রহমান রহীম আল্লাহ্ তায়ালার নামে-
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ বন্ধুরা এবং সালাম জানাই আমার গুরুদের। কেমন আছেন আপনারা সবাই ? আশা করি আল্লাহ্ অশেষ রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং আমি দোয়া করি সবাই ভালো থাকুন আর ভালো রাখুন আপনার পিতা-মাতা এবং আপনার আশে-পাশের সকলকে ।
আমি এখন আপনাদের সাথে যে বিষয়টি শেয়ার করবো তা হলো মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর ঐতিহাসিক বিদায় হজ্বের ভাষণ।
৯ই জিলহজ্ব দশম হিজরী মহানবী মুহাম্মাদ (সাঃ) শুক্রবার ফজরের সালাত আদায় করে সূর্যোদয়ের পর মিনা হতে আরাফাহ ময়দানের পূর্বদিকে নমিরা নামক স্থানে তাঁবু স্থাপন করা হলে, সেখানে পৌঁছে দুপুর পর্যন্ত তথায় তাঁবুতে অবস্থান করেন। জুমার সালাত আদায় করে তিনি কচোয়া নামক উষ্ট্রীর উপর আরোহন করে আরাফা’র সন্নিকটে “আরনা”প্রান্তরে উপস্থিত হয়ে প্রায় একলক্ষ বিশহাজার লোকের সমাবেশে তাঁর ঐতিহাসিক বিদায় হজ্বের খুতবা বা ভাষণপ্রদান করেন। তাঁর প্রতিটি বাক্যই রাবিয়া বিন উমাইয়া বিন খালাফ (রাঃ)-কর্তৃক পুনরাবৃত্তি হয়েছিল।
সালাত আদায় করে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বললেনঃ
মানুষের রক্ত তথা জানও মাল এবং পরকাল সম্পর্কে
১। হে মানব মন্ডলী! তোমরা আমার কথাগুলো মন দিয়ে শ্রবণ কর; কেননা, আমি এ বছরের পর এ স্থানে তোমাদের সাথে পুনরায় নাও মিলিত হতে পারি।
২। আগত ও অনাগতকালের হে মনবমন্ডলী! যতক্ষনপর্যন্ত তোমরা তোমাদের প্র্রভূর সাথে মিলিত না হচ্ছো তোমাদের রক্ত ও তোমাদের ধন-সম্পদ এই দিন ও এই মাসের মতই পবিত্র।
৩। নিশ্চয়ই তোমরা তোমাদের প্রভূর সাথে মিলিত হবে, যখন তোমাদের প্রভূ তোমাদের কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন এবং আমি তোমাদেরকে তাঁর সংবাদ পৌঁছে দিয়েছি।
সামজিক কর্তব্য সম্পর্কে
৪। যে ব্যক্তি অন্যোরধন-সম্পদের অভিভাবক বা আমানতদার তার উচিত(মূল মালিককে) তার ধন-সম্পদ ফিরিয়ে দেয়া।
৫। সুদের লেনদেন হারাম, তবে তোমাদের মূলধন তোমাদেরই। কারও প্রতি অত্যাচার করোনা ও অত্যাচারিত হয়োনা।
৬। আল্লাহর সিদ্ধান্ত, সুদ বাতিলএবং আব্বাস বিন আব্দুল মুত্তালিবের যে সমস্ত সুদ পাওনা রয়েছে তা সবই বাতিল।
৭। অজ্ঞতা যুগের খুনের ক্ষতিপূরণ সবই বাতিল হলো।
৮। এর পর হে মানব মন্ডলী! শয়তান এদেশে পূজিত হওয়ার আশা ত্যাগ করেছে সে অন্য দেশে মান্য হবে। সুতরাং তোমরা তোমাদের বিশ্বাস (ঈমান) সম্পর্কে সতর্ক থাকবে, যেন তোমাদের ভাল কাজগুলো অন্য লোকের দ্বারা নষ্ট হয়ে না যায়।”
৯। হে মানব মন্ডলী! পবিত্র মাসের রহিত করণ অন্ধকার যুগেরই ধারা। যারা অবিশ্বাস্য পছন্দ করে তারা বিভ্রান্ত। তারা বলে এক বছর পবিত্র মাস, পরের বছর অপবিত্র তারা আল্লাহ কর্তৃক পবিত্র মাসের সংখ্যা ঠিক রাখার জন্য পবিত্র মাসকে অপবিত্র বলে। সময় ঘুরছে, যে দিন থেকে আসমান ও জমিন সৃষ্টি হয়েছে। আল্লাহ কর্তৃক মাসের সংখ্যা ১২ তাদের মধ্যে ৪টা পবিত্র, ৩টা পরপর এবং জমাদিউস সানি ও সাবানের মধ্যবর্তী মাস।
“ স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে ”
১০। এরপর হে মানব মন্ডলী! তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি তোমাদের অধিকার আছে ; তাদেরও তোমাদের প্রতি অধিকার আছে। ঐ ব্যক্তিই শ্রেষ্ঠ, যেতার স্ত্রীর নিকট শ্রেষ্ঠ। এটা তাদের অবশ্য কর্তব্য তাদের সতীত্ব রক্ষা করা এবংঅশ্লীলাতা ত্যাগকরা।যদি তারা দোষী হয় তবে তোমরা তাদের সাথে সহবাস (সঙ্গম) করো না। তোমরা তাদের সংশোধনার্থে প্রহার কর- কিন্তু যেন ক্ষত-বিক্ষত না হয়ে যায়। যদি তারা অনুতপ্ত হয় (তাওবা করে) তবে তাদের ক্ষেতে দাও পরতে দাও, তাদের সঙ্গে তখন ভাল ব্যবহার কর। তোমরা একে অন্যকে উপদেশ দিওতোমাদের স্ত্রী-জাতির প্রতি ভাল ব্যবহার করার জন্যে। কেননা তারা তোমাদেরই অংশ বা অন্তর্ভূক্ত ওতাদেরকে আল্লাহর আমানত রূপে গ্রহণ করেছ এবং আল্লাহর বাক্য দ্বারাই তাদেরকে তোমাদের জন্যে বৈধ করা হয়েছে।
ভবিষ্যৎ সম্পর্কে
১১। সুতরাং হে মানব মন্ডলী ! তোমরা আমার কথাগুলো ভালভাবে অনুধাবন কর, যার জন্য আমি আমার কথাগুলো তোমাদের জন্য রেখে গেলাম। যদি তোমরা এটাদৃঢ়ভাবে গ্রহণ কর, তাহলে তোমরা কোনদিনই বিপথগামী হবেনা। বিশেষ করে আল্লাহর আল-কুরআন ও আমার সুন্নাহ (তাঁর দূতের ধর্মীয় নীতি ও জীবন ধারা)।
১২। হে মানব মণ্ডলী! তোমরা আমার কথাগুলো অনুধাবন কর নিশ্চিত করে বুঝতে। তোমরা শিক্ষা পেয়েছ প্রত্যেক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই, সকল মুসলমানই এ ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ। এটা কোন মানুষের জন্যই অবৈধ নয় অনুমতি ব্যতীত অন্যের জিনিস গ্রহণ করবে না। সুতরাং কেউ কারো প্রতি অবিচার করো না।
দন্ডবিধি ও আনুগত্য সম্পর্কে
১৩। একজনের অপরাধে অন্যকে দণ্ডদেয়া যায় না। অতঃপর পিতার অপরাধের জন্য পুত্রকে এবং পুত্রের অপরাধের জন্য পিতাকে দায়ী করা চলবে না।
১৪। যদি কোন নাক কান কাটা হাবসী কৃতদাসকেও তার যোগ্যতার জন্য তোমাদের আমির (নেতা) করে দেয়া হয়, তোমরা সর্বতোভাবে তার অনুগত হয়ে থাকবে। তারআদেশ মান্য করবে।
ধর্ম সম্পর্কে
১৫। সাবধান! ধর্ম সম্বন্ধে বাড়াবাড়ি করো না। এই বাড়াবাড়িরফলে তোমাদের পূর্ববর্তী বহু জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।
১৬। তোমরা ধর্মভ্রষ্ট হয়ে পরস্পর পরস্পরের সংগে ঝগড়া ও রক্তপাতেলিপ্ত হয়ো না। তোমরা পরস্পর পরস্পরের ভাই।
মানুষ ও জাতি সম্পর্কে
১৭। এক দেশের মানুষেরউপর অন্যদেশের মানুষের তথা অনারবদের উপর আরবদের এবংআরবদের উপর অনারবদের প্রাধান্যের কোন কারণই নাই। সমস্ত মানুষ এক আদম থেকে এবং আদম মাটি থেকে সৃষ্টি। মানুষের প্রাধান্য পাবে তাকওয়ার ভিত্তিতে।
১৮। জেনে রেখো! এক মুসলমান অন্য মুসলমানের ভাই। তাই সমগ্র বিশ্বের মুসলমান এক অবিচ্ছেদ্য ভ্রাতৃ সমাজ।
শেষ নবী সম্পর্কে
১৯। হে লোক সকল! শ্রবণকর, আমার পর কোন নবী নাই। তোমাদের পর আর কোন উম্মত (জাতি) নাই। এ বছরের পর তোমরা হয়তো আর আমার সাক্ষাত পাবেনা। ইল্ম বা ওহী (ঐশী জ্ঞান) উঠে যাওয়ার পূর্বে আমার নিকট থেকে শিখে নাও।
২০। চারটি কথা স্মরণ রেখো: (ক) র্শিক (আল্লাহর অংশী) করো না। (খ) অন্যায়ভাবে নর হত্যা করো না। (গ) চুরি করো না। (ঘ) ব্যভিচার করো না।
দাস দাসী এবং মজুরের অধিকার সম্পর্কে
২১। হে মানব বৃন্দ! কোন দূর্বল মানুষের উপর অত্যাচার করো না, গরীবের উপর অত্যাচার করোনা,সাবধান! কারো অসম্মতিতে কোন জিনিস গ্রহণ করো না। সাবধান! মজুরের শরীরের ঘাম শুকা‘বার পূর্বেই তার মজুরী মিটিয়ে দিও। তোমরা যাখাবে ও পরবে তা তোমাদের দাস-দাসীদের খেতে ও পরতে দিও। যে মানুষ দাস-দাসীদের ক্ষমা করে ও ভালবাসে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন ও ভালবাসেন।
২২। যে ব্যক্তি নিজ বংশের পরিবর্তে নিজেকে অন্য বংশের বলে প্রচার করে। তার উপর আল্লাহর,ফেরশতাগণের ও মানব জাতির অভিসম্পাত।
প্রকৃত মুসলমান
২৩। মাহানবী (সঃ) বলেন- মুসলমান ঐ ব্যক্তি। যার মুখ ও হাত থেকে অন্যান্যরা নিরাপদ থাকে। ঈমানদার বিশ্বাসী ঐ ব্যক্তি-যার হাতে সকলমানুষের ধন ও প্রাণ নিরাপদ থাকে। ঐ ব্যক্তি পূর্ণ মুমিন হতে পারেনা যে দুবেলাপেট পূর্ণ করে আহার করে, আর তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে। ঐ ব্যক্তি মুসলমান হতে পারেনা-যখন সে নিজের জন্য যা পছন্দ করে, তা অন্যের জন্যেও পছন্দ করে না।
একতা সম্পর্কে
২৪। আমার উম্মতের মধ্যে যে ঝগড়া ও বিসংবাদ করতে বের হয়, তার বুকে আঘাত কর। একত্রে খানা-পিনা কর।আলাদা আলাদা ভাবে আহার করোনা। কেননা একত্র খাওয়াতে বরকত আছে। যে বিভেদ সৃষ্টিকরে, তাঁর স্থান জাহান্নামে। আমি তোমাদের পাঁচটি আদেশ করছিঃ (ক) একতা রক্ষা কর। (খ) নেতার অনুগত থাক। (গ) প্রয়োজনে হিজরত কর। (ঘ) উপদেশ শ্রবণ কর। (ঙ) আল্লাহর পথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জিহাদ কর।
ঘুষ সর্ম্পেকে
২৫। যাকে আমরা শাসনকার্যে নিযুক্ত করি, আমরা তার ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করি। এরপরও যদি সে কিছু (অবৈধভাবে অতিরক্ত) গ্র্রহণ করে, তা বিশ্বাস ভঙ্গ বা ঘুষ বলে গণ্য হবে এবং ঘুষ গ্রহণ মহাপাপ।
২৬। তোমরা হিংসা- বিদ্বেষ ত্যাগ কর। কেননা আগুন যেমন জ্বালানী কাটকে ভষ্মীভূত করে। হিংসা তেমনি মানুষের সৎ গুণকে ধ্বংস করে।
পরিশ্রমী ও ভিক্ষুক সম্পর্কে
২৭। যে ব্যক্তি নিজ হাতের কোন কাজ দ্বারাখাদ্য সংগ্রহ করে, তা অপেক্ষা উত্তম খাদ্য আর নাই। তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি ভিক্ষা করে, সে যদি একগাছি দড়ি (রশি) নিয়ে পিঠে কাঠের বোঝা বহন করে বিক্রি করে আল্লাহ তাঁর মুখ রক্ষা করবেন। এটাই তার জন্য উত্তম।
আমল নামা সর্ম্পকে
২৮। তোমাদের প্রত্যেককেই আল্লাহরসন্মুখে হাজির হতে হবে এবং আপন আপন ভাল মন্দের হিসাব-নিকাশ (আমল নামা) পাঠ করতে হবে। তোমরা সাবধান! সেইদিন কেউ কাউকেও সাহায্য করতে পারবেনা।
জ্ঞান সর্ম্পকে মহাবানী
২৯। তোমরা জেনে রেখো-বিদ্বানের কলমের কালি শহীদের রক্ত অপেক্ষা মূল্যবান। যে জ্ঞানের পথে পরিভ্রমণ করে, আল্লাহতাকে স্বর্গের পথে পথদেখান। জ্ঞান অনুসন্ধান কর (যদিও তা চীন দেশেও হয়) (দ্বীনের) জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ফরয। অর্থাৎ অবশ্যই কর্তব্য।ব্যবহার সর্ম্পকে।
৩০। সমাজে তোমার আচরণঐ রূপ হবে, যেমন আচরণ তুমি অন্য থেকে কামনাকর। সমাজে তোমার ব্যাবহার ঐরূপ হবে, যেরূপ ব্যবহার তুমি নিজে পেলে খুশি হও।
পিতা-মাতা সর্ম্পকে
৩১। হে মানববৃন্দ! তোমরা জেনে রেখো। তোমাদের মাতা-পিতার সন্তুষ্টিই আল্লাহর সন্তুষ্টি। মাতা-পিতার অসন্তুষ্টিই আল্লাহরঅসন্তুষ্টি। তোমাদেরবেহেশত তোমাদের মায়ের পায়ের তলে অবস্থিত।
শ্রেষ্ট মানুষ সর্ম্পকে
৩২। হে মানব সন্তান! তোমাদের মধ্যে সেই শ্রেষ্ঠ মানুষ, যে মানুষের উপকার করে।উম্মাতে মুহাম্মাদী তথা সকল মুমিন নর-নারী’র প্রতি বিশেষ-নির্দেশ“যারা উপস্থিত আছো। তারা অনুপস্থিতদের নিকট আমার এই পয়গাম পৌঁছে দিবে। হয় তো উপস্থিতদের কিছু লোক অপেক্ষা অনুপস্থিতদের কিছু লোক বেশি উপকৃত হবে।”হযরত মুহাম্মাদ সাঃ (ভাষণের কথাগুলো) বলার সঙ্গে সঙ্গে রাবিয়া বিন উমাইয়া বিন খাল্ফ (রাঃ) বিশাল জনতাকে জিজ্ঞাসা করলেন, আপনারা কি জানেন এটা কোন দিন? তারা উত্তর দিলেন এটা পবিত্র হজ্জ্বের দিন। তার পরতিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কি জানেন আল্লাহ আপনাদের জীবন, মাল ও সকল কিছু পবিত্র করেছেন? যতক্ষণ আপনারা তার সাথে মিলিত না হচ্ছেন। তাঁরা উত্তর দিলেন-হ্যাঁ! এভাবে তিনি বাক্যের পর বাক্যগুলো বলতে থাকলেন। যখন হযরত মুহাম্মাদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলে উঠলেন হে আল্লাহ! আমি কি তোমার রিসালাতের গুরুভার ও নবুয়তের গুরুদায়িত্ববহন করতে পেরেছি? হে আল্লাহ! আমি কি আমার কর্তব্য পালন করেছি? সঙ্গে সঙ্গে বিশাল জনতা উচ্চস্বরে বলে উঠলেন হ্যাঁ! তখন আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলে উঠলেন হে আল্লাহ! তুমি আমার সাক্ষী থাক।
{প্রতিটি মুসলিমের দায়িত্ব বিদায় হজ্বের ভাষণকে নিজের
জীবনে এপ্লাই করা, দয়া করে ভাষণের একটি কপি আপনার ঘরে
আজকাল কিছু কিছু মুসলিমদের অন্তরে এক রুপ এবং বাহিরে
আরেক রুপ। তাই আমরা আজ অপদস্ত হচ্ছি সময়ে অসময়ে।
চলুন আগে নিজের অন্তরকে ঠিক করি, আল্লাহকে ভয় করি এবং
রাসুলের সুন্নত অনুসারে চলি। তাহলেই আমাদের ঈমান শক্ত
হবে এবং আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে শান্তি নেমে
আসবে।}
[তথ্যসূত্র: মহানবী (সাঃ) এর জীবনী; সম্পাদনা মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ যশোরী এম এ]
সংরক্ষণ
ভাষণটি পূর্ণাঙ্গরূপে সংরক্ষিত হয়নি। বিভিন্ন হাদিস , তাফসির, ইতিহাস ও
জীবনীগ্রন্থে আংশিক এবং খণ্ড খণ্ড আকারে তা মুদ্রিত
হয়েছে। সকল হাদীসে বিদায় খুৎবার উদ্ধৃতি অন্তর্ভূত
আছে। বুখারী শরীফের ১৬২৩, ১৬২৬ এবং ৬৩৬১ নম্বর
হাদিসে ভাষণের বিভিন্ন অংশ উদ্ধারণ করা হয়েছে। সহি মুসলিম
শরীফে ৯৮ নম্বর হাদিসে বিদায় খুৎবা বর্ণিত। তিরমিজি
শরীফের ১৬২৮, ২০৪৬ এবং ২০৮৫ সংখ্যক হাদিসে বিদায় খুৎবার
বর্ণনা দেয়া হয়েছে। বিদায় খুৎবার র্দীর্ঘতম উদ্ধৃতি
দিয়েছেন ইমাম আহমদ বিন হাম্বল। তাঁর মসনুদ -এর ১৯৭৭৮ সংখ্যক
হাদিসে এই বর্ণনা পাওয়া যাবে।
‘আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক’
প্রবন্ধের লেখা অপরিবর্তন রেখে এবং উৎস উল্লেখ্য করে আপনি Facebook, Twitter, ব্লগ, আপনার বন্ধুদের Email Address সহ অন্য Social Networking ওয়েবসাইটে শেয়ার করতে পারেন, মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামের আলো ছড়িয়ে দিন। “কেউ হেদায়েতের দিকে আহবান করলে যতজন তার অনুসরণ করবে প্রত্যেকের সমান সওয়াবের অধিকারী সে হবে, তবে যারা অনুসরণ করেছে তাদের সওয়াবে কোন কমতি হবেনা” [সহীহ্ মুসলিম: ২৬৭৪]