Site icon Trickbd.com

হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মহামূল্যবান বাণী [পার্ট ৭]

Unnamed

♥♥আসসালামু আলাইকুম♥♥

সবাই কেমন আছেন?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আর আপনাদের দোয়ায় আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।

পোস্টের বিষয়ঃ

?আবারও আপনাদের সামনে একটি ইসলামিক পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।আজকে আলোচনা করব।হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) মহামূল্যবান বাণী পার্ট ৭ নিয়ে আলোচনা করব।এর আগের পার্ট গুলো যারা দেখিনি প্লিজ তারা আগের পার্টগুলো পড়বেন।

?আগের পার্ট গুলো দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।

?প্রথম পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

?দ্বিতীয় পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

?তৃতীয় পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

?চার নাম্বার পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

?পাঁচ নাম্বার পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন।

?ছয় নাম্বার পার্ট পড়তে এখানে ক্লিক করুন

?হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মহামূল্যবান বাণী পার্ট ৬

?নামাজ ত কেবল নিরাশ্রয়তা, অসহায়তা ও কাকুতি-মিনতি ছাড়া অন্য কিছুই নয়। মানুষ তার নামাযের ঠিক ততটুকুই পাবে, যতটুকু সে বুঝে। (আল হাদিস)

?যে ব্যক্তির সর্বশেষ বাক্য “আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই’’ হবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। -(আবু দাউদ)

?একজন যুবতী মেয়ে রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর দরবারে এসে উপস্থিত হয়ে নালিশ করল যে, আমার পিতা আমাকে জোরপূর্বক এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছে যেই ছেলেকে আমি পছন্দ করি না। একথা শুনে রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ তুমি ইচেছ করলে এই বিয়ে বহাল রাখতে পারো আবার ভেঙ্গেও দিতে পারো। -(আবু দাউদ শরীফ)

?অনেক রোজাদার আছে এমন রোজার দ্বারা যাদের ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্ট ছাড়া আর কোন লাভ হয় না। (আল হাদিস)

?জামাতে নামায পড়া একাকী নামাযের তুলনায় সাতাইশ গুণ বেশী সওয়াবের। -(আল হাদিস)

?যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর আয়াতুল করসী পাঠ করবে, তার এবং জান্নাতের মধ্যে একমাত্র পর্দা হলো মৃত্যু। -(আল হাদীস)

?যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজ্জ করল, হজ্জ পালনকালীন সময়ে কামাচার ও পাপাচার থেকে বিরত থাকল, সে নবজাত শিশুর ন্যায় নিষপাপ হয়ে ফিরবে। -(আল হাদীস)

?হে মুসলমানগণ ! জুমু’আর দিনকে আল্লাহ্‌ পাক তোমাদের জন্য ঈদের দিন ধার্য করেছেন। অতএব এদিন তোমরা গোশল করবে, অবশ্যই মেসওয়াক করবে এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে। -(আল হাদিস)

?অহঙ্কারী, স্বৈরাচারীদের কেয়ামতের দিন ক্ষুদ্র পিপঁড়ার আকৃতিতে উঠানো হবে এবং লোকেরা তাদেরকে পায়ের তলায় পিষ্ট করবে। চারিদিক থেকে তাদের ওপর কেবল অপমান আর লাঞ্ছনাই আসতে থাকবে। -তিরমিজী

?হে ওমর ! তোমার তখনকার অবস্থা সম্পর্কে তুমি কি মনে কর, যখন তুমি মৃত্যুবরণ করবে এবং তোমার আত্মীয়-স্বজন তোমার জন্য চার হাত লম্বা ও আড়াই হাত প্রস’ কবর খনন করে তোমাকে গোসল করিয়ে কাফন পরিয়ে সেই কবরের মধ্যে রেখে তোমার উপর মাটিচাপা দিয়ে প্রত্যেকে যার যার বাড়ি ফিরে আসবে এবং তৎক্ষণাৎ তোমার কবরে মুনকার-নকীর নামক ভয়ঙ্কর চেহারার দুই ফেরেশতা এসে হাজির হবে। তাদের আওয়াজ হবে সহস্র বজ্রসম ভয়ঙ্কর, চক্ষুদ্বয় বিজলীর ন্যায় ভয়ানক উজ্জ্বল। তাদের ঘনকৃষ্ণ ও রুক্ষ কেশরাশি হবে মৃত্তিকা পযর্ন্ত বিক্ষিপ্ত, লম্বা লম্বা সুতীক্ষ্ম দনতপাটির দ্বারা কবরের মাটি লন্ডভন্ড করতে করতে এসে তোমাকে হাতের ওপর নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে নানাবিধ প্রশ্ন করতে থাকবে। হযরত ওমর (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-কে জিজ্ঞাসা করলেন ঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) ! আমার বুদ্ধিশুদ্ধি কি তখন ঠিক থাকবে ? তিনি বললেন ঃ হ্যাঁ, তোমার বুদ্ধি ঠিক থাকবে। হযরত ওমর (রাঃ) বললেন ঃ তাহলে আমার ভয়ের কিছূ নাই। আমি তাদের প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়ে দিব। (আল হাদিস)

?তোমাদের কারও পক্ষেই আল্লাহর সম্পর্কে সুধারণা পোষণ ব্যতিত মৃত্যুবরণ করা উচিত নয়। (আল্লাহ বলেন) আমি আমার বান্দার সাথে তেমন ব্যবহার করি আমার সম্পর্কে সে যেমন ধারণা রাখে। (আল হাদিস)

?ঈমানদার ব্যক্তির মৃত্যুর পর জমীন চল্লিশ দিন পযর্ন্ত ক্রন্দন করে থাকে। -(আল হাদীস)

?তোমাদের মধ্যে কেউ হজ্জ করতে বাধাগ্রস’ হলে সে কাবা শরীফের তাওয়াফ ও সাফা মারওয়া সাঈ করবে। অতঃপর সবকিছু থেকে মুক্ত হয়ে পরের বছর হজ্জ করবে। সে কোরবানী করবে কিংবা কোরবানীর পশু না পেলে রোজা রাখবে। -(আল হাদীস)

?জুমু’আর নামাযের জন্য পায়ে হেটে গেলে প্রতি পদক্ষেপে এক বছর নফল রোজার সওয়াব পাওয়া যায়। -(তিরমিযী শরীফ)

?যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজ থেকে বিরত থাকে, সে তার ধর্মকে রক্ষা করে। আর যে ব্যক্তি সন্দেহজনক কাজে লিপ্ত হয়, পরিণামে সে হারাম কাজে জড়িয়ে পড়ে। (আল হাদিস)

?কোন ব্যক্তি কেবলমাত্র তার পূণ্যের জোরে বেহেশতে যেতে পারবে না যদি না আল্লাহর অনুগ্রহ হয়। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন ঃ আপনিও কি ? রাসুলু্‌ল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ হ্যাঁ , আমিও। (আল হাদিস)

?যে ব্যক্তি ফজরের নামায আদায়ের পর সূর্যোদয় পযর্ন্ত আল্লাহর জিকিরে মশগুল থেকে সূর্যোদয়ের পর দু’রাকাত (এশরাকের) নামায আদায় করবে, সে ব্যক্তি একটি হজ্জ ও ওমরার সওয়াব লাভ করবে। -(তিবরানী শরীফ)

?যে মুসলমান আমার ইনেতকালের পরে আমার রওজা জিয়ারত করবে সে তদ্রুপই বরকত পাইবে যদ্রুপ আমার জীবিত অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাত করিলে পাইত। (আল হাদিস)

?আমি তোমাদের জন্য দু’টি জিনিষ রেখেগেলাম । যতদিন তোমরা এ দু’টি জিনিসকে আকড়ে রাখবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না । একটি হল আল্লাহর কিতাব অর্থাৎ কোরআন আর অপরটি হল আমার সুন্নাহ অর্থাৎ হাদীস ।

?চরিত্রের মধ্যে যদি সত্যের শিখা দীপ্ত না হয় তবে জ্ঞান, গৌরব, আভিজাতা শক্তি সবই বৃথা

?যা পচে গেছে, যা মরে গেছে তাকে সিল্কের কাপড় দিয়ে জড়িয়ে রাখলে লাভ কি ? তাতে আর নবজিবন আসবে না । আজ যাতে জীবন নেই যাতে গেছে জীবনের স্পন্দন তা যেমন নিজেকে চালাতে পারেনা, অপরকেও চালাতে পারে না । তেমন জিনিস যদি আমাদের অতি প্রিয় জিনিসও হয় তাকে কবর দিয়ে আমাদের এগিয়ে চলতে হবে; জীন মানে এগিয়ে চলা

?আদর্শ হচ্ছে এমনি এক প্রহরী যা মানুষকে সৎপথে চলতে শেখায়

?আদর্শবান লোকদের বন্দুর সংখ্যা কম থাকে

?মিখ্যা বলা যাদের অভ্যাস, তারা নিত্য নতুন বিষয়ের অবতারণা করতে পারের কী অদ্ভুত রীতি । শুড়ি দোকন জোঁকে বসে থাকে আর দুনিয়ার লোক তার দাকানে গিয়ে মদ কিনে । ওদিকে দেখ, দুধওয়ালাকে ঘরে ঘরে ধন্না দিয়ে বেচতে হয়

?তব্যসাধনে ও কথাবার্তায়া যখনই নিজের ত্রুটি দেখিতে পাইবে স্বীকার করিও । উন্নতির পথে আবর্জনা জন্মিতে দিও না

?নিজের বিপদের কথা শত্রুকে বলো না, সে মুখে দুঃখ প্রকাশ করবে আর অন্তরে উল্লাস বোধ করবে
নকে কলঙ্কিত কর কোন ক্ষতি নেই, আল্লাহকে ডাকলেই সকল পাপ ধুয়ে যাবে । এটা যে মিথ্যা একথা সকলেই বিশ্বাস করো

?একটি ফুল দিয়ে কখনো মালা গাঁথা যায় না, তেমনি একটি ভাল কাজ করে জীবকে সুন্দর করা যায় না

?প্রার্থনায় মন সামলাও, মজলিসে বাক্য সামলাও, ক্রোধে হাত সামলাও, আহারে পেট সামলাও

?আত্মার সাত্বিক কাছে জড়দেহের ভোগ, সুখের মূল্য কিছুই না যত দিন না মানুষ পরকে সুখ দিতে আনন্দ বোধ করবে ; তত দিন তার যথার্থ কল্যণ নাই

?যে তার গোপনীয় কথা ভৃত্যকে বলে, সে ভৃত্যকে প্রভুতে রুপান্তরিত করে

?নামে মানুষকে বড়ো করেনা, মানুষই নামকে জাকাইয়া তোলে । মন্দ কজ করিলেই মানুষের বদনাম হয়, ভাল কাজ করিলেই মানুষের সুনাম হয় । বাবা কেবল একটা নামই দিতে পারে কিন্তু ভাল নাম কিংবা মন্দ নাম সে নিজেই দেয়

?পাঁচটি ঘটনার পূর্বে পাঁচটি জিনিস মূল্যবান জ্ঞান করিবেঃ তোমর বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে তোমার যৌবনকে, ব্যাধির পূর্বে স্বাস্থ্যকে, দ্রারিদ্রোর পূর্বে সচ্চলতাকে,

কর্মব্যস্ততার পূর্বে অবসরকে এবং মৃত্যুর পূর্বে জীবনকে

?হে মুসলিম নারীগণ ! কোনো নারী যেন তার প্রতিবেশী নারীকে উপহার দেওয়াকে তুচছ মনে না করে, যদিও তা একটি বকরীর খুর হোক না কেন । (বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)

?আমার উম্মতের মধ্যকার যারা ভাগ্যে বিশ্বাস করে না, তারা অগ্নিপূজক সমতুল্য। এদের কেউ অসুস্থ হলে তোমরা তাদের দেখতে যাবে না । এদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের জানাযায় যাবে না । – আল হাদীস

?নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে এমন একটি অংশ আছে যা পবিত্র থাকলে গোটা দেহটাই সুস্থ থাকে আর তা কলুষিত হলে গোটা দেহটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে । জেনে রেখো তার নাম হলো অন-করণ। – আল হাদীস

?যে রাতে আমাকে উর্ধ্ব ভ্রমণ করানো হলো সে রাতেই আমি জান্নাত পরিদর্শন করেছিলাম । জান্নাতে আমি চারটি নদী দেখেছিলাম যার একটি পানির , একটি দুধের , একটি পবিত্র শরাবের এবং একটি মধুর। – আল হাদীস

?আল্লাহর কসম, সেই ব্যক্তি ঈমানদার নয় । (এভাবে তিনবার বললেন) জিজ্ঞেস করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল (দঃ) , কে ঈমানদার নয় ? তিনি বললেন, সেই ব্যক্তি যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশীরাও রেহাই পায় না । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

?আল্লাহ জ্ঞানকে মানুষের নিকট হইতে বলপূর্বক কেড়ে নিবেন না বরং জ্ঞানীদেরকে উঠিয়ে নিয়ে জ্ঞানকে উঠিয়ে নিবেন । যখন পৃথিবীতে কোন জ্ঞানী ব্যক্তি থাকবে না , তখন মানুষেরা মূর্খদেরকে নিজেদের নেতা নিযুক্ত করবে এবং তাদের নিকটই সব কিছু জানতে চাইবে । তারা অজ্ঞতার কারণে ভুল ফতোয়া দিয়ে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

?কেউ কোন সমপদের মালিক হলে বছরানেত তার উপর যাকাত ফরজ হবে । যাকাত ছাড়াও দেয় আছে । (তিরমিযী , মুসলিম)

?আমি যদি মানুষকে নির্দেশ দিতাম কাউকে সেজদা করার জন্য তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সেজদা করার জন্য । – আল হাদীস (তিরমিযী)

তোমরা শিশুদের ভালবাস এবং তাদের প্রতি মমতা প্রদর্শন কর। তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ কর। কেননা তারা তোমাদেরকে তাদের রিজিকদাতা মনে করে থাকে । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

?এক মজলিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , যে ব্যক্তির অনতরে সরিষার দানা পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন , “ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ! আমি পরিচছন্ন জামা-জুতো পরিধান করতে পছন্দ করি । এটাও কি অহঙ্কারের পর্যায়ে পড়ে ”? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , “ না । আল্লাহ সুন্দর , তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন এবং বান্দাদের যে নেয়ামত দান করেছেন , তার কিছূটা বহিঃপ্রকাশও তিনি দেখতে চান । সমপদ থাকা সত্ত্বেও হত-দরিদ্রের বেশ ধরে থাকাকে তিনি পছন্দ করেন না । প্রকৃতপক্ষে অহঙ্কার হলো অন্যকে তুচছ জ্ঞান করা । যে ব্যক্তি নিজ হাতে জুতা পরিস্কার করে , প্রয়োজনে নিজের পোষাকে তালি লাগায় এবং সময়মত আল্লাহকে সেজদা করে , (ধরে নেওয়া যায়) সে অহঙ্কার থেকে মুক্ত । (আল হাদীস)

?কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পযর্ন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পযর্ন্ত না সে চারটি বিষয়ের প্রতি ঈমান আনবে। যথা-
(১) আল্লাহ ব্যতিত কোন উপাস্য নেই- বলে সাক্ষ্য দেওয়া এবং ঘোষণা করা।
(২) আমি যে আল্লাহর রাসুল এবং তিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরন করেছেন ।
(৩) মৃত্যু এবং পুনঃরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা।
(৪) তকদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। – আল হাদীস

?সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো কোনো ব্যক্তির এমন বস্তু প্রদর্শন করা যা তার চক্ষুদ্বয় দর্শন করেনি। — আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

?যে ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান অন্বেষণে লিপ্ত থাকে , আল্লাহ স্বয়ং তার জীবিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন । (কানযুল উম্মাল)

?হে লোকেরা ! বাকশক্তিহীন প্রাণীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় কর। (আল হাদীস)

?তোমাদের কেহ পূর্ণ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন- না সে নিজের ভাইয়ের জন্য তাই পছদে করবে , যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))

?যদি এমন কারো উপরে তোমাদের দৃষ্টি পড়ে যে সম্পদ এবং সৌন্দর্যের দিক থেকে তোমাদের চাইতে শ্রেষ্ট তাহলে সে যেন এমন ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে যে এই বিষয়ে তার চাইতে নিকৃষ্ট । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

কেউ যদি একটি গাছের চারা লাগায় আর তা থেকে কোন মানুষ বা অন্য কোন সৃষ্টজীব কিছু খায় তবে তা সেই ব্যক্তির জন্য দান হিসাবে গণ্য হবে । (আল হাদিস)

?জ্ঞান হলো কর্মের নেতা এবং কর্ম হলো জ্ঞানের অনুসারী । (মিনহাজুল আবেদীন)

?ব্যভিচারী ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , মদ্যপ যখন মদ পান কবে তখন সে ঈমানদার থাকে না । (বোখারী ,মুসলিম )

?প্রতিটি বিষয়ই ভাগ্যলিপি অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে , এমনকি অক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তাও । (মেশকাত)

?তোমাদেব কেউ যেন নিজের স্ত্রীকে ভৃত্যের ন্যায় প্রহার না কবে। কারণ দিনের শেষে সে তো আবার সেই স্ত্রীর সাথেই সঙ্গম করবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

?দুনিয়া ধ্বংস প্রাপ্ত হবে না যে পযর্ন্ত না আমার খান্দানের এক ব্যক্তি সমগ্র আরব ভূ-খন্ডের অধিপতি না হবে। তাঁর নাম হবে আমার নামে। — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

?তোমরা কবরের নিকট আসা-যাওয়া করিও । এদ্বারা হিংসা রোগ দূর হয়ে যায় এবং বিরাট উপদেশ লাভ হয় । – আল হাদীস

?তোমরা দু’টি অভিশাপযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকবে, যথা- লোকের চলাচলের রাস্থায় এবং গাছের ছায়ায় বিশ্রাম গ্রহণের স্থানে মল-মুত্র ত্যাগ করা। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)

?প্রকৃত সম্পদশালীতা ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে উপর নির্ভরশীল নয় বরং প্রকৃত ধনাঢ্যতা হলো অন-রের বড়ত্ব। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

?তুমি মোমিন ব্যতিত কারো সঙ্গ লাভ করো না এবং তোমাদের নিমন্ত্রণের খাবার যেন ধার্মিক লোক ভিন্ন কেহ আহার না করে। – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

?আল্লাহর নিকট বৈধ কাজসমূহের মধ্যে তালাক হইল সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

?নবী করীম (দঃ)-এর নেতৃত্বাধীন কোন যুদ্ধে এক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল। এতে নবী করীম (দঃ) খুবই মর্মাহত হলেন এবং নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করে দিলেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

?কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সময় যদি তার কপাল ঘর্ম সিক্ত হয় , চক্ষু থেকে অশ্রু বের হয় এবং নাকের ছিদ্র প্রসারিত হয় , তবে তা রহমতের লক্ষণ। পক্ষান্তরে গলা থেকে যদি উটের গলা টিপার ন্যায় আওয়াজ আসতে থাকে এবং চেহারা মলিন হয়ে মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে , তবে তা আজাবের লক্ষণ। – আল হাদীস

?যে ব্যক্তি ঋতুস্রাব অবস্থায় স্ত্রীসহবাস করল , স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করল কিংবা কোন জ্যোতিষীর কাছে গেল , সে মোহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্মকে অস্বীকার করল । – আল হাদীস (তিরমিযী)

?কেয়ামতের দিন তোমাদের কেউ যেন এই অবস্থায় আমার নিকট না আসে যে তার ছাগল তার ঘাড়ের ওপর চাপানো থাকবে আর তা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতে থাকবে এবং সে আমাকে (সাহায্যের জন্য) ডাকতে থাকবে। আমি বলবো , তোমার জন্য আজ আমি কিছুই করতে পারবো না । আমি তো আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ তোমাকে পৌছে দিয়েছিলাম । – আল হাদীস

?আমি সুদীর্ঘ দশ বৎসর রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর সেবা করেছি। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি একদিনও আমাকে বলেননি যে একাজটি কেন করলে বা ঐকাজটি কেন করলে না । (আল হাদীস)

?আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বেই আল্লাহ সকল সৃষ্টজীবের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন । তখন আল্লাহর সিংহাসন ছিল পানির উপর। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)

?কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে , রমজানের রোজা রাখে , নিজের সতীত্ব রক্ষা করে চলে এবং স্বামী আদেশ মেনে চলে , তবে সে যে দরজা দিয়ে ইচছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)

?আজ এখানেই শেষ করছি,সবাই ভালো থাকুন সুস্হ থাকুন আর নিত্য নতুন নতুন ট্রিক্স ও টিপস এবং ইসলামিক পোস্ট পেতে ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন।

♥আল্লাহ হাফেজ

Exit mobile version