَﺎ ﺫَﺍ ﺍﻟْﺠَﻼَﻝِ ﻭَﺍﻟْﺈِﻛﺮَﺍﻡِ، ﻳَﺎ ﺣَﻲُّ ﻳَﺎ ﻗَﻴُّﻮﻡُ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟْﺠَﻨَّﺔَ ﻭَﺃَﻋُﻮﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺭِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হা’মদু লা-ইলা-হা ইল্লা-আনতা ওয়াহ’দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন , ইয়া বাদীআ’স্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল-আরদ্বি, ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম। ইয়া হা’ইয়্যু ইয়া ক্বাইয়্যুম, ইন্নী আসআলুকাল্ জান্নাতা ওয়া আউ’যু বিকা মিনান্না-র।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি কারণ, সকল প্রশংসা আপনার,
♦♦♦♦
কেবলমাত্র আপনি ছাড়া আর কোনো সত্য ইলাহ নেই, আপনার কোনো শরীক নেই, আপনি সীমাহীন অনুগ্রহকারী। হে আসমানসমূহ ও যমীনের অভিনব স্রষ্টা! হে মহিমাময় ও মহানুভব! হে চিরঞ্জীব, হে চিরস্থায়ী-সর্বসত্ত্বার ধারক! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাই। ♦♦♦♦♦♦
ফেসবুকে আমি