Site icon Trickbd.com

এলার্জির মহাঔষধ | শরীরের পুরাতন এলার্জি দূর হবে ইনশাআল্লাহ

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

এলার্জির মহাঔষধ

এলার্জি এক অসহনীয় ব্যাধি জীবনকে দূর্বিষহ করে তোলে। এলার্জিতে হাঁচি থেকে শুরু করে খাদ্য ও ওষুধের ভীষণ প্রতিক্রিয়া ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এলার্জি কতটা ভয়ংকর সেটা ভুক্তভোগী মাত্রই জেনে থাকে। উপশমের জন্য কতো কিছুই না করেছেন। কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছেনা।

কিন্তু যে রাব্বুল আলামিন আমাদের এই রোগটি দিয়েছেন তার কাছে পানাহ চাইলেই তিনি আমাদের রোগমুক্তি বা রোগ থেকে পানাহ দিতে পারেন।

তাই এবার এলার্জি দূর করুন আজীবনের জন্য। তারজন্য আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।আজকের আর্টিকেলটি একটি কোরআনি চিকিৎসা। এটি কোনো নিদিষ্ট হাদিস বা অজিফায় নেই। আমার পরিচিত অনেকেই এই চিকিৎসায় আল্লাহ রহমতে ভালো আছেন এবং এলার্জির বহুবিদ রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

তো আমরা আগে দোয়াটি জেনে নিই। দোয়াটি হলো

আমলটি কিভাবে করবেন বলছি তার আগে এই দোয়ার প্রেক্ষাপট সংক্ষেপে জেনে নিই।

হযরত আইউব আলাইহিস সালাম দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হলে তাঁর বন্ধ বান্ধব, সন্তান সন্ততি সবাই দূরে সরে যায়। অসুস্থতার পূর্বে আল্লাহ তাঁকে অগাধ ধন সম্পদ,সহায় সম্পত্তি, দালান কোঠা, যানবাহন, চাকর নকর সবাই দান করছিলেন। অসুস্থ হওয়ার পর সবকিছুই তার শেষ হয়ে যায়। এ অসহায় অবস্থায় তিনি এ দোয়া করেছিলেন। ফলে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে পূর্বের ন্যায় সব কিছুই ফিরিয়ে দেন।

তাই আমরা বুঝতে পারলাম যে এই দোয়াটি মাধ্যমে শুধু আমাদের রোগ মুক্তিই হয় না বরং হারানো ধন সম্পদ সহায় সম্পদ ফিরে পাওয়া যায়।

আল্লাহ তায়ালা বলেন → এবং স্মরণ করুন আইউবের কথা যখন তিনি তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করে বলেছিলেনঃ আমি দুঃখ কষ্টে পতিত হয়েছি এবং আপনি দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান।

অতঃপর আমি তাঁর আহবান সাড়া দিলাম এবং তাঁর দুঃখ কষ্ট দূর করে দিলাম আর তাদের সঙ্গে তাদের সমপরিমাণ আরও দিলাম আমার পক্ষ থেকে কৃপাবশতঃ আর এটা ইবাদতকারীদের জন্য উপদেশ স্বরূপ। (সূরা আম্বিয়া ৮৩-৮৪)

তো আমলটি যেভাবে করবেনঃ

১. ১ কেজি নিম পাতা ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন।

২. শুকনো নিম পাতা পাটায় পিষে গুড়ো করুন এবং সেই গুড়ো ভালো একটি কৌটায় ভরে রাখুন

৩. এবার ১ চা চামচের তিন ভাগের এক ভাগ নিম পাতার গুড়ো ও এক চা চামচ ইসবগুলের ভুসি ১ গ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন।

৪. আধা ঘন্টা পর চামচ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন। তারপর উক্ত দোয়াটি ৩ বার পড়ে তিনটি ফুঁ দিন। তারপর বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম বলে তিনঢোকে এটি সেবন করুন।

৫. প্রতিদিন সকালে খালি পেটে, দুপুরে ভরা পেটে এবং রাতে শোয়ার আগে খেয়ে ফেলুন। ২১ দিন একটানা এভাবে খেতে হবে। তার পরের ২১ দিন শুধু সকালে আর রাতে খাবেন। এরপরে শুধু সকালে /রাতে একবার করে খেলেই হবে।

এর কার্যকারীতা শুরু হতে ১ মাস সময় লাগতে পারে। তবে অতিরিক্ত এলার্জির সময় ভুগতে থাকলে এই আমলের পাশাপাশি অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। আর যারা গর্ববতী মা,ছোট শিশু এবং কিডনি রোগের সমস্যা আছে তারা নিমপাতা ব্যাতিত শুধুমাত্র এক গ্লাস পানিতে ফুঁ দিয়ে এই আমলটি করবেন।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা লাইক কমেন্ট শেয়ার করে ইসলামি দাওয়াতে আপনিও অংশগ্রহণ করুন।প্রিয় বন্ধুরা জানার স্বার্থে দাওয়াতি কাজের স্বার্থে আর্টিকেলটি অবশ্যই শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।হতে পারে আপনার একটি শেয়ার বহু মানুষ উপকৃত হবে ইনশাআল্লাহ।