ফিতনার সংকটময় মুহূর্তে মুসলিম জাতির উদ্দশ্যে আমীরুল মুমিনীন,
খলীফাতুল মুসলিমীন হাঃ এর ভাষন।
“অতঃপর তোমরা অপেক্ষা কর! আমরাও অপেক্ষায় আছি”
সারমর্ম—
ছানা ও দরুদ সালামের পর—
হে মুসলমানগন! নিস্চয়ই আমরা যুদ্ধ করছি মহান আল্লাহর আনুগত্যে, তার নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে। আমরা যুদ্ধ করছি মহান আল্লাহর হুকুম পালনে,, যা তিনি সুবঃ আদেশ ও তার জন্য উৎসাহীত করেছেন। তিনি সুবঃ জিহাদকে তার নৈকট্য লাভের সর্বোত্তম ওয়াসিলা বানিয়েছেন। আমরা তারই প্রশংসা করছি, যিনি আমাদেরকে ক্বীতালের মাধ্যমে শাহাদাত অথবা বিজয়ের ওয়াদা করেছেন।
/
সুতরাং আমাদের কর্তব্য ছবর ও ক্বীতালে অটল থাকা, আর আল্লাহর দায়িত্ব সাহায্য করার। এজন্য বিশ্ব কুফ্ফার ও তাওাগ্বীত জোট আমাদের ভীত ও বিচলীত করতে পারেনা। আল্লাহ তায়ালার অসামান্য কুদরতি শক্তি ও সাহায্যের দ্বারা আমরা সর্বাবস্হায় সফলতা লাভ করছি।
/
নিস্চয়ই আল্লাহ মুমীনদের জান মাল ক্রয় করে নিয়েছেন জান্নাতের বিনিময়ে… আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
আর কাফিরেরা যখন মুমীনদের সাথে সম্মুখ যদ্ধে মিলিত হয়, তখন তারা পালিয়ে যায়। কেননা তাদের কোন সাহায্যকারী নেই।
/
পৃথিবীর সকল কাফের ও তাওাগীত মুনাফিকেরা যদি তাদের সকল সৈন্য ও সব ধরনের শক্তি সম্মিলীতভাবে ইসলামীক স্টেইটের বিরুদ্ধে নিয়ে আসে তবুও আমরা বিচলীত হইনা। বরং এটাইতো আল্লাহ সুবঃ এর ওয়াদা ছিল । এর সাথে তিনি সুবঃ নিকটতম বিজয়ের ওয়াদাও করেছেন, যা আমাদেরকে তার অনুগ্রহে দান করবেন।আমাদের আহত হওয়া, তার পথে ক্ষত বিক্ষত হওয়া, তার পথেই জিবন কুরবানী করাকে দুনিয়া ও আখিরাতের সবচেয়ে বড় সফলতা। এটাইতো আল্লাহর পক্ষ থেকে পরিক্ষা। (আয়াতে কারীমাহর দলীল সহ)
/
হে মুসলমানগন! আপনারা অবাক হবেননা যখন, পৃথিবীর সকল কাফের ও তাওাগীত মুনাফিকেরা যদি তাদের সকল সৈন্য ও সব ধরনের শক্তি সম্মিলীতভাবে ইসলামীক স্টেইটের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়, কারন তাইফাতুল মানসুরাহ কে আল্লাহ তায়ালা সাহায্য করে মুমীন ও কাফির মুনাফিকদের আলাদা করবেন। কাফিরদের প্রতিটি হামলা আমদের ঈমান ও এয়াক্বীনকেই বৃদ্ধি করছে। আর মুনাফিকদের প্রতিটি চক্রান্ত আমাদের দৃঢ়তাকেই বৃদ্ধি করছে।
/
হে মুসলমানগন! ক্রুসেডদের সম্মীলিত এ হামলা শুধু ইসলামীক স্টেইটের উপর নয়, বরং তা সকল মুসলমানের উপর। তারিখের ইতিহাসে পাওয়া যাবেনা যে কখনো কোন সময় দুনিয়ার সকল কাফের মুশরেক তাওাগীত মুরতাদ মুনাফিক একই প্লাটফর্মে একত্রিত হয়েছে! আজকে যেভাবে একত্রিত হয়েছে ইসলামীক স্টেইটকে মারার জন্য!! সুতরাং এটি তাদের নিছক কোন সন্ত্রাসবাদ দমনের যুদ্ধ নয়।বরং এটি ইসলাম ও কুফরের যুদ্ধ।
হে মুসলমানগন! আমি আহবান করছি আপনাদের! ঈমানী দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসুন। মিল্লাতে কুফরের সৈন্যদল ভালোভাবে জেনে গেছে স্হল যুদ্ধে তারা কখনো কামিয়াব হবেনা। কেননা ইতিপুর্বে তারা আফগানিস্তান ও ইরাকে পরাজিত হয়েছে, যেহেতু আল্লাহ সুবঃ তাদের অন্তরে ভীতির সঞ্চার করেছেন।এখনতো তারা আরো দৃঢ়ভাবে জেনেছে, মুজাহিদরা শুধু আফগান আর ইরাকে নয় বরং তারা আরো শক্তিশালী হয়ে টিকে আছে সিরিয়ায়, লিবীয়া, ইয়েমেন, সিনাই, সুমাল, ও আফ্রীকায়।
তারা আরো জেনে গেছে দাবিক্ব ও গুতায় তাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে!! আরো জেনেছে তারা এটাই তাদের শেষ আক্রমন! এর পর থেকে আমরাই তাদের আক্রমন করব আল্লাহর অনুমতিক্রমে।
/—————-
আমরা ইসরাঈলী ইহুদী ও মদদ দাতা রক্ষাকারী ঈমান বিক্রেতা গাদদারদের হত্যা করে ফিলিস্তীনকে মুক্ত করার ঘোষনা করছি।
হ্যা ফিলিস্তীন!
যা ইহুদীরা মনে করেছে আমরা ভুলে গেছি! কখনো না!! হে ইয়াহুদ! আমরা এক মুহুর্তের জন্যও ভুলিনি ফিলিস্তীনকে। আল্লাহর অনুমতিক্রমে আমরা অচিরেই তা বিজয় করব। তার জন্য আমরা দিন দিন অগ্রসর হচ্ছি।
/
হে ইয়াহুদ! ফিলিস্তীন আর তোমাদের ঘর জায়গা থাকবেনা বরং তা তোমাদের কবরে পরিনত হবে।এটা হবেই হবে।। কেননা আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেননা।
অতঃপর তোমরা তার অপেক্ষা কর! আমরাও তোমাদের সাথে অপেক্ষায় আছি।
/
হে মুসলমনগন! কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে আসুন। যেন আপনারা জানতে পারেন এ যুদ্ধের বাস্তবতা কি! (কতিপয় আয়াত ও দলীল সহ)
হে মুসলমনগন! আপনাদের আরো জানা আবশ্যক বর্তমান ইসলামীক স্টেইটের পুর্বের ১০ বছরের ইতিহাস। আপনি কুরআন ও সুন্নাহর মানদন্ডে ইসলামীক স্টেইটকে বিচার করলে বুজতে পারবেন, এটি ঈমান ও কুফুরের যুদ্ধ।
/
হে মুসলমনগন! এ যুদ্ধে সবার অংশগ্রহন ওয়াজিব। সবাই বেরিয়ে পড়ুন যে যার সামর্থ নিয়ে। জেগে উঠুন! বৃদ্ধ যুবক, আনসার মুহাজির, এমনকি আলে সুলুলের মুরতাদরা তোমরাও ফিরে এস। বিলাদুল হারামাইনকে পবিত্র করে দাও, ইহুদী ক্রসেডদের বের করে দাও।
/
অতঃপর হে খিলাফাহর সৈনিকগন! তোমরা ধৈর্য ধরো। তোমরাই হক্বের উপর আছো।
ধৈর্য ধরো আল্লাহ তোমদের সাথে আছেন, তিনি তোমাদের মাওলা তিনিই তোমাদের সাহায্য করবেন।
কতই না তোমাদের উত্তম মাওলা! কতই না তোমাদের উত্তম সাহায্যকারী!।
অবিচল থাকো ও দৃঢ় বিশ্বাস রাখো আল্লাহর সহায্যের উপর।
তিনি সুবঃ তোমাদেরকে দুঃখ কস্ট বালা মুসিবত ও কঠিন পরিক্ষার পর বিজয় ও সফলতা দান করবেন। (আয়াতে কারীমার দলীল সহ)।
/
হে মুজাহিদগন! তোমরা ২টির যে কোন একটির নিস্চিত সুসংবাদ গ্রহন করো, বিজয় অথবা শাহাদাত। তোমরা দৃঢ় থাকো, দুনিয়ার মুহাব্বত ত্যাগ করো, তোমাদের আমীরদের আনুগত্য করো, তাওবাহ ও ইসতিগফারে মগ্ন থাকো,, আর যখন শত্রু সম্মুখীন হবে, আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করো। ধৈর্য ধরো তিনি সুবঃ তোমাদের দৃঢ়পদ রাখবেন।
আমি তোমাদের অছিয়ত করছি! কুফ্ফার তাওাগীতদের জেল খানা থেকে সকল মুসলিম বন্দীদের মুক্ত করবে।
/
অতঃপর অপেক্ষা কর হে আমেরিকা!
অপেক্ষা কর ইউরোপ!
অপেক্ষা কর হে রুশ!
রাওাফীদ শীয়া মুশরিকরা!
অপেক্ষা কর দুনিয়ার তামাম মুরতাদ ও ঈমান বিক্রেতা গাদদারেরা!
অপেক্ষা কর হে ইয়াহুদ!!
অপেক্ষা কর আল্লাহর ওয়াদার! যে ওয়াদায় তোমাদেরকে তিনি সুবঃ তার সাহায্য দিয়ে আমাদের হাত দ্বারা শাস্তি ও আযাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন,, তার অপেক্ষা কর!!! আমরাও অপেক্ষায় আছি।। ——————- মুনাজাত।
সবার ভালো লাগলে কমেন্ট করে জানাবেন।আরো এরকম ভালো ভালো পোস্ট করবো।
13 thoughts on "আবু বকর আল বাগদাদীর ভাষণ[ সকল মুসলমানদের দেখার জন্য অনুরোধ রইল]"