Site icon Trickbd.com

মেরাজ, শবে মেরাজ কিভাবে আসলো। সম্পূর্ন ঘটনা

Unnamed

আসসালাতু আলাইকুম
আজ শবে মেরাজ,,
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আজকের এই দিনে আল্লাহ্‌র সাথে দিদার করার জন্য উর্ধ আকাশে পরিভ্রমণ করেন। তিনি মসজিদুল হারাম থেকে বুরাক যানবাহ নিয়ে মসজিদুল আকসা ( বর্তমানে: জেরুজালেম) পৌঁছান। সেখানে তিনি বুড়াক যানবাহটা একটি দরজার সাথে বেধে রাখেন। এবং সেখানে তিনি ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করেন। সেখানে হযরত আদম থেকে ঈসা (আঃ) সকল নবি সেখানে নবিজীর ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন। তার পর জিবরাইল (আঃ) কে নিয়ে মসজিদুল আকসা থেকে উর্ধ আকাশে পরিভ্রমণ শুরু করেন। প্রথম আসমান পাড়ি দিয়ে ২য় আসমানে আদি পিতা হযরত আদম (আঃ) এর সাথে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর দেখা হয়। জিবরাইল (আঃ) বলেন ইনি হচ্ছে আপনার আদি পিতা সালাম দিন। নবি মুহাম্মদ (সাঃ) আদি পিতাকে সালাম দিলেন। এর পর ২য় আসমান এ হযরত নুহ (আঃ) এর সাথে দেখা হয় জিবরাইল (আঃ) নুহ (আঃ) কে ও সালাম দিতে বলেন। এভাবে তিনি ৬ষ্ট, ৭ম আসমানে মুসা (আঃ) ও ঈসা (আঃ) কে সালাম দেয়। ঈসা (আঃ) নবি মুহাম্মদ (সাঃ) কে বলেন তিনি তাহার উম্মত হিসেবে দুনিয়াতে আবারর আসবেন এবং তিনি পৃথিবীতে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করবেন। দাজ্জাল কে খতম করবেন। ইয়াজুজ মাজুজ কে ধ্বংস করার জন্য আল্লাহুর কাছে দোয়া করবেন। সে দোয়া আল্লাহ কবুল করবেন।
এবার নবী মুহাম্মদ (সাঃ) সিদাতুল মুন্তাহায় পৌঁছায়। সেখানে তিনি একটা গাছ দেখয়ে পান। সে গাছে রং পৃথিবীতে নেই। অন্য একটি রঙ। যা পরিবর্তন হচ্ছে। সেখানে দুটি নদী দেখতে পান। যার একটি হচ্ছে পৃথিবীর নীল নদ ও অন্যটি হাউজে কাউসার।
তার পর আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি কলম কে দেখতে পান। এবং তার লিখার আওয়াজ নবিজী পাচ্ছিলেন।
এর পর তিনি আল্লাহর সাথে দিদার করেন। আল্লাহ তালা মহানবী (সাঃ) উদ্দেশে দরুদ পাঠা করেন। এর আগে জিবরাইল (আঃ) তার নিজের রুপ প্রকাশ করেন। নবিজী অবাক হয়ে যান যে তিনি তার সামনে একটি পড়ে থাকা ন্যাকড়ার সমান তবও তাকে সেখানে অসম্মান করা হয় নি। । এর নবিজী ৫০ ওয়াক্ত সালাত নিয়ে আসে। আল্লাহ তালা বলেন তার দীন আজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মেরাজ থেকে নবিজী প্রথমে একটি ঘ্রাণ পান। নবিজী জিজ্ঞাস করেন এটা কিসের ঘ্রাণ। জিবরাইল (আঃ) বলেন এটা হচ্ছে ফেরাউন এর এক দাস এর ঘ্রাণ যে আল্লাহ তালার জন্য নিজের সর্বস্ব পরিত্যাগ করেছিলেন। তিনি আরো বলেন,,, ফেরাউন কে তিনি খোদা মানার না জন্য তার সামনে তার পরিবার এর সমস্ত সদস্য কে ফুটন্ত তেলে নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। তার পর ও তিনি তাকে খোদা দাবী করেন নি। তার পর তার কোলের দুধের শিশুকে ফুটন্ত তেলে নিক্ষেপ করে। তাও তার সিদ্ধান্ত পাল্টায় না। এর পর তাকে ও ফুটন্ত তেল এ নিক্ষেপ করায় হয়।
এঘটনা যেন নবিজির মনে নতুন প্রাণ স্পন্দ ও সাহস যোগাল।
তার পর তাকে জাহান্নাম দেখানো হয়। তিনি জাহান্নাম এর গেট এর কাছে এজন নবীকে দেখতে পান। তার মুখ খানা ভেজার ও গুমড়া ছিলো। জিবরাইল (আঃ) বলেন এই নবী জন্মের পর কোন দিন হাসে নি। সে জাহান্নাম এর সর্দার।

আল্লাহ যেন আমাদের তার সাথে দেখা না করান (আমিন)
তার নবিজী দেখতে পান একলোক কে গরম কয়লা খাওয়ানো হচ্ছে এবং তা পায়ু পথ দিয়ে বের হচ্ছে তিনি এটা দেখা অবাক হয়ে যান। জিবরাইল (আঃ) বলেন যে দুনিয়ার বুকে এতিম এর টাকা, সম্পত্তি আত্মনাশ করে, তাদের এই শাস্তি দেওয়া হয়।
তার পর তিনি আরো দেখতে পান এক জন তার নিজের নখ বড় হয়ে গিয়েছে। এবং তা দিয়ে নিজের শরিলে দাগ কাটতেছে। জিবরাইল (আঃ) এ দুনিয়ার হিংসা করেছিল তাই তাকে এই শস্তি দেওয়া হচ্ছে।
এভাবে তিনি জাহান্নম ও জান্নাত ঘুরে ঘুরে দেখেন।
তার পর ৫০ওয়াক্ত সালাত নিয়ে দুনিয়াতে পরিভ্রমণ এর উদ্দেশে রওনা হয়। দুনিয়াতে ফিরার পথে মুসা (আঃ) এর সাথথে দেখা হয়। এবং নবিজী ৫০ ওয়াক্ত সালাত এর কথা তিনি তাকে জানায়। মুসা (আঃ) এ আদেশ পরিবর্তন এর জন্য আল্লাহর কাছে অনুরুধ করতে বলেন। পরিশেষে ৫ ওয়াক্ত সালাত প্রতিষ্ঠিত হয়। আল্লাহ তালা বলেন সালাত ৫ ওয়াক্ত হলেও সওয়াব ৫০ওয়াক্ত এর সমান হবে।
এর পর তিনি এই আদেশ নিয়ে পৃথিবিতে ফিরে আসেন। পৃতিবীতে এসে তিনি একটি হারানো উটট দেখতে পান এবং তাদের ২ জন খুজতেছে এমন কাউকে দেখতে পান। নবিজী তাদের উট এর সন্ধান করে দেয়।
এর পর তিনি বুড়াক নিয়ে মসজিদুল হারাম এ পৌছায়।
তিনি সর্ব প্রথম আবু জাহির কে দেখেন এবং তাকে এই ঘটনা বলেন। আবু জাহের আরো কিছু লোক এর সমাগম করেন তিনি ভাবেন তাকে কিছু করতে হবে। মানুষ ই নবিজীর কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে যাবে। নবিজী তাদের সব ঘটনা খুলে বলেন।
এই ঘটনা শুনে এক দল লোক বিশ্বাস করে। ও এক দল লোক হাসতে থাকে। যারা হাসতে তাদের এক জন জেরুজালেম এর বননা জানতে চায়।
আল্লাহর কুদতে নবি মুহাম্মদ (সাঃ) তার সঠিক বর্ননা দেন। এই বর্ননা শুনে এক ইহুদি তা বিশ্বাস করেন। সে ইহুদি জেরুজালেম এর রক্ষক দায়িত্বে ছিলেন।
ইহুদি কে প্রশ্ন করা হয় তিনি কেন এটা বিশ্বাস করলেন। ইহুদি বলেন নবিজী যাওয়ার তিনি প্রমাণ পেয়েছেন। কারণ জেরুজালেম এর একটি দরজা তিনি বন্ধ করতে পাচ্ছিলেন না। তার বিশ্বাস সেখানে এই বুড়াক যানবাহন টা বাধা ছিলো।
নবিজীকে আর প্রশ্ন করা হয়েছিলো আল্লাহ দেখতে কেমন। তিনি বলেছিলেন, তিনি তাকে দেখতে পারেন নি শুধু তাহার নূর এর হিজাব দেখতে পেয়েছিলেন।
এটায় ছিল মেরাজ ঘটনা ভূল হলে ক্ষমা করবেন।
এই ঘটনা আমি নিজে হাত লিখেছি। তাই কপি এর বলার অবকাশ নেই।