ﺑِﺴۡﻢِ ﺍﻟﻠّٰﮧِ ﺍﻟﺮَّﺣۡﻤٰﻦِ ﺍﻟﺮَّﺣِﯿۡﻢِ
আসসালামু আলাইকুম
১লা জানুয়ারী-কে “New Year’s Day” হিসেবে উদযাপনের ইতিহাস
‘ঈসা ইবনে মারইয়াম (আলাইহিস সালাম) এর জন্মের ৪৬ বছর আগে থেকেই ১লা জানুয়ারী কে “New Year’s Day” হিসেবে পালন করে আসছিল রোমক সম্রাটগণ। আধুনিক গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারও সেই ধারাবাহিকতায় ১লা জানুয়ারীকে বছরের দিন বা “New Year’s Day” হিসেবে পালন করে আসছে।
প্রশ্ন হচ্ছে কোথা থেকে ১লা জানুয়ারী এলো?ইতিহাসে দুই রকম বর্ণনা পাওয়া যায় এই বিষয়ে।
(১) রোমান সাম্রাজ্যের মুশরিকরা Janus (জানুস) নামে এক ঈশ্বরের ইবাদত করত যাকে তারা “God of gates, doors, and beginnings” বা “শুরুর স্রস্টা” হিসেবে মানতো। মূলতঃ তারা অনেক জন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ছিল। তার মধ্যে Janus ছিল অন্যতম। Janus এর মূর্তির দুইটি মাথার একটি সামনের দিকে মুখ করা এবং অন্যটি পেছনের দিকে মুখ করা। দু’পাশে দু’টি মাথা দ্বারা নির্দেশ করে Janus সামনে ও পেছনে – সবদিকেই দেখতে পায়। প্রতীকী ভাবে এটি বুঝায় – Janus অতীত ও ভবিষ্যৎ দেখতে পায় ও ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা রাখে। এই Janus এর নাম অনুসারে বছরের প্রথম (beginning) মাসের নাম দেয়া হয় January। ১লা জানুয়ারী কে “New Year’s Day” হিসেবে পালন করার মূল উপাদ্য ছিল যাতে তাদের ঈশ্বর Janus খুশি হয়, যাতে তাদের বছরের যাত্রা শুভ হয়। স্বাভাবিক ভাবেই ৩১ ডিসেম্বরের আনন্দ উদযাপন সেই Janus এর প্রতি একটি ভালো যাত্রার আনন্দময় সমাপ্তির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অনুসঙ্গ হয়ে উঠত।
[সুত্রঃ
ক. The Calendar of the Roman Republic, Michels, A K. p. 97-98.
খ. Roman Religion, Warrior Valerie. p. 110]
(২) পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ১৭৫২ সাল থেকে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকে অনুসরণ করার আরো অনেক আগে থেকেই ১লা জানুয়ারীকে “New Year’s Day” হিসেবে পালন করে আসছে। খ্রিস্টীয় মতবাদ অনুসারে ‘ঈসা (আলাইহিস সালাম) এর জন্মের অষ্টম দিন তাঁর খাতনা (Circumcision) করা হয়েছিল এবং সেই কারণে একটি প্রীতিভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখান থেকেই ১লা জানুয়ারীতে আনন্দ প্রকাশ করত তারা। এখন পর্যন্ত Anglican Church এবং Lutheran Church এই রীতি অনুসারে ১লা জানুয়ারীতে আনন্দ প্রকাশ করে।
[সুত্রঃ
ক. Dictionary of Theological Terms, McKim, Donald. p. 51.
খ. A Companion for the festivals and fasts of the Protestant Episcopal Church, Hobart, John Henry. p. 284]
ধর্ম যার যার, বুঝ-ও তার তার।
31 Night এবং New Year (নববর্ষ) উৎযাপন করা মুসলিমদের জন্য অকাট্য হারাম“তাদের কি এমন শরীক দেবতা আছে, যারা তাদের জন্যে সে ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি মহান আল্লাহ দেননি? যদি চুড়ান্ত সিন্ধান্ত না থাকত, তবে তাদের ব্যাপারে ফয়সালা হয়ে যেত। নিশ্চয়ই জালিমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।”
[সুরা আশ-শুরা, আয়াত ২১]
.
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য গ্রহণ করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত।”
[সুনানে আবু দাউদঃ হাদীস ৪০৩১]
এগুলো সব বিজাতীয় সংস্কৃতি। এগুলো সব ডাস্টবিনে ফেলার সংস্কৃতি। এই ধরনের কাজ কোন মুসলিমের বাচ্চা করতে পারে না, পারে না, পারে না।
আমি কি ইয়াহুদি?আমি কি খ্রিষ্টান?
আমি মুসলিম!
যারা দুনিয়ার মোহে আসক্ত তারাই ভাবে– একটু নেচে-গেয়ে আনন্দ-ফুর্তি করে নিই, বাঁচবোই আর কয়দিন, তাই জীবনটা একটু উপভোগ করে নিই।
মনে রাখতে হবে সংস্কৃতির নামে প্রচলিত কিছু রীতিনীতি এবং আচার-আচরন,অনুষ্ঠান ইসলামের মৌলিক চিন্তা বিরোধী।
একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় বর্তমান সময়ের অধিকাংশ মুসলিম শুধুমাত্র কুরআন ও সুন্নাহর চর্চা করা খাঁটি মুসলিম নয়। তারা হচ্ছে বিজাতীয়-বিধর্মীয় কাফির-মুশরিকদের অপসংস্কৃতির চর্চা করা শঙ্কর প্রজাতির মুসলিম।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা বলেনঃ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইহুদী ও নাসারাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে কেউ তাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করলে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে, নিশ্চয় আল্লাহ যালিমদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেন না।”
[সূরা আল-মায়িদাহঃ ৫১]
রাসূল ﷺ বলেছেন,
‘যে ব্যক্তি যে জাতির অনুকরণ করবে, সে ব্যক্তি সেই জাতিরই একজন বলে গণ্য হবে’ ( আবূ দাঊদ হা/৪০৩১) ।
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস রাঃ থেকে বর্ণিত রাসূল সাঃ বলেছেন যে ব্যাক্তি মুশরেক দের দেশে বাড়ী তৈরি করল তাদের উৎসব দিবস পালন করল এবং এ অবস্থায় মারা গেল তবে তার হাশর তাদের সাথেই হবে। (সূনানে বাইহাকীঃ ২৩৪)
কত কঠিন কথা! কিয়ামতের মাঠে ভীষণ তৃষ্ণায় সবাই চাইবে কাউসারের পানি, আল্লাহ্র আযাব থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য রাসুল (সাঃ) এর সুপারিশ। কিন্তু যার হাশর-ই হবে কাফেরদের সাথে তার অাবার কিসের পানি, কিসের সুপারিশ???
এরপরেও যারা এই পার্থিব জীবনকে কাফেরদের অনুকরণে খেল-তামাশার বস্তুতে পরিণত করে তাদের প্রতি মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তাঃ
“এরাই পরকালের বিনিময়ে পার্থিব জীবন ক্রয় করেছে। অতএব এদের শাস্তি লঘু হবে না এবং এরা সাহায্যও পাবে না। (সুরা বাকারাঃ ৮৬)
আল্লাহ্ সকল মুসলিমকে এই সকল বিজাতীয় সংস্কৃতি
ফেত্না থেকে মুক্ত রাখুক ! আমীন!!!
Don’t forget to share with friends and family
এর পরেও যদি বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে মুড়ি খান। বেশি বুঝতে হলে topic- এর উপর Funny ভিডিও টি দেখুন
জাযাকাল্লাহ খাইরান