আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ !
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম ।
হে মুসলমান ও দ্বীনি ভাই !
আমাদের পাপের সাজা কতো ভয়াবহ তা পড়েছি ও শুনেছি । এমন শাস্তি যদি দুনিয়াতেই দৃষ্টান্ত হয় তা হলে তা কতটা ভয়াবহ হতে পারে তা আমরা অনুমান করতে পারি । অনেক মানুষ আছেন যারা এতো বেশি পাপ করেছেন অথচ আল্লাহর দরবারে তা ক্ষমা হয়নি , তাদের সাথে কি ঘটেছিল, কবরে তাদের সাথে কিরূপ আচরণ করা হয়েছিল তার ই দৃষ্টান্ত উদাহরণ হিসেবে আজ আমি আপনাদের সাথে তিনটি মাত্র ঘটনা শেয়ার করবো ।
ঘটনা-১ঃ
গতকাল এক পুলিশ অফিসারকে কবরস্থ করার
সময় তাঁর কবর বাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। যখন পুনরায় নতুন কবর খনন করা হল তখনও টা বাঁকা হয়ে যাচ্ছিল। এতে লােকেরা মনে করল যে, কবর। খননকারীদেরও হয়তােবা কোন ত্রুটি আছে।
কিন্তু যখন এক এক করে পাঁচটি কবর খনন করা হল এবং বারবার তা বাঁকা হয়ে যেতে লাগল, তখন জানাজায় অংশগ্রহণকারী লােকেরা সম্মিলিতভাবে মৃত ব্যক্তির জন্য মাগফিরাত কামনা করল এবং পঞ্চম বারে লােকেরা জোরপূর্বক তাকে কবরস্থ করল। কিন্তু কবর প্রথম বারের ন্যায়ই বাঁকা হয়ে গেল। এ ঘটনা রাওয়ালপেন্ডির প্রসিদ্ধ কবরস্থান আতরা মারালে ঘটেছে।
সূত্রঃ রােজ নামা জনগ, লাহাের, ১৭ ডিসেম্বর
১৯৯১, ২৮ জমাদিউল আওয়াল ১৪১১ হিজরী
ঘটনা-২ঃ
নারাং মান্ডি শইখুপুরা জেলার উপকণ্ঠে কসবে
জিসিং নামক স্থানে দুই গ্রুপের মাঝে ফায়ারিং
হয়। এতে তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছে, এদের মধ্যে
একজনকে তাঁর উত্তরসূরিরা বাক্স বন্দী করে দাফন করার জন্য নিয়ে এসেছে, কবর খননের পর বাক্সের ভিতর থেকে সাপ বিচ্ছু বেরিয়ে আসছিল, এ দেখে উত্তরসূরিরা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে দূর থেকে তাঁর কবরে মাটি নিক্ষেপ করেছে এবং বাক্সটি ফেরত নিয়েছে।
সূত্রঃ রােজ নামায়ে ওয়াক্ত, লাহাের, ৯ আগস্ট
২০০০ ইং
ঘটনা-৩ঃ
গুজরা নাওয়ালার উপকণ্ঠে কাসবা খিয়ালীর
কবরস্থানে দাফনকৃত এক মহিলার কবরের
কম্পন এলাকায় ভয় সৃষ্টি করেছে। বর্ণনা অনুযায়ী মহিলাকে যখন কবরস্থ করা হয়, তখন ওখানকার লােকেরা অনুভব করেছিল যে, মৃত মহিলার কবর কাঁপছে, কোন কোন লােক কবরের সাথে কান লাগিয়ে আওয়াজ শুনছিল, তারা কবর থেকে ঠক ঠক শব্দ এবং ধমকের আওয়াজ পাচ্ছিল, তখন কোন প্রসিদ্ধ আলেমের সাথে যােগাযােগ করা হলে তিনি মৃত মহিলাকে অন্য কোন স্থানে দাফনের জন্য পরামর্শ দিলেন। এর উপর ভিত্তি করে লােকেরা
ঐ আলেমের উপস্থিতিতে মৃত মহিলার কবর খনন করে। কবরের উপর থেকে আচ্ছাদন সরানাে মাত্রই কবর খননকারীরা কবরের ভিতর থেকে আশ্চর্য ধরণের পচা বমির গন্ধ পেয়ে পুনরায় বন্ধ করে দিল। এবং মৃত মহিলার জন্য মাগফেরাত কাফনা করে দোয়া করল, এতে আস্তে আস্তে কবরের কম্পন বন্ধ হল।
সূত্রঃ রােজ নামায়ে ওয়াক্ত, লাহাের, ২৩ জুন ১৯৯৩
বিঃদ্রঃ লেখক শাইখ ইকবাল কিলানী বলেছেন যে, এই ঘটনাগুলাের সত্যতা উৎসগুলাের উপর নির্ভর করবে। আর আল্লাহ্ মানুষকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য এমন অলৌকিক কিছু দেখাতেও পারেন যেন মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করে। শিক্ষা গ্রহণ করাই লেখক ও আমার মূল উদ্দেশ্য।
সুপ্রিয় পাঠক ও দ্বীনি ভাই আল্লাহ হেদায়েত দেওয়ার মালিক । হয়তো আমার মাধ্যমে আপনাকে অথবা আপনার মাধ্যমে অন্যদের হেদায়েত দান করেন । যাকে বলি আল্লাহর অসিলা । আল্লাহর অছিলা হতে পারাটাও অনেক বড় ভাগ্যের ব্যাপার । তাই ইসলামিক পোস্ট বেশি বেশি পড়ার চেষ্টা করবেন , শেয়ার করবেন ।
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে দ্বীনের পথে ইখলাসের সাথে চলার তৌফিক দান করুক । আমিন