বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম !
ট্রিকবিডির পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও সালাম । ???
সুপ্রিয় পাঠক ,
প্রায় অর্ধ পৃথিবীর শাসক ছিলেন হযরত উমর (রাঃ) । তাঁর খিলাফতের প্রথম দিকে হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) তথন রাষ্ট্রীয় কোষাগার দেখাশুনা করতেন ।
তো ঘটনাটি হচ্ছে ঈদের আগের দিনের । খলীফার স্ত্রী খলিফাকে বললেন, ” আমাদের জন্য ঈদের নতুন কাপড় না হলেও চলবে
কিন্তু ছোট বাচ্চাটি ঈদের নতুন কাপড়ের জন্য কাঁদছে” ।
খলীফা বললেন, “আমার তো নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই।”
সুবহানাল্লাহ !! প্রায় অর্ধেক পৃথিবীর যিনি শাসক তিনি বললেন সামান্য নতুন কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই !! প্রিয় দ্বীনি ভাই নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কতটা সৎ বাদশা না হলে এমন হয় ।
অতঃপর খলীফা হযরত আবু উবাইদাকে এক মাসের অগ্রিম বেতন দেয়ার জন্য চিঠি পাঠালেন । ?
উম্মতে আমীন হযরত আবু উবাইদা (রাঃ) বাহককে টাকা না দিয়ে চিঠির উত্তরে লিখলেন,
” আমীরুল মুমিনীন! অগ্রিম বেতন বরাদ্দের জন্য দুটি বিষয়ে আপনাকে ফয়সালা দিতে হবে। ”
প্রথমত,” আগামী মাস পর্যন্ত আপনি বেঁচে থাকবেন কি না? ”
[ কারণ বেঁচে না থাকলে তিনি ঋণী হয়ে যাবেন ]
দ্বিতীয়ত, ” বেঁচে থাকলেও মুসলমানেরা আপনাকে খিলাফতের দায়িত্বে বহাল রাখবে কিনা? ”
[ আর খিলাফতের দায়িত্ব হারালে তাঁর বেতন হতে ঋণ শোধ করতে পারবেন না ]
চিঠি পাঠ করে হযরত উমর কোন প্রতি উত্তর তো করলেনই না বরং এত কেঁদেছেন যে তাঁর চোখের পানিতে দাঁড়ি ভিজে গেলো ।
আর হাত তুলে হযরত আবু উবাইদার জন্য দোয়া করলেন, ‘আল্লাহ আবু উবাইদার উপর রহম কর, তাঁকে হায়াত দাও’।
সুবহানাল্লাহ ! আলহামদুলিল্লাহ । সত্যিকারের সৎ হলে বাড়তি অর্থ জমা করা তো দূরের কথা বরং সংসার ও সহজে চালানো দুস্কর হয়ে যায় । বিলাসিতার তো প্রশ্নই আসে না ।
লা হাওলা ওলা ক্কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ ।
ফি আমানিল্লাহ ।
আল্লাহাফেজ ।
আমার ফেসবুক পেজ