♥♥আসসালামু আলাইকুম♥♥
?সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
[color=red]পোস্টের বিষয়ঃ[/color]
?আবারও একটি ইসলামিক পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আজকে আমরা জানব ২৫ জন নবির নাম।
পোস্টের বিষয়ঃ
?আপনাদের সামনে আরেকটি ইসলামিক পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মহামূল্যবান বাণী পার্ট ৫ এর আগে ১.২.৩.৪ নিয়ে আলোচনা করেছি।আজকে পাঁচ নিয়ে আলোচনা করব।
?বি:দ্রঃআমার বড় মামা কালকে মারা গেছে সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।আর পোস্ট সাজাই লেখতে পারলাম না।পোস্টের সব পার্ট আজকেই দিয়ে শেষ করব।সাজাই বলতে সিরিয়াল 1,2,3,4,567 এই ভাবে।এ জন্য আন্তরিক ভাবে দু:খিত।পোস্ট টার আসলে বাকি পার্ট গুলো সাইট থেকে সংগ্রহ।
?হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মহা মূল্যবান বাণী পার্ট ৫
? আবু যর (রা) বলেন : আমি নিবেদন করলাম,ওগো আল্লাহ রসূল আমাকে উপদেশ দিন। তিনি বললেনঃ আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি আল্লাহকে ভয় করবার। কারণ এটাই তোমার সমস্ত কাজকে সৌন্দর্য দান করবে।
আমি বললাম, আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : কুরআন পাঠ এবং আল্লাহর স্মরণ ও তাঁর বিষয়ে আলোচনাকে নিজের কর্তব্য কাজ বানিয়ে নাও। এতে আকাশে তোমায় নিয়ে আলোচনা হবে আর এটা পৃথিবীতে তোমার পথের আলো হবে।
আমি বললাম, আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : বেশী সময় নীরব থাকবে, কম কথা বলবে। এটা শয়তানকে তাড়াবার হাতিয়ার হবে এবং তোমার দীনের কাজের সহায়ক হবে।
আমি আরয করলাম, আমাকে আরো আদেশ দিন।
তিনি বললেন তিক্ত হলেও সত্য কথা বলবে।
আমি নিবেদন করলাম, আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : ইসলামী আন্দোলন ( জিহাদ ) করাকে নিজের কর্তব্য বানিয়ে নাও। কারণ এটাই মুসলমানদের বৈরাগ্য।
আমি বললাম, আমাকে আরো কিছু বলুন।
তিনি বললেন : দরিদ্র লোকদের ভালোবাসবে এবং তাদের সাথে উঠাবসা করবে।
আমি বললাম, আমাকে আরো উপদেশ দিন।
তিনি বললেন : তোমার নিজের মধ্যে যেসব দোষ ত্রুটি আছে, সেগুলোর দিকে তাকাও। অন্যের মধ্যে যে দোষ ত্রুটি আছে তা খুজে বেড়ানো এবং বলে বেড়ানো থেকে বিরত থাকো।
অতপর তিনি আমার বুকে হাত মেরে বললেন, আবু যর ! কর্মকৌশল ও কর্মপ্রচেষ্টার চাইতে বড় বুদ্ধিমত্তা আর নেই। হারাম ও নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত থাকার চেয়ে বড় বীরত্ব কিছু নেই। আর সুন্দর ব্যবহারের চাইতে বড় কোনো ভদ্রতা নেই। (ইবনে হিব্বান)
সঠিক পথে চলোঃ
?আমার প্রভু আমাকে নয়টি নির্দেশ দিয়েছেন। সেগুলো হলো :
১. গোপনে ও প্রকাশ্যে আল্লাহকে ভয় করতে,
২. সন্তুষ্টি এবং অসন্তুষ্টি উভয় অবস্থাতে ন্যায় কথা বলতে,
৩. দারিদ্র ও প্রাচুর্য উভয় অবস্থাতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করতে,
৪. যে আমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে, তার সাথে সম্পর্ক জুড়তে,
৫. যে আমাকে বঞ্চিত করে, তাকে দান করতে,
৬. যে আমার প্রতি অবিচার করে, তাকে ক্ষমা করে দিতে,
৭. আমার নীরবতা যেনো চিন্তা গবেষণায় কাটে,
৮. আমার কথাবার্তা যেনো হয় উপদেশমূলক,
৯. আমার প্রতিটি দৃষ্টি যেনো হয় শিক্ষা গ্রহণকারী।
এ ছাড়া ও আমার প্রভু আমাকে আরো দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলো হলো :
১. আমি যেনো ভালো কাজের আদেশ করি এবং
২. মন্দ কাজ থেকে নিষেধ করি। (সহীহ বুখারী)
?আমার উম্মতের মধ্যে এমন একদল লোক আছে, যারা আল্লাহর কোন নিদর্শন দেখে প্রকাশ্যে হাসে কিন্তু গোপনে কাঁদতে থাকে। এদের দেহ এ জগতে, কিন্তু আত্মা রয়েছে অন্য জগতে। তাদের প্রাণ ইহলোকে কিন্তু জ্ঞান-বুদ্ধি পরলোকে। তারা গাম্ভীরয্য বিজায় রেখে চলে এবং উসিলা অবলম্বনে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে। (আল হাদিস)
? যদি কেউ তার জন্য নির্ধারিত জীবিকা থেকে দূরে থাকার জন্য পলায়নও করে, তবু রিযিক তার পেছনে পেছনে ছুটবে। মানুষ মৃত্যুর হাত থেকে যেমন পালিয়ে বাঁচতে পারে না, তেমনি রিজিকের হাত থেকেও পালিয়ে বাঁচা সম্ভব নয়। (আল হাদিস)
?আমার উম্মতের দুজন লোক নামায পড়তে দাড়ায়, তারা একইভাবে রুকু-সিজদা করে কিন্তু উভয়ের নামাযে আকাশ-পাতাল ব্যবধান হয়ে যায়। (আল হাদিস)
?পৃথিবীতে এমন একটি সময় আসবে যখন মানুষ অনাচার ও অপকর্মে লিপ্ত হতে দ্বিধা করবে না বরং পাপাচারের জন্য বীরত্ব প্রকাশ ও গৌরববোধ করবে। তখন তোমরা কেয়ামত আসন্ন মনে করবে। (মুসলিম শরীফ)
?আমার উম্মতের কিছু লোক ভাগ্যকে অস্বীকার করবে। আল্লাহ তাদের কিছুকে মাটিতে প্রোথিত করবেন আর কিছুকে বাদরে রূপান্তরিত করে দেবেন। (আল হাদীস)
?যে ব্যক্তি আমার উম্মতের ওপর জোরপূর্বক ক্ষমতাশীন হয় এবং আল্লাহ যাদের সম্মানিত করেছেন তাদের অপমান করে আর আল্লাহ যাদের অপদস্ত করেছেন তাদের সম্মানিত করে, সে অভিশপ্ত। -আল হাদীস
?যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টিমুলক কোন কাজের শপথ করে, তার সে শপথ পালন করা উচিত। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি আল্লাহর অসন্তুষ্টিমুলক কোন কাজের শপথ করে, তার সেটি পালন করা উচিত নয়। (বোখারী শরীফ)
?যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ে, নিশ্চয় সে শিরক করে। যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানোর উদ্দেশ্যে রোজা রাখে, সেও শিরক করে এবং যে ব্যক্তি মানুষকে দেখানো উদ্দেশ্যে দান-খয়রাত করে, সেও শিরক করে। -(মুসনাদে আহমদ)
?একদিন আমি (উম্মে সালামা) ও মায়মূনা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। এমন সময় (অন্ধ সাহাবী) আবদুল্লাহ ইবনে উম্মে মাকতুম (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর নিকট আগমণ করলেন। তখন রাসুলুল্লাহ (দঃ) আমাদেরকে বললেন, তোমরা পর্দার আড়ালে চলে যাও। আমি বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (দঃ) ! উনি কি অন্ধ নন ? তিনি তো আর আমাদেরকে দেখবেন না। রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, তোমরা কি তাকে দেখবে না। -(আল হাদীস)
?নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক ধনী মুসলমানদের ধন-সম্পদ হতে এমন পরিমাণ দিয়ে দেওয়াকে ফরজ করেছেন, যা তাদের দরিদ্র-নিঃস্ব প্রতিবেশীদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ট হতে পারে। বস্তুতঃ দরিদ্র-নিঃস্বরা যে ক্ষুধার্ত ও বস্ত্রহীন থেকে কষ্ট পায়, তার মূলে ধনী লোকদের আচরণ ছাড়া অন্য কোন কারণই থাকতে পারে না। নিশ্চয় জেনে রাখবে আল্লাহ্ পাক এসব লোকদের খুব শক্ত হিসাব নেবেন এবং তাদেরকে তীব্র পীড়াদায়ক শাস্তি দিবেন। (আল হাদিস)
?হিংসা মানুষের সওয়াবগুলোকে এমনভাবে ধ্বংস করে ফেলে, যেমনভাবে আগুন লাকড়িকে ছাইয়ে পরিণত করে। (আবু দাউদ)
?আমার পরে এমন একদল শাসক আসবে (নিষ্টুরতার ভয়ে) যাদের অন্যায় কথার প্রতিবাদ করিতে কেহই সাহস পাইবে না। এসব শাসকরা এমনভাবে জাহান্নামে প্রবেশ করবে, যেমন করে বানরের পাল একের পিছনে এক সারিবদ্ধ ভাবে ধাবিত হয়। (আল হাদিস)
?আবু হোরায়রা, দুনীতিগ্রস্ত সমাজে একদিন ইনসাফ প্রতিষ্টা করা আল্লাহ্ তায়ালার কাছে ষাট বছরের ইবাদত অপেক্ষা উত্তম। (আল হাদিস)
?যে ঘরে কুকুর রয়েছে, সে ঘরে ফেরেশতা প্রবেশ করে না। (আল হাদীস)
?দশ দিরহামের কমে মোহরানা হতে পারে না। -(আল হাদীস)
?কেয়ামতের দিন কোনো কোনো মানুষের সওয়াবের পরিমাণ হবে পাহাড় সমতুল্য। তা দেখে সেই ব্যক্তি অবাক হয়ে বলবে, এত সওয়াব আমি কোথা হইতে পেলাম। তখন তাকে বলা হইবে যে, তোমার সন্তানেরা তোমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে, সেই কারণেই তোমার এত নেকী হয়েছে। -(আল হাদীস)
?অহঙ্কারীকে আল্লাহ নীচু করে দেন এবং বিনয়ীকে আল্লাহ উঁচু করে দেন। -(আল হাদীস)
?আমি উত্তম চরিত্রকে পূর্ণতা দেওয়ার জন্য প্রেরিত হয়েছি। (আল হাদীস)
?যে ব্যক্তি ক্বদরের রাত পাওয়ার পর তাতে ইবাদত-বন্দেগী করবে, মহান আল্লাহ তার প্রতি জাহান্নামের আগুন হারাম করে দেবেন। -(আল হাদীস)
?যখন ঈমানদার ব্যক্তিকে কবরে রাখা হয় তখন তার নিকট মনে হবে যে সূর্য ডুবিতেছে। তার দেহে রুহ প্রবেশ করানোর পর তিনি চোখ মেলে উঠে বসবেন এবং ফেরেশতাদের বলবেন, আমাকে ছেড়ে দাও; আমি নামাজ পড়ব। -(আল হাদীস)
?এই উম্মতের প্রথম কল্যাণ এবং পূণ্যময় গুণ হলো ইয়াকীন (বিশ্বাস) এবং যুহদ (সংসার বিমুখতা) আর প্রথম মহাসংকট ও ধ্বংসাত্মক দোষ হলো কৃপণতা ও দীর্ঘায়ু লাভের বাসনা। (বায়হাকী)
? হে আদম সন্তান, কথা সরল ভাবে বলিও। কেননা ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলা শয়তানের কাজ। কোন কোন বক্তৃতায় যাদুকরী প্রভাব থাকে। (আল হাদিস)
?নিদ্রা তো মৃত্যুর সহোদর ভাই আর জান্নাতবাসীগণ মরবে না। (বায়হাকী)
?যে ব্যক্তি মদীনার সাতটি আজওয়া খেজুর খালি পেটে খাবে, যাদু-মন্ত্র তার ওপর কোনো ক্রিয়া করবে না। -(বোখারী শরীফ)
?যে শিক্ষার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি উদ্দেশ্য থাকে, তার দ্বারা দুনিয়াবী সুখ-সমৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করলে আখেরাতে বেহেশতের গন্ধও পাবে না। (আল হাদীস)
?জ্ঞানার্জনের জন্য দরকার হলে সুদূর চীন দেশে যাও। (বায়হাকী)
?যে ব্যক্তি কোন জ্ঞানী ব্যক্তির একদিন সেবা করল, সে যেন অন্য লোকের সত্তর বৎসর সেবা করল। (আল হাদিস)
? যে ঈমানদার ব্যক্তি মানুষের সহিত মেলামেশা করে এবং তাদের দেওয়া কষ্ট সহ্য করে, সে ঐ ব্যক্তি হইতে উত্তম, যে মানুষের সহিত মেলামেশাও করে না, তাদের দেওয়া কষ্টও সহ্য করে না। (আল হাদিস)
?প্রবৃত্তি (অর্থাৎ মনের ইচ্ছা) হলো আল্লাহর নিকট সর্বাধিক ঘৃণিত অনুসরণীয়, যাকে দুনিয়াতে উপাসনা করা হয় । (আল হাদিস)
?হে মানব জাতি! তোমরা মানুষকে পানাহার করাও, আত্মীয়দের সাথে সুসমপর্ক বজায় রাখ, প্রত্যেক মুসলমানকে সালাম দাও এবং রাতের সেই মুহূর্তে নামায পড় যখন সবাই ঘুমে বেঁহুশ হয়ে থাকে। এভাবে তোমরা নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। (আল হাদিস)
?শেষ জামানায় দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার আধিক্য দেখা দিবে। যে সেই যুগটি পাইবে, সে যেন ক্ষুধার্তদের প্রতি অবিচার (হৃদয়হীন আচরণ) না করে। (আল হাদীস)
?আজ এখানেই শেষ করছি,সবাই ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন আর নিত্য নতুন নতুন ট্রিক্স ও টিপস এবং ইসলামিক পোস্ট পেতে ট্রিকবিডির এর সাথেই থাকুন।
♥আল্লাহ হাফেজ