Site icon Trickbd.com

জেনে নিন কাদের উপর যাকাত ফরজ হয়েছে.সবাই জেনে রাখুন কাজে লাগবে

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালই আছেন,
রমজান মাসের প্রায় শেষের অর্ধে,
আজ থেকে নাজাতের ১০ দিন শুরু,
দশ দিন পরেই ঈদুল ফিতরের আনন্দ তো আসছেই,,,
এই আনন্দটা যাতে সবাই উপভোগ করতে পারে সেই জন্যেই ইসলাম ধর্মে যাকাত ফরজ করা হয়েছে
ইসলামে যাকাতের মাহাত্ম্য ও গুরুত্ব অপরিসীম। ধনীদের জন্য বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে যাকাত প্রদান করা ফরযে আইন। যাকাত প্রদানে বিরত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ইসলামি সরকারের জিহাদ পরিচালনা করে যাকাত প্রদানে বাধ্য করা ওয়াজিব। যাকাতের বিধান যে অস্বীকার করবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা নামাজ আদায় কর এবং যাকাত প্রদান কর। তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎকর্ম প্রেরণ করবে, তা আল্লাহর কাছে পাবে। তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ তা প্রত্যক্ষ করেন। ’ (সূরা বাকারা-১১০)।

সুস্থ মস্তিষ্ক, বালেগ মুসলমান নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে যাকাত আদায় করা তার ওপর ফরজ হয়ে যায়। (আদ্দুররুল ‍মুখতার ২/২৫৯)
অসুস্থ মস্তিষ্ক ও নাবালক শিশু-কিশোররের ওপর যাকাত ফরজ নয়। (রুদ্দুল মুহতার ২/২৫৮, ২৫৯)
যেসব জিনিসের ওপর যাকাত ফরজ
-সব ধরনের সম্পদ ও সামগ্রীর ওপর যাকাত ফরজ হয় না। যাকাত সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা এবং ব্যবসায়িক পণ্যের ওপর ফরজ হয়।
-সোনা-রুপার অলংকার সর্বদা বা কালেভদ্রে ব্যবহৃত হোক বা একেবারেই ব্যবহার না করা হোক, নেসাব পরিমাণ সর্বাবস্থায়ই তার যাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭০৫৪-৭০৬১)
-সোনা-রুপার অন্যান্য সামগ্রীর ওপরও যাকাত ফরজ হয়। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭০৬১, ৭০৬৬, ৭১০২)
-জামা কাপড় বা অন্য কোনো সামগ্রীতে সোনা-রুপার কারুকাজ করা থাকলে তা-ও যাকাতের নিসাবের অন্তর্ভূক্ত হবে এবং যে পরিমাণ সোনা-রুপার কারুকাজে লেগেছে অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে তারও যাকাত দিতে হবে। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭০৬৬)
-সোনা-রুপা ছাড়া অন্য কোনো ধাতুর অলংকার ইত্যাদি ব্যবসা-পণ্য না হলে সেগুলোর ওপর যাকাত ফরজ নয়। তেমনি হিরা, মণি-মুক্তা ইত্যাদি মূল্যবান পাথর ব্যবসা-পণ্য না হলে সেগুলোরও যাকাত ফরজ নয়। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭০৬১, ৭০৬৪)
-মৌলিক প্রয়োজন থেকে উদ্বৃত্ত টাকা-পয়সা নেসাব পরিমাণ হলে তার যাকাত আদায় ফরজ। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭০৯১, ৭০৯২)
-টাকা-পয়সা ব্যবসায়ে না খাটিয়ে এমনি রেখে দিলেও তাতে যাকাত ফরজ হয়। (আদ্দুররুল মুখতার ২/২৬৭)
-হজের উদ্দেশ্যে বা বাড়ি-ঘর নির্মাণ, ছেলে-মেয়েদের বিয়ে ইত্যাদি প্রয়োজনের জন্য যে অর্থ সঞ্চয় করা হয় তা-ও এর ব্যতিক্রম নয়। সঞ্চিত অর্থ পৃথকভাবে বা অন্যান্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নেসাব পরিমাণ হলে এরও যাকাত দিতে হবে। অবশ্য বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই তা যদি খরচ হয়ে যায়, তাহলে যাকাত দিতে হবে না।
-দোকান-পাটে যা কিছু বিক্রয়ের উদ্দেশে রাখা হয় তা ব্যবসায়িক পণ্য। এর মূল্য নেসাব পরিমাণে হলে যাকাত আদায় ফরজ। (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক ৭১০৩, ৭১০৪)
-ব্যবসায়ের নিয়েত কোনো কিছু ক্রয় করলে তা স্থাবর সম্পত্তি হোক যেমন- জমি, ফ্ল্যাট বা অস্থাবর যেমন মুদি সামগ্রী, কাপড়, অলংকার ইত্যাদি তা বাণিজ্য পণ্য বলে গণ্য হবে। এসবে মূল্য নেসাব পরিমাণ হলে যাকাত দেওয়া ফরজ। (কিতাবুল আসল ২/৯৮)