একজন মুসলিম কতগুলো গুনের সমাহারে তৈরী হয়। যেমন – সে আল্লাহ কেই একমাত্র প্রভু, বিধান দাতা, মালিক, সৃষ্টিকর্তা বলে মানে। পাশাপাশি দোয়া – ক্ষমা প্রার্থনা, দোয়া এসবের ভেতর অন্য কাউকে শরিক করেনা। সে জানে আল্লাহ সব জানেন ও দেখেন, তার ইবাদত ও দেখছেন, তার কালাম পাঠ করার সাথেই সওয়াব লেখা হয়ে গেছে। কেউ বলে দেওয়ার প্রয়োজন নেই । এর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সর্বশেষ বার্তাবাহক হিসেবে মানে। সে আরোও জানে এই দুনিয়াতে যে কোন ১ টা খারাপ কাজের কৈফিয়ত কেয়ামতের দিন তাকে দিতে হবে ও শাস্তির সম্মুখিন হতে হবে, আর প্রতিটা ভালো কাজের প্রতিদানে পুরষ্কার পাবে। এই ভয় কে সামনে রেখে সে আল্লাহ ও রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিষেধ করেছেন তা এড়িয়ে চলে বা পরহেজ করে চলে, আর আদেশ করেছেন ও করতে বলেছেন তা যত্নের সাথে পালন করে , কোন লোভ তাকে এই পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারেনা। এই গুণ গুলো কারোও মধ্যে থাকলে সে মুসলিম ঘরে জন্ম গ্রহন না করলেও কার্যত মুসলিম হয়ে যায়, আর এই গুণ গুলো কারোও মধ্যে না থাকলে সে মুসলিম ঘরে জন্ম গ্রহন করলেও কার্যত মুসলিম হয়ে যায় না, সে ইসলামের কথায় অমুসলিম বলে গণ্য।
এই গুন গুলো আয়ত্ব সাপেক্ষ, জানা ও শেখা সাপেক্ষ। না জানলে ও না শিখলে এই গুন আয়ত্ব করা যাবেনা। এ জন্যেই তো মুসলিম এর জন্য (নারী ও পুরুষ উভয়ই) জ্ঞান অর্জন করা ফরজ। ধর্মীয় ও জাগতী সব। কুফুরী জ্ঞান , যাদু বিদ্যা এসব নয়।
কালেক্টেড পোস্ট – (কিছুটা এডিটেড)
প্রচারে – বেশী জানতে বেশী পড়ুন