♥♥আসসালামু আলাইকুম♥♥
♥সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
পুরুষঃ
♥♥পুরুষদের জন্য ১৪ শ্রেণির নারীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ বৈধ।তবে তাদের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ।
কিন্তু এসব নারী ছাড়া অন্য নারীদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা পুরুষদের জন্য বৈধ নয়।ইসলামী শরিয়তের শর্ত মোতাবেক তাদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বৈধ।
♥♥সেই ১৪ শ্রেণীর নারী যথাক্রমে নিচে দেওয়া হলোঃ
(১) মা।
(২) আপন দাদি, নানি ও তাদের ঊর্ধ্বতন নারীরা।
(৩) সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন।
(৪) আপন মেয়ে, ছেলের মেয়ে, মেয়ের মেয়ে ও তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান ও আপন ছেলেসন্তানদের স্ত্রী।
(৫) যে স্ত্রীর সঙ্গে দৈহিক মিলন সংঘটিত হয়েছে, তার পূর্ববর্তী বা পরবর্তী স্বামীর কন্যাসন্তান এবং স্ত্রীর মা—অর্থাৎ শাশুড়ি, নানি শাশুড়ি ও দাদি শাশুড়ি।
(৬) ফুফু—অর্থাৎ পিতার সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন।
(৭)খালা—অর্থাৎ মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোন।
(৮) ভাতিজি—অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কন্যাসন্তান।
(৯) ভাগ্নি—অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কন্যাসন্তান।
(১০) দুধসম্পর্কীয় মেয়ে, মেয়ের মেয়ে, ছেলের মেয়ে ও তাদের অধস্তন কোনো কন্যাসন্তান এবং দুধসম্পর্কীয় ছেলের স্ত্রী।
(১১) দুধসম্পর্কীয় মা, খালা, ফুফু, নানি, দাদি ও তাদের ঊর্ধ্বতন মহিলারা।
(১২) দুধসম্পর্কীয় বোন, দুধবোনের মেয়ে, দুধভাইয়ের মেয়ে এবং তাদের গর্ভজাত যেকোনো কন্যাসন্তান।
(১৩) যৌনশক্তিহীন এমন বৃদ্ধা, যার প্রতি পুরুষের কোনো প্রকার আকর্ষণ নেই।
(১৪) অপ্রাপ্তবয়স্ক এমন বালিকা, যার প্রতি পুরুষের এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৩ ও ১৪ নম্বরে বর্ণিত মেয়েদের সঙ্গে বিবাহ জায়েজ আছে।
উপরোক্ত নারীরা ছাড়া পুরুষের জন্য অন্য কোনো মহিলার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ জায়েজ নয়।
(সুরা নিসা : ২৩, তাফসিরে মাজহারি : ২/২৫৪)
নারীঃ
♥♥যেসব পুরুষের সঙ্গে নারীদের বিবাহ বৈধ নয় :
নারী এমন ১৪ শ্রেণির পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে পারবে, যাদের সঙ্গে তাদের বিবাহ নিষিদ্ধ
(১) পিতা, দাদা, নানা ও তাঁদের ঊর্ধ্বতন পুরুষরা।
(২) সহোদর ভাই, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
(৩) শ্বশুর, আপন দাদা শ্বশুর ও নানা শ্বশুর এবং তাঁদের ঊর্ধ্বতন পুরুষরা।
(৪) ছেলে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরসজাত পুত্রসন্তান।
(৫) স্বামীর অন্য স্ত্রীর গর্ভজাত পুত্র।
(৬) ভাতিজা—অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাইয়ের ছেলে ও তাদের অধস্তন কোনো ছেলে।
(৭) ভাগিনা—অর্থাৎ সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় বোনের ছেলে ও তাদের অধস্তন কোনো ছেলে।
(৮) চাচা—অর্থাৎ বাপের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
(৯) মামা—অর্থাৎ মায়ের সহোদর, বৈমাত্রেয় ও বৈপিত্রেয় ভাই।
(১০) দুধসম্পর্কীয় ছেলে, ছেলের ছেলে, দুধসম্পর্কীয় মেয়ের ছেলে ও তাদের ঔরসজাত যেকোনো পুত্রসন্তান এবং দুধসম্পর্কীয় মেয়েদের স্বামী।
(১১) দুধসম্পর্কীয় বাপ, চাচা, মামা, দাদা, নানা ও তাদের ঊর্ধ্বতন পুরুষ।
(১২) দুধসম্পর্কীয় ভাই, দুধভাইয়ের ছেলে, দুধবোনের ছেলে এবং তাদের ঔরসজাত যেকোনো পুত্রসন্তান।
(১৩) যৌনশক্তিহীন এমন বৃদ্ধ, যার মহিলাদের প্রতি কোনো আকর্ষণ নেই এবং তার প্রতি মহিলাদেরও কোনো আকর্ষণ নেই।
(১৪) অপ্রাপ্তবয়স্ক এমন বালক, যার এখনো যৌন আকর্ষণ সৃষ্টি হয়নি।
উল্লেখ্য, ১৩ ও ১৪ নম্বরে বর্ণিত পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে জায়েজ আছে।
নারীর জন্য উপরোক্ত পুরুষরা ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা জায়েজ নয়।
সুতরাং চাচাতো ভাই, খালাতো ভাই, ফুফাতো ভাই, মামাতো ভাই দেবর, ভাশুর, খালু, ফুফা, চাচাতো শ্বশুর, উকিলবাপ, ধর্মবাপ, ধর্মভাই, দুলাভাই, বেয়াই, ননদের জামাই প্রমুখের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করা হারাম এবং তাদের সঙ্গে বিয়েশাদি জায়েজ।
স্ত্রীর বর্তমানে বা তার ইদ্দতের সময় তার বোনকে বিয়ে করা হারাম। (সুরা নূর : ৩১,
তাফসিরে মাজহারি : ৬/৪৯৭-৫০২, মাআরেফুল
কোরআন : ৬/৪০১-৪০৫, হেদায়া : ২/৩০৭,
ফাতহুল কাদীর : ২/১১৭)।
♥সবাই ভালো থাকুন,সুস্হ থাকুন।আর next post এর জন্য অপেক্ষা করুন।
বি:দ্রঃ আমি কোন আলেম না বা হাফেজ না।তাই কোথাও যদি ভূল হয় তাহলে বলবেন আবার ভালো করে লিখব।
♥♥আল্লাহ হাফেজ♥♥