আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
সুপ্রিয় পাঠক ও দ্বীনি ভাই,
আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালোই আছেন । আমি রিফাত । আজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো । মাত্র ২মিনিট মনোযোগ সহকারে এ থেকে শিক্ষা নিতে পারলে এটি আপনার জীবনে অনেক কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ !
সুপ্রিয় পাঠক , আমাদের সমাজের দিকে লক্ষ্য করুন , প্রতিনিয়তই এখানে হয়ে চলেছে অসংখ্য ঝগড়া- কলহ- বিবাদ – ফাসাদ ! কোনো বিষয় নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের মাতামাতি ! অনেক অশান্তিময় অবস্থা । বড় বড় কলহ ! বড় বড় দাঙ্গা ! ঘটছে কিনা ??
আপনি যদি জ্ঞানী হোন তাহলে আগেই আপনি ধরে পেরেছেন যে এসব দাঙ্গা , ফ্যাসাদ , কহল , বিবাদ যত বড়ই হোক না কেন এর মূল কারণ একেবারেই ক্ষুদ্র ! কথাটি বিশ্বাস না করতে পারলে বলবো আপনি সমস্যাটির গোড়ায় পৌঁছাতে পারেননি ।
একদম ছোট খাটো বিষয়কে আমরাই বড় করে ফেলি । শয়তান তো শুধু মাত্র ছোট জিনিসটা আমাদের কাছে ধরিয়ে দেয় । এ জন্য দেখবেন প্রকৃত জ্ঞানী কখনো বড় ঝগড়া ফ্যাসাদের মধ্যে থাকে না । মূর্খ প্রকৃতির লোকেরাই শয়তানের বেছানো জালে ফেঁসে যায় । তাই আমরা বলতে পারি সব সমস্যার মূলে রয়েছে শয়তান যেটিকে আমরাই বড় করে ফেলি ।
তাহলে ছোট্ট একটি গল্পে আসি মনযোগ সহকারে পড়বেন , আশা করি বুঝতে পারবেন ।
এক ছাত্র তার ওস্তাদকে জিজ্ঞাসা করল, “হুজুর ! শয়তানের কাজ কি?”
ওস্তাদ বললেন,” শয়তানের
ছাত্রটি বললো ,” জী! বুঝলাম ।”
ওস্তাদ হেঁসে বলল,” সে সামান্য কিছু দিয়ে লাগিয়ে দেয়। অতঃপর তার থেকে শুরু হয় বিরাট হাঙ্গামা। যেমন ছােট্ট একটি আগুনের টুকরা একটি গ্রাম বা শহর বা বিরাট জঙ্গলকে ছারখার করতে পারে, তেমনি শয়তানের সামান চক্রান্ত ও বিরাট ধ্বংসলীলা আনতে পারে।”
‘ চল মিষ্টির দোকানে গিয়ে তােমাকে
শয়তানের লীলা দেখাই।’
ওস্তাদ-ছাত্র মিলে একটি মিষ্টির দোকানে বসে মিষ্টি খেতে লাগল। খেতে খেতে ওস্তাদ মিষ্টির একটু রস লাগিয়ে দিলেন দেওয়ালে। ক্ষণেক পর ঐ রসে কিছু মাছি এসে বসল !
তা দেখে ,
টিকটিকি এল মাছি ধরতে। ইত্যবসরে এক ক্রেতার পােষা কুকুর সেই টিকটিকিকে ধরতে লাফ মারল !
কিন্তু ঘুরে পড়ে গেল মিষ্টির গামলায়। তা দেখে ময়রা চিৎকার করে কুকুরটিকে মারতে শুরু করল। তা দেখে কুকুর-ওয়ালা বাধা দিলে বাগ-বিতন্ডা হতে হতে হাতাহাতি, লাঠালাঠি ও শেষে থানা-পুলিশ হয়ে গেল !
লক্ষ্য করুন , দেওয়ালে মিষ্টির রস লাগানাের মত ছােট্ট কাজ ঐ শয়তানের। কিন্তু জ্ঞানীরা যদি ধর্যের সাথে শুরুতেই শয়তানের চক্রান্ত কে প্রতিহত করে, তাহলে বিষয়টা ওতো দূরে যায় না । চিন্তা করে দেখুন । যদি আমরা কোনো সমস্যার গোঁড়া বের করতে পারি তাহলে সেটি
সমাধান করা অনেক সহজ হয়ে যাবে ।
এটি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে – শয়তান কে প্রশ্রয় দেয়া যাবে না । এর জন্য আল্লাহর কাছে পরিত্রাণ চাইতে হবে । তার জন্য ধর্মিয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে । পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে । এভাবে সকলের প্রচেষ্টায় আমাদের সমাজটা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হওয়া সম্ভব ।
আপনি সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়েছেন , এর অর্থ আপনিও একটি শান্তিপূর্ণ সমাজের আশাবাদী ।
আল্লাহাফেজ !