Site icon Trickbd.com

সূরা ইখলাস সম্পর্কে কতটুকু জানেন। সূরা ইখলাস এর শক্তি দেখুন।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

সূরা ইখলাস এর শক্তি দেখুন।

সূরা ইখলাস পবিত্র কোরআনে মাজিদের ১১২ তম সূরা। সূরাটি সূরা নাসের পরে হিজরতের আগে মক্কার প্রথম যূগে অবতীর্ণ হয়।এই সূরার মধ্যে আয়াত সংখ্যা ৪, রুকু সংখ্যা ১।ইখলাস অর্থ গভীর অনুরক্তি,একনিষ্ঠা, নিরেট বিশ্বাস, খাঁটি আনুগত্য, ভক্তিপূর্ণ ইবাদত বা উপাসনা। শিরক থেকে মুক্ত হয়ে তাওহীদ বা এক আল্লাহর ওপর খাঁটি ও নিরেট বিশ্বাসী হওয়াকে ইখলাস বলা হয়।

এই সূরার মর্মার্থের ভিত্তিতে নামকরণ করা হয়েছে সূরা ইখলাস। যে এই সূরাটি পাঠ করবে ও এর মর্মার্থের প্রতি দৃড় বিশ্বাস স্হাপন করবে সে নিশ্চিত শিরক থেকে মুক্তি লাভ করবে নিরেট তাওহীদবাদী হয়ে যাবে এবং আল্লাহ মুখলিস বান্দায় পরিণত হবে। সুবহানাল্লাহ।

এ সূরার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো আল্লাহ তায়ালা নিজের পরিচয় তাঁর হাবিবকে দিতে বলেছেন। বন্ধুর পরিচয় বন্ধুর দেওয়ার মাধ্যমে বন্ধুর শ্রেষ্ঠত্বও প্রমানিত হয়েছে।

এ সূরার শানে নজুল প্রশঙ্গে হযরত আনাস (রা.) বর্ণনা করেন → খাইবারের কয়েকজন ইহুদি একদা মহানবী (সাঃ) এর দরবারে এসে বললেন → হে আবুল কাসেম, আল্লাহ তায়ালা ফেরেস্তাদের নূর থেকে, আদমকে মাটি থেকে, এবং পৃথিবীকে পানির ফেনা থেকে সৃষ্টি করেছেন।

এখন আপনার আল্লাহ বা রব সম্পর্কে আমাদের জানান, তিনি কোন বস্তু থেকে সৃষ্টি? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কোন জবাব দেননি। অতঃপর হযরত জিবরাইল (আ.) সূরা ইখলাস নিয়ে আসেন।

সূরা ইখলাসের ফজিলত অপরিসীম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সূরা ইখলাস সম্পর্কে বলেছেন → নিঃসন্দেহে এটি কোরআনে এক তৃতীয়াংশের সমান। (সহিহ মুসলিম ৮১২)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) একদিন সাহাবিদের বলেন তোমার কি এক রাতে এক তৃতীয়াংশ কোরআন পড়তে পারোনা? প্রস্তাবটি সাহাবাদের অনেকের জন্য কঠিন মনে হলো, তাই তারা বলে উঠলেন হে আল্লাহ রাসূল এই কাজ আমাদের মধ্যে কেইবা করতে পারবে।

তিনি বললেন → সূরা ইখলাস প্রবিত্র কোরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান সাওয়াব লাভ করা যায়। সুবহানাল্লাহ। ( নাসায়ি হাদিস ৯৯৫, সহিহ বুখারি ৫১৩, ৫১৫ আবু দাউদ ১৪৬১)

এক সাহাবী এসে বললো হে আল্লাহ রাসূল (সাঃ) আমি সূরা ইখলাসকে অনেক ভালোবাসি। তখন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন → এর ভালোবাসা তোমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে।( বুখারি হাদিস নাম্বার ৭৭৪, তিরমিজি শরিফ হাদিস নাম্বার ২৯০১, মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বার ১২০২৪)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর আরেকটি হাদিসে পাওয়া গিয়েছে → যে ব্যাক্তি সূরা ইখলাস ১০ বার পাঠ করবে, তাঁর জন্য জান্নাতে একটি ঘর বা মহল বানানো হবে। সুবহানাল্লাহ। ( সহিহ আল জামি আস সগীর হাদিস নাম্বার ৬৪৭২)

শুধু তাই নয় একটা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এক ব্যাক্তিকে সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করতে শুনলেন। তিনি বললেন এটা তার অধিকার। পাশে থাকা সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন তার অধিকার কি ? উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন, তার অধিকার হচ্ছে জান্নাত। কারণ সে সূরা ইখলাস পাঠ করেছে।

আর যে ব্যাক্তি সূরা ইখলাস পাঠ করে। সে পুরস্কারস্বরূপ জান্নাত পেয়ে যায়। সুবহানাল্লাহ। (মুসনাদে আহমদ হাদিস নাম্বার ৭৬৬৯)

সূরা ইখলাস এমন একটি সূরা যার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা একত্ববাদের বিষয়টি সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যা অন্য কোন সূরায় বর্ণনা করা হয়নি।

মক্কার কাফেরদের কাছে স্রষ্টা এক হওয়া আশ্চর্যের বিষয় ছিল এবং তাদের জানার প্রবল আকাঙ্ক্ষা ছিল স্রষ্টা কেমন এবং কিসের তৈরি। আল্লাহ তায়ালা জোরালো ভাষায় এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এ সূরার মধ্যেমে।

প্রিয় পাঠক দিনে ও রাতে যতবার ইচ্ছা সূরা ইখলাস তেলাওয়াত করা যাবে। আর চেষ্টা করবেন প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজে সূরা মিলানোর সময় একবার হলেও সূরা ইখলাস রাখতে।

কেননা এতে নামাজের সাওয়াব তো হবেই।সাথে সাথে সূরা ইখলাসের বিশেষ মর্যাদার জন্য, তার জন্যও সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে ইসলামি দাওয়াতে আপনিও অংশগ্রহণ করুন।প্রিয় বন্ধুরা জানার স্বার্থে দাওয়াতি কাজের স্বার্থে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।হতে পারে আপনার একটি শেয়ার বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।