আস্সালাঅমুআলাইকুম। আশা
করি সবাই আল্লাহ
তাআলার অশেষ রহমতে
ভালো আছেন। আপনাদের
দোয়ায় আমিও ভালো
আছি।
.
আশা করি Post টা সবার
উপকারে আসবে। সবাই
ধৈর্য ধরে সবাই পোষ্ট টা
পড়বেন আর কিছু না বুঝলে
কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করেন।
তো শুরু করা যাক।
.
অনেকেই হয়ত টাইটেল
নিয়া আলোচনা করব।
.
আজকে আমি আপনাদের জন্য সুন্দর একটি হেদায়াতের গল্প শুনাবো।
.
হযরত মুহাম্মদ সাঃ তিনদিন ক্ষুধার্ত অবস্থায় ছিলেন। তার সাথে হাসান, হুসাইন ছিলেন। তারাও তিনদিন না খাওয়া অবস্থায় ছিল।
.
হযরত মুহাম্মদ সাঃ খাবারের জন্য এক ইহুদির বাগানের কাছে পৌছে ইহুদিকে বললেন, আমি আপনার বাগানের গাছগুলোতে পানি দিয়ে দেব তার বিনিময়ে আমাকে কয়টা খেজুর দিবেন। (হযরত মুহাম্মদ সাঃ নিজে ক্ষুধার্ত থাকতে পারবেন কিন্তু হাসান ও হুসাইনের জন্য খাবার জোগাড়ের জন্য ইহুদির বাড়িতে কাজ করবেন )
.
তখন ইহুদি বলল, তিনটি খেজুর দেব।
.
হযরত মুহাম্মদ সাঃ রাজি হলের এবং ইহুদির কাছ থেকে একটি বালতি নিয়ে তার বাগানে পানি দিতে লাগলেন এবং হঠাৎ পুকুর থেকে পানি উঠাইতে উঠাইতে বালতিতে থাকা দড়ি টি ছিড়ে গেলো।(আসলে এখানে হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কোনো দোষ ছিলনা, মোটকথা ইহুদির বালতিতে থাকা দড়িটি ছিল পুরোনো) কিন্তু ইহুদি হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে চড় মারলেন।
.
তখন হযরত মুহাম্মদ সাঃ বালতিটির দিকে হাত বাড়ালো এবং বালতিটি তার হাতের কাছে চলে আসলো।
এই অবস্থা দেখে ইহুদি অবাক হয়ে গেলেন এবং ভাবলেন আমি কাকে চড় মারলাম। এ তো মুসলমানদের নবী।
.
তখন হযরত মুহাম্মদ সাঃ সেখান থেকে চলে গেলেন।
.
ইহুদির এমন সমস্যা হয়েছে যে, তার হাতটিকে কেটে ফেলতে হয়েছে।
তারপরে ইহুদি হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর কাছে মাফ চাইতে গেলেন, কালেমা পড়ে মুসলমান হতে গেলেন এবং তার সাথে তার কেটে ফেলা হাতটিকেও ধরে গেলেন।
.
তখন হযরত মুহাম্মদ সাঃ তাকে মাফ করে দিলেন, তাকে কালেমা পড়ালেন এবং তার কাটা হাতটি তার হাতের জায়গায় নিয়ে ফু দিলেন অতঃপর হাতটি আগের মতোই হয়ে গেলো।সুবহানআল্লাহ।
.
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে এত সুন্দর ইসলামিক গল্প গুলো পড়ে তার উপর আমল করার তৌফিক দান করুন।আমিন।
লা হাওলা ওয়ালা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।