Site icon Trickbd.com

ফরজ নামাজের পর দোয়াটি পাঠ করলে সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়

Unnamed

ইসলাম ডেস্ক: চলার পথে আমরা অনেকেই জেনে না জেনে কতই গুনাহ করে থাকি। তবে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে গুনাহ থেকে মুক্তি লাভের কিছু পথ বলে দিয়েছেন। আর মহানবী (সা.) মহান আল্লাহ তা’য়ালার আদেশ ব্যাখ্যা করে উম্মতদের বুঝিয়ে দিয়েছেন।

গুনাহ মাফের দোয়াটি নিম্নরূপ:
আরবি দোয়া:
سُبْحَانَ اللهِ، اَلْحَمْدُ ِللهِ، اَللهُ أَكْبَرُ، لآ إلهَ إلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ-

বাংলা উচ্চারণ: সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার)। আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার)। আল্লাহু-আকবার (৩৩

বার)। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর (১ বার)। অথবা আল্লা-হু আকবার (৩৪ বার)।

অর্থ : পবিত্রতাময় আল্লাহ। যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সবার চেয়ে বড়। নেই কোন উপাস্য একক আল্লাহ ব্যতীত; তাঁর কোন শরীক নেই। তাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব ও তাঁরই জন্য যাবতীয় প্রশংসা। তিনি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী। (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৬, ৯৬৭, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘ছালাত পরবর্তী যিকর’ অনুচ্ছেদ-১৮)।

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,

‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয ছালাতের পর উক্ত দো‘আ পাঠ করবে, তার সকল গোনাহ মাফ করা হবে। যদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য হয়’। (মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৭)।

অন্য বর্ণনায় এসেছে,
তিনি আয়েশা ও ফাতেমা (রাঃ)-কে বলেন, তোমরা এ দো‘আটি প্রত্যেক ছালাতের শেষে এবং শয়নকালে পড়বে। এটাই তোমাদের জন্য একজন খাদেমের চাইতে উত্তম হবে’। (মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৮৭-৮৮, অধ্যায়-৯, ‘সকালে, সন্ধ্যায় ও শয়নকালে কি দো‘আ পড়তে হয়’ অনুচ্ছেদ- ৬)।

@@ইসলাম ডেস্ক

দেখুন….১০০ টি মারাত্মক কবীরা গুনাহ কী কী।