আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন,
ট্রিকবিডিতে সব সময় প্রোযুক্তি নিয়ে পোস্ট করতে হবে শুধু তাই নয়,
প্রোযুক্তির পাশাপাশি ধর্মকেও আমাদের জানা ধরকার,
সালাতুত তাসবিহ এর নামাজ কাকে বলে?
যে নামাজে বার বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ তাসবিহটি পড়া হয়, ওই নামাজকে সালাতুত তাসবিহ বা তাসবিহ-এর নামাজ বলে
সালাতুত্ তাসবীহ হলো, এক সালামে ৪ রাক’য়াত সালাত; যার মধ্যে মোট ৩০০ বার নিম্নের তাসবীহ পাঠ করতে হয়।
ﺳُﺒﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠﻪِ ﻭَﺍﻟﺤَﻤﺪُ ﻟﻠﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﺍِﻟﻪَ ﺍِﻻ ﺍﻟﻠﻪُ ﻭَﺍﻟﻠﻪُ ﺍَﻛﺒَﺮُ
এ নামাজের ফজিলত বর্ণনা করেছেনঃ
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
যা তিনি তাঁর চাচা হজরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বর্ণনা করে শোনান। দীর্ঘ হাদিসটি তুলে ধরা হলো-
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, ‘একদিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (আমার পিতা) হজরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিবকে বললেন, ‘হে আব্বাস! হে চাচাজান!
আমি কি আপনাকে দেব না?
আমি কি আপনাকে দান করব না?
আমি কি আপনাকে সংবাদ দেব না?
আমি কি আপনার সাথে দশটি সৎকাজ করব না? (অর্থাৎ দশটি উত্তম তাসবিহ শিক্ষা দেব না)
আপনি চার রাকাআত নামাজ পড়বেন এবং প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা পাঠ করবেন এবং যে কোনো একটি সুরা মেলাবেন।
(অর্থাৎ প্রত্যেক রাকাআতে এ তাসবিহটি ৭৫ বার করে আদায় করতে হবে।)
(চার রাক‘য়াতের প্রতি রাক‘য়াতে)
১. সূরা ফাতিহা পড়ার পূর্বে (প্রথম রাক’য়াতে ছানা পড়ার পরে) ১৫ বার
২. সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা পড়ার পরে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে দাড়ানো অবস্থায় ১০ বার
৩. রুকুর তাসবীহ শেষ করে রুকু অবস্থায় ১০ বার
৪. রুকু থেকে দাঁড়িয়ে রব্বানা লাকাল্ হামদ বলার পরে হাত ছাড়া অবস্থায় ১০ বার
৫. প্রথম সিজদার তাসবীহ শেষ করে সিজদারত অবস্থায় ১০ বার
৬. প্রথম সিজদা থেকে উঠে বসে অর্থাৎ দুই সিজদার মাঝে বসা অবস্থায় ১০ বার
৭. দ্বিতীয় সিজদার তাসবীহ শেষ করে সিজদারত অবস্থায় ১০ বার
উক্ত নিয়মানুযায়ী মোট ৪ রাক‘য়াত সালাত আদায় করতে হবে।
প্রতি রাক‘য়াতে উক্ত তাসবীহ ৭৫ বার করে মোট (৭৫x৪) = ৩০০ বার পাঠ করতে হবে।
প্রথম বৈঠকে তাশাহুদের সাথে দুরূদ শরীফ পাঠ করা উত্তম । এরপর আল্লাহু আকবার বলে দাড়িয়ে উক্ত নিয়মে বাকি ২ রাক‘য়াত সালাত শেষ করতে হবে।
**হাদীস শরীফের আলোকে সালাতুত্ তাসবীহ আদায়ের গুরুত্ব:
পবিত্র হাদীস শরীফে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (দ.) তার আপন চাচা হযরত আব্বাস (রা.) কে এভাবেই প্রত্যেক দিনে একবার অথবা প্রত্যেক সপ্তাহে একবার অথবা প্রত্যেক মাসে একবার অথবা প্রত্যেক বছরে একবার অথবা জীবনে একবার হলেও অবশ্যই এই সালাত আদায় করার জন্য জোড়ালোভাবে নির্দেশ দিয়েছেন।
**সালাতুত তাসবীহ এর ফযীলত:
প্রিয় নবী (দ.) বলেছেন, উক্ত নিয়মে ৪ রাকা’আত নামাজ আদায় করলে তার জীবনের আগের-পরের, পুরাতন-নতুন, ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, ছগীরা-কবীরা, গোপন-প্রকাশ্য সকল গুনাহ আল্লাহ তা‘য়ালা মাফ করে দিবেন।
(সুনানুত তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনু মাজাহ, বায়হাক্বী শরীফ)
সুতরাং রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে পড়ার মাধ্যমে প্রতিদিনের পড়ার হক আদায় হয়ে যেতে পারে।
কেননা লাইলাতুল কদর হাজার রাতের চেয়ে উত্তম। আর লাইলাতুল কদরে এ নামাজ পড়ার অর্থই হলো ১ হাজার সালাতুত তাসবিহ পড়ার সমান।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে রমজান মাসে তাসবিহ নামাজসহ যে কোনো নামাজ এবং ইবাদত-বন্দেগি যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
সম্মানিত বিসিটর আপনার মূল্যবান সময় নিয়ে পোস্টি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ,
আশা করি আমল করবেন,
আর সময় পেলে আমার সাইট টি ঘুরে আসবেন
আশা করি ভালো লাগবে
NewTips24.Us