আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
আল্লাহ সবচেয়ে কখন বেশি খুশি হয়
আল্লাহ রব্বুল আলামীন সবচেয়ে বেশি খুশি হন তখনই যখন বান্দ নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে থাকে। প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আল্লাহ সবচেয়ে বেশি খুশি হন তখনই যখন বান্দা নিজের ভুল স্বীকার করে আল্লাহ কাছে ক্ষমা চায়। আল্লাহ তায়ালা কাছে এক অফুরন্ত রহস্যের নাম তওবা বা ইস্তেগফার। যে রহস্য একমাত্র আল্লাহ তায়ালা জানেন। কেননা তিনি তওবা কবুল করে থাকেন।
আল্লাহ তায়ালা সবচেয়ে বেশি খুশি হন তখনই যখন বান্দা নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা লাভের আশায় আল্লাহ তায়ালা কাছে ফিরে আসে।কাতর কন্ঠে ফরিয়াদ জানার হে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমার কাতর কন্ঠ কবুল করুন। প্রিয় নবী রাসূল (সাঃ) ক্ষমা লাভের তওবা ও ইস্তেগফার প্রসঙ্গে অনেক হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ বলেন,হে আদম সন্তান। যতক্ষণ তুমি আমার কাছে দোয়া করতে থাকবে এবং আমার কাছে প্রত্যাশা করবে ততক্ষণ আমি তোমার গুনাহ ক্ষমা করতে থাকবো তোমার গুনাহের পরিমান যত বেশিই হোক কিংবা যত বড়ই হোক না হেন! ঐ গুনাহের পরিমান যদি আসমান পর্যন্ত পৌঁছে যায় এবং তুমি যদি আমার কাছে ক্ষমা চাও। তবে আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিবো। এ ব্যাপারে আমি কোন পরোয়া করবো না। হে আদম সন্তান!তুমি যদি আমার কাছে পৃথিবীর গুনাহ সহ উপস্থিত হও আর আমার সঙ্গে কাউকে শিরক না করো তাহলে আমিও ঠিক পৃথিবীর সমান ক্ষমা নিয়ে তোমার কাছে এগিয়ে যাব।(সূত্র জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৫৪০)
অন্য হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন → পাপের কাফফারা হলো অনুতাপ। আর অনুতাপ এই হচ্ছে তওবা। (সূত্র মুসনাদে আহমদ)
রাসূল (সাঃ) আর বলেছেন →যা থেকে আমি তোমাদেরকে নিষেধ করেছি,তা পরিহার কর। (মুসলিম ৪৩৪৮) তিনি আরো বলেছেন → আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দার তওবা কারণে অধিকতর আনন্দিত হন,অধিকতর খুশি হন (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৭৪৪)
আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন → তোমাদের কেউ তার হারানো মাল পুনঃপ্রাপ্তিতে যতটা আনন্দিত হয়,তোমাদের কারো তওবায় আল্লাহ তায়ালা তার চেয়ে অধিক আনন্দিত হয়,অধিক খুশি হয়।(সূত্র জামে তিরমিযি হাদীস নং ২৪৯৯)
আল্লাহ তায়ালা বলেন→নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবা কবুলকারী,দয়ালু। অবশ্যই আল্লাহ তাদের তওবা কবুল করেন। যারা ভুলবশত মন্দ কাজ করে, অতঃপর তখনই তওবা করে। এরাই হলো সেসব লোক যাদের আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ মহাজ্ঞানী, মহা রহস্যবিদ
আর এমন লোকের জন্য ক্ষমা নেই, যারা মন্দ কাজ করতেই থাকে, এমনকি যখন তাদের কারো মাথার উপর মৃত্যু উপস্থিত হয়,কখন বলতে থাকে আমি এখন তওবা করছি।আর তওবা নেই তাদের জন্য, যারা কুফরি অবস্থার মৃত্যুবরণ করে। আমি তাদের জন্য যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছি। (সূরা আন নিসা ১৬-১৮)
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত জায়েদ (রা.) বর্ণনা করেন, হযরত নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেছেন → যে ব্যক্তি এই দোয়াটি পাঠ করবে তার (জীবনের) সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যাবে এবং এমনকি যে যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করার মতো গুনাহ করলেও,আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন।(আবু দাউদ ১৫১৯,তিরমিযি ৩৬৭৭)
দোয়াটি হলো →
আসতাগফিরুল্লাহাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়্যুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি
অর্থ → আমি আল্লাহ কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব। তিনি নিখিল সৃষ্টির পরিচালক। আমি তার কাছেই ফিরে যাব।(আবু দাউদ ১৫১৯, তিরমিজি ৩৫৭৭)
তাই প্রিয় বন্ধুরা মানুষের উচিত ক্ষমা লাভের তওবা এবং ইস্তেগফার করা। কেননা মুক্তির একমাত্র পথই হচ্ছে আল্লাহর দরবারে তওবা এবং ইস্তেগফার।আল্লাহ তায়ালা যেন সকল মুসলিম উম্মাহকে তওবা এবং ইস্তাগফার এর মাধ্যমে ক্ষমা করে দেন।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে ইসলামি দাওয়াতে আপনিও অংশগ্রহণ করুন।প্রিয় বন্ধুরা জানার স্বার্থে দাওয়াতি কাজের স্বার্থে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।হতে পারে আপনার একটি শেয়ার বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।