আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
সূরা ফাতিহা কতো বার পাঠ করলে কি লাভ হয় জানেন
পবিত্র কুরআনুল কারীমের ১১৪ টি সূরার মধ্যে প্রথম সূরাটি হলো ফাতিহা। সূরা ফতিহাকে কুরআন শরীফের শুরু বলে আখ্যায়িত করা হয়।সূরা ফাতেহার ফজিলত বলে শেষ করা যাবেনা। বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সূরা ফাতিহার কিছু আমল বলে দেব।
১০০০ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে কি হয়? ৪১ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে কি হয়? ৪০বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে কি হয়? ৭ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে কি হয়? এই সম্পর্কে আজকে আমরা আলোচনা করবো, আশা করি সবাই আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়বেন।
তো তার আগে আমরা সংক্ষেপে সূরা ফাতিহা বৈশিষ্ট্য জেনে নিই।
(১) এই সূরা কুরআনের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ সূরা। তাওরাত জবুর,ইনজিল, কুরআন কোনো কিতাবে এই সূরার তুলনীয় কোন সূরা নেই। (বুখারী, মিশকাত ২১৪২)
(২) এই সূরা ফাতিহা এবং সূরার বাকার’র শেষ তিনটি আয়াত হল আল্লাহ পক্ষ থেকে প্রেরিত বিশেষ নূর, যা ইতিপূর্বে কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। ( মুসলিম শরীফ ৬০৮)
(৩) যে ব্যক্তি নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার নামাজ অপূর্ণাঙ্গ। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এ কথাটি তিনবার বললেন। (মিশকাত ৮২৩)
(৪) আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন একবার এক সফরে আমাদের এক সাথী জনৈক গোত্রপতিকে শুধুমাত্র সূরায়ে ফাতিহা পড়ে ফুঁ দিয়ে সাপের বিষ ঝাড়েন এবং তিনি সুস্থ হন। (বুখারী শরীফ ৫৪০৫)
সূরা ফাতিহার বিশেষ মর্যাদা হলো, আল্লাহ এটিকে নিজের ও নিজের বান্দর মধ্যে ভাগ করে দিয়েছেন। একে বাদ দিয়ে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা সম্ভব নয়। সেজন্যই এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘উম্মুল কুরআন ‘।পবিত্র কুরআন মূলত তিনটি বিষয়ে বিন্যস্ত। তাওহীদ, আহকাম ও নছীহত।
সূরায়ে ইখলাস ‘তাওহীদ ‘ পূর্ণাঙ্গভাবে থাকার কারণে তা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের মর্যাদা পেয়েছে। কিন্তু সূরায়ে ফাতিহায় তিনটি বিষয় একত্রে থাকার কারণে তা উম্মুল কুরআন হওয়ার মহত্তম মর্যাদা লাভে ধন্য হয়েছে। (তাফসিরে কুরতুবী পৃষ্টা ১৪৮)
(১) উবাই ইবনু কা’ব (রা.) বলেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন → আল্লাহ উম্মুল কুরআনের মত তাওরাত ও ইনজিলে কিছু নাযিল করেনি।এটিকে বলা হয়, আস-সাব’উল মাছানী (বারবার পঠিত সাতটি আয়াত) যাকে আমার ও আমার বান্দারা মধ্যে বন্টন করা হয়েছে।আর আমার বান্দার জন্য তাই রয়েছে, সে যা চাইবে (নাসায়ী শরীফ ৩১৯)
(২) হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ বলেন সূরা ফাতিহা হচ্ছে আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দার জান্য তাই রয়েছে, যা সে চায়। (মুসলিম শরীফ ৩৯৫)
(৩) ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে জিবরাইল (আ.) উপস্থিত ছিলেন। হঠাৎ জবরাঈল (আ.) ওপর দিকে এক শব্দ শুনতে পেলেন এবং চক্ষু আকাশের দিকে করে বললেন, এ হচ্ছে আকাশের একটি দরজা যা পূর্বে কোনদিন খোলা হয়নি। সে দরজা দিয়ে একজন ফেরেশতা অবর্তীর্ণ হলেন এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে এসে বললেন, আপনি দুটি নূরের সুসংবাদ গ্রহন করুন। যা আপনাকে প্রদান করা হয়েছে। তা আপনার পূর্বে কোন নবীকে প্রদান করা হয়নি বা দেওয়া হয়নি। তা হচ্ছে সূরা ফাতিহা এবং সূরা ব্কারার শেষ দু ‘আয়াত। ( মুসলিম শরীফ ৮০৬)
(৪) হজরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বলেছেন কোন বিপদে পতিত ব্যক্তি ১০০০ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে ওই ব্যক্তি বিপদ দে থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
(৫) হযরত ইমাম জাফর সাদেক (রহঃ) এর বলেছেন → ৪১ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করে এক গ্লাস পানিতে ফু দিয়ে কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে খাওয়ালে অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
(৬) রাতের শেষ প্রহরে তথা তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে ৪১ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে, আল্লাহ পাক রিজিক বৃদ্ধি করে দেন। তাঁর অভাব অনটন দূর করে দেন।
(৭) কেউ যদি ফজরের নামাজের সুন্নত নামাজ ও ফরজ নামাজের মধ্যেকার সময়ে ৪১ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করে চোখে ফু দিলে চোখের ব্যথা দূর হয়। খাজিনাতুল আসরার কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে ফজরের সুন্নত নামাজ আদায় জরে ফরজ নামাজ আদায়ের আগেই কেউ যদি বিসমিল্লাহ সহ সূরা ফাতিহার ৪০ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা এই ব্যক্তি নিঃসন্তান থাকলে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সন্তান দান করতে পারেন ইনশাআল্লাহ।
এছাড়া দাঁতের ব্যথা পেটের ব্যথা মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ৭ বার সূরা ফাতিহা পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা, তাঁর ব্যথা দূর করে দেন। আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে সূরা ফাতিহার ফজিলত বুঝে সেই অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।
প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে ইসলামি দাওয়াতে আপনিও অংশগ্রহণ করুন।প্রিয় বন্ধুরা জানার স্বার্থে দাওয়াতি কাজের স্বার্থে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।হতে পারে আপনার একটি শেয়ার বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।