আস্সালামুআলাইকুম। আশা
করি সবাই আল্লাহ
তাআলার অশেষ রহমতে
ভালো আছেন। আপনাদের
দোয়ায় আমিও ভালো
আছি।
.
আশা করি Post টা সবার
উপকারে আসবে। সবাই
ধৈর্য ধরে সবাই পোষ্ট টা
পড়বেন আর কিছু না বুঝলে
কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করেন।
তো শুরু করা যাক।
.
অনেকেই হয়ত টাইটেল
দেখে বুঝে গেছেন কি
.
আমাদের প্রিয় নবীর সাঃ এর মুহাব্বত এর একটি দারুণ গল্প নিয়ে আলোচনা করবো।
হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর জমানায় মজলিসে মানুষদেরকে ছবক দিতেন। তো ছবক দেওয়ার সময় এক সাহাবি তার ছেলেকে নিয়ে আসলো। সাহাবির নাম বরা এবং তার ছেলের নাম ত্বলহা।
.
ঐদিন সবাইকে সবক দেওয়া শেষ হয়েছিল এবং ত্বলহা ছোট মানুষতো ঐজন্য রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কানের কাছে গিয়ে চুপ করে বলল, হে নবী আমাকেও ছবক দিন।
.
তখন রাসুলুল্লাহ সাঃ ত্বলহাকে বলল, ত্বলহা তুমি তোমার বাবার হাতে থাকা তরবারি টি নিয়ে তোমার বাবার কল্লাটা কেটে দাও।(রাসুলুল্লাহ সাঃ এই কথা বলেছিলেন কারণ ত্বলহাকে পরিক্ষা করার জন্য যে, ত্বলহা তার বাবাকে ভালোবাসে নাকি রাসুলুল্লাহ সাঃ কে ভালোবাসে)
.
তখন ত্বলহা তার বাবার কল্লা কাটতে গেলো।
.
রাসুলুল্লাহ সাঃ ত্বলহাকে বলল এই তলহা থামো। আমি তো ছেলের দ্বারা বাবাকে হত্যা করাতে আসিনি বরং আমি শান্তি ও রহমত নিয়ে এই পৃথিবীতে এসেছি।
.
ঐদিন ত্বলহা ও তার বাবা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর কাছ থেকে বিদায় নিল।
.
কিছুদিন পর রাসুলুল্লাহ সাঃ ত্বলহার অসুস্থতার কথা শুনলে তাকে দেখতে যায় এবং ত্বলহার বাবাকে বলল যে, ত্বলহা যদি মারা যায় তাহলে আমাকে খবর দিয়েন কারণ আমি ত্বলহাকে গোসল, কাফন দাফন করবো। কেননা সে আমার একজন ছোট খাঁটি আশেক।
.
তারপরে কিছুদিন পর ত্বলহা মারা গেলো এবং দাফন কাফন করা হল কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাঃ কে জানানো হয়নি।
.
.
তখন বরা বলল, ত্বলহা আমাকে বলেছে আমার যদি দিনের বেলায় মৃত্যু হয় তাহলে রাসুলুল্লাহ সাঃ কে জানাবা। আর যদি আমার রাতের বেলায় মৃত্যু হয় তাহলে রাসুলুল্লা সাঃ কে জানাবা না কারণ রাসুলুল্লাহ সাঃ আমার মৃত্যুর কথা শুনে থাকতে পারবে না. আর ঐ সময় পাহাড়ি এলাকায় যদি মুনাফিকরা তাকে আক্রমণ করে তাহলে কিয়ামতের দিন আমাকে জবাবদিহীতা করতে হবে।
.
এভাবে তিনি রাসুলুল্লাহ সাঃ কে বললেন।
আল্লাহু আকবার ছোট্ট বাচ্চা নবী করীম সাঃ কে কত ভালোবাসতেন।
.
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এইরকম শিক্ষণীয় গল্প পড়ে একজন ভালো মানুষ হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
লা হাওলা ওয়ারা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।