Site icon Trickbd.com

জান্নাত সম্পর্কে মহানবী (স) যা বলেছেন[part 2]শেষ পার্ট।

Unnamed

♥♥♥আসসালামু আলাইকুৃম

♥♥সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

♥♥অ্যাডমিন ভাই ও সাপোর্ট টিম ভাইদের বলছি।আচ্ছা ইসলামিক পোস্ট কি Hot post এর যোগ্য নয়।অনেক ভাই আছে যারা কষ্ট করে অনেক সুন্দর সুন্দর হাদিস পোস্ট করে।

কিন্তু কোনোদিন দেখলাম না ইসলামিক কোনো পোস্ট।Hot post এ রাখা হইছে।তাই সাপোর্ট টিম ভাইদের বলছি যে author ভাইদের ইসলামিক পোস্ট গুলো মানসম্মত হয়।গ্রহনযোগ্য হয় সেগুলো যেনো Hot post রাখা হয়।

যেনো সবাই trick bd তে login করেই।সেই মানসম্মত হাদিসটি সবার চোখে পড়ে।আশা করি সাপোর্ট টিম ভাইরা বিষয় টি দেখবেন।

♥♥জান্নাত সম্পর্কে মহানবী (স) যা বলেছেন

২১) জান্নাতের ১০০ টি স্তর আছে, দু’স্তরের মধ্যে ব্যবধান শত বছরের। [(তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]

২২) জান্নাতের ১০০ স্তরের যে কো এক স্তরে সারা বিশ্বের সকল লোক একত্রিত হলেও তা যথেষ্ট হবে। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)]

২৩) জান্নাতের উচ্চ বিছানা (সুরুরুম মারফুআ) আসমান জমীনর মধ্যবর্তী ব্যবধানের পরিমাণ- ৫০০ শত বছরের পথ। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)]

২৪) জান্নাত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০০ পুরুষের শক্তি দান করা হবে। [(তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)]

২৫) জান্নাতবাসীগণ কেশবিহীন দাড়িবিহীন হবে। তাদের চোক সুরমায়িত হবে। [তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)]

২৬) জান্নাতবাসীগণ ৩০ বা ৩৩ বছর বয়সীর মতো জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিজী, ময়াজ ইবনে জাবাল (রা.)]

২৭) জান্নাতে অবস্থিত কাওসার এর পানি দুধ অপেক্ষা অধিক সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি হবে। [তিরমিজীআসান (রা.)]

২৮) জান্নাতবাসী উট ও ঘোড়া চাইলে দুটোই পাবে এবং তা ইচ্ছেমতো দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাতে তুমি সে সব জিনিস পাবে যা কিছু তোমার মন চাইবে এবং তোমার নয়ন জুড়াবে। [তিরমিজী-আবু বুরাইদা (রা.)]

২৯) জান্নাতবাসীদের ১২০ কাতার হবে। তার মধ্যে ৮০ কাতার হবে এ উম্মতের। অবশিষ্ট ৪০ কাতার হবে অন্যান্য উম্মতের। [তিরমিজী- বুরাইদা (রা.)]

৩০) জান্নাতে একটি বাজার আছে সেখানে ক্রয়-বিক্রয় নেই। সেখানে নারী-পুরুষের আকৃতিসমূহ থাকবে। সুতরাং যখনই কেউ কোন আকৃতিকে পছন্দ করবে তখন সে সেই আকৃতি রূপান্তরিত হবে। [(তিরমিজী- আলী (রা.)]

৩১) জান্নাতবাসীদের উপর এক খণ্ড মেঘ আচ্ছন্ন করে ফেলবে। তাদের উপর এমন সুগন্ধি বর্ষণ করবে যে, অনুরূপ সুগন্ধি তারা আর কখনো পায়নি। জান্নাতের বাজারে একজন আরেকজনের সাথে সাক্ষাত করবে এবং তার পোশাক পরিচ্ছদ দেখে আশ্চার্যান্নিত হবে। কিন্তু তার কথা শেষ হতে না হতেই সে অনুভব করবে যে, তার পোশাক তার চেয়ে আরো উত্তম হয়ে গেছে। এটা এ জন্য যে, জান্নাতে দুশ্চিন্তার কোন স্থান নেই। তাদের স্ত্রীদের কাছে ফিরে আসলে তারা বলবে তুমি আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে ফিরে এসেছ। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- সাইধ ইবনে মুসায়েব (রা.)]

৩২) নিম্নমানের জান্নাতবাসীর জন্যে ৮০ হাজার খাদেম ও ৭২ জন স্ত্রী হবে। ছোট্ট বয়সী বা বৃদ্ধ বয়সী লোক মারা গেলে জান্নাতে প্রবেশের সময় ৩০ বছর বয়সী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ বয়স কখনো বৃদ্ধি হবে না। জান্নাতবাসীগণ যখন সন্তান কামনা করবে, তখন গর্ভ, প্রসব ও তার বয়স চাহিদা অনুযায়ী মুহূর্তের মধ্যে সংঘটিত হয়ে যাবে। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ- আবু সাঈদ (রা.)]

৩৩) জান্নাতে হুরদের সমবেত সংগীত শুনা যাবে। এমন সুরে যা আগে কখনো শুনা যায় নি। তারা বলবে-

আমরা চিরদিন থাকবো, কখনো ধ্বংস হবো না।

আমরা সুখে আনন্দে থাকবো, কখনো দুঃখ দুশ্চিন্তা হবে না।

আমরা সব সময় সন্তুষ্ট থাকবো, কখনো নাখোশ হবো না।

সুতরাং তাকে ধন্যবাদ যার জন্যে আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি। [তিরমিজী- আলী (রা.]

৩৪) জান্নাতে রয়েছে, ১. পানির সমূদ্র ২. মধুর সমুদ্র ৩. দুধের সমুদ্র ৪. শরাবের সমুদ্র। তার পর তা থেকে আরো বহু নদী প্রবাহিত হবে।- [তিরমিজী- হাকিম ইবনে মুয়াবিয়া (রা.)]

৩৫) জান্নাতে একজন কৃষি কাজ করতে চাইবে। তার পর সে বীজ বপণ করবে এবং চোখের পলকে অংকুরিত হবে, পোক্ত হবে এবং ফসল কাটা হবে। এমন কি পাহাড় পরিমাণ স্তুপ হয়ে যাবে। আল্লাহ বলবেন, হে আদম সন্তান! নিয়ে যাও, কোন কিছুতেই তোমার তৃপ্তি হয়না। [বুখারী – আবু হুরায়রা (রা.)]

৩৬) জান্নাতে এক ব্যক্তি ৭০টি তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসবে। এ শুধু তারই স্থান নির্ধারিত থাকবে। একজন মহিলা এসে সালাম দিয়ে বলবে, “আমি অতিরিক্তের অন্তর্ভুক্ত” তার পরনে রং বেরং এর ৭০ খানা শাড়ী পরিহিত থাকবে এবং তার ভিতর দিয়েই তার পায়ের নলার মজা দেখা যাবে। তার মাথার মুকুটের আলো পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থান রৌশনী করে দিবে। [আহমদ- আবু সাঈদ (রা.)]

৩৭) জান্নাতবাসীগণ নিদ্রা যাবে না। নিদ্রাতো মৃত্যুর সহোদর আর জান্নাতবাসী মরবে না। [বায়হাকী- যাবের (রা.)]

৩৮) আল্লাহ তায়ালা হিজাব বা পর্দা তোলে ফেলবেন, তখন জান্নাতবাসীরা আল্লাহর দিদার বা দর্শন লাভ করবে। আল্লাহর দর্শন লাভ ও তার দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে অধিকতর প্রিয় কোন বস্তুই এযাবত তাদেরকে প্রদান করা হয়নি। [মুসলিম- সুহায়ব (রা.)]

৩৯) বারা বিন আযেব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন: কবরে মুমিন বান্দার কাছে দু‘জন ফেরেশতা আসে তাকে উঠিয়ে বসাবেন। তার পর তাকে জিজ্ঞেস করবেন: তোমার রব কে? সে উত্তর দেয় আমার রব ‘আল্লাহ’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার দ্বীন কি? সে উত্তর দেয়, আমার দ্বীন ‘ইসলাম’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদের মাঝে যিনি প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে? সে উত্তর দেয়, তারা উত্তর দেয়, তিনি হলেন ‘আল্লাহর রাসূল’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এসব কিভাবে জানলে? সে উত্তর দেয়, আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তাঁর উপর ঈমান এনেছি ও তাঁকে সমর্থন করেছি। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা করবেন- আমার বান্দা সত্য বলেছে, আমার বান্দার জন্য জান্নাতের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জান্নাতের একটি দরজা খুলে দাও। তখন তা খুলে দেয়া হয়। রাসূল (সা.) বলেন: ফলে তার দিকে জান্নাতের স্নিগ্ধ বাতাস এবং সুগন্ধি আসতে থাকে। তার জন্য কবরের স্থানকে দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। (আহমদ আবু দাউদ)

৪০) যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে, তাকে (সমাজে কুরআনের বিধান) প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে, কুরআনে বর্ণিত হালালসমূহকে হালাল জেনে মেনেছে, হারামগুলোকে হারাম মনে করেছে। আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের জাহান্নামযোগ্য ১০ জনে বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবেন। (তিরমিযী হযরত আলী হতে)

♥♥সবাই ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন।

♥♥♥আল্লাহ হাফেজ