Site icon Trickbd.com

যাদের জন্য রোযা রাখা বাধ্যতামূলক, জেনে নিন।

Unnamed

আসসালামুআলাইকুম।আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন।প্রতিবারের মতো আবারো আপনাদের মাঝে আরেকটি আর্টিক্যাল নিয়ে হাজির হলাম।টাইটেল দেখে অনেকে হয়তো বুঝে গেছেন, আজকে কোন বিষয় আপনাদের মাঝে লিখতে যাচ্ছি। আজকের বিষয় হলো,কাদের জন্য রোযা রাখা বাধ্যতামূলক তার বিস্তারিত। মুসলিম হলেই যে রোযা রাখা বাধ্যতামূলক তা কিন্তু নয়। রমযান মাসে রোযা রাখা ফরয।কিন্তু সব মুসলিম নর-নারীর উপর ফরয না। এই পোস্টে আপনারা জানতে পারবেন কাদের উপর রোযা রাখা বাধ্যতামূলক।
রোযা সবার জন্য ই বাধ্যতামূলক না,কিছু শর্ত রয়েছে। এই শর্ত গুলো মেনে রোযা রাখা বাধ্যতামূলক। চলছে পবিত্র রমযান মাস, এই রমযান মাসে আমাদের রোযা রাখতে হবে ও নামায পড়তে হবে। কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক, কাদের জন্য রোযা বাধ্যতামূলকঃ

১) মুসলমান হতে হবে,কোনো অমুসলিমদের জন্য রোযা বাধ্যতামূলক না।

২) কেউ যদি রোযা ফরয হয়েছে কিনা না জেনে রোযা না রাখে।তবে সে দোষী হবে না।তবে ফরয হয়েছে রোযা এটা জানার পর তার রোযা রাখা বাধ্যতামূলক।

৩) রমযান মাসে কোনো ব্যাক্ত যদি মারা যায়,তবে অবশিষ্ট রোয়া রাখার হুকুম নেই।এছাড়া ও আত্মীয়দের পক্ষ থেকেও মৃত ব্যাক্তির রোয়া রাখার ও হুকুম নেই।

৪) অনেকে আছে মাঝে মাঝে পাগল হয়ে যায় ও আবার মাঝে মাঝে ভাল হয়ে যায়। তবে যখন ভাল থাকে, তখন রোযা রাখা বাধ্যতামূলক।

৫) রমযান মাসে দিনে যদি কোনো ছেলে বা মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে যায়।

৬) রমযান মাসে দিনের বেলায় যদি কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক অমুসলিম ধর্মের লোক ইসলাম গ্রহন করে থাকে,সে সময় তার জন্য রোযা রাখা বাধ্যতামূলক।

৭) নারীদের ঋতুস্রাব চলাকালে রোয়া রাখা বাধ্যতামূলক না।কারন এই সময় মেয়েরা অপবিত্র থাকে। তাই মেয়েদের মাসিক, ঋতুস্রাব এর সময় রোযা বাধ্যতামূলক না।

৮) শারীরিক সুস্থ ও রোযা রাখার মতো হতে হবে।কোনো ব্যাক্তি যদি অসুস্থ থাকে, তবে তাদের জন্য রোযা রাখার বিধান রয়েছে। কেউ যদি রোযা রাখার মতো পরিস্থিতিতে না থাকে,তবে সে রোযা পরে রাখা যাবে।

৯) কেউ যদি সফরে বের না হয়, তবে তার জন্য রোযা রাখা বাধ্যতামূলক। আবার কেউ যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য সফরে বের হন তার জন্য রোযা রাখার নিয়ম হলো,সে ব্যাক্তি অন্য সময় সে রোয়া রাখবে। মানে রোযা শেষ হয়ে গেলে অন্যদিন সে রোয়া রাখবে।

১০) রোযা বাধ্যতামূলক তাদের জন্য যাদের প্রাপ্ত বয়স হয়েছে। মুসলমান কোনো ছেলে বা মেয়ের বয়স যখন ৭ বছর হয়,তখন থেকে তাদের রোযা রাখার ব্যাপারে উৎসাহ দিতে হবে।

মহান আল্লাহ আমাদের রমযান এর সব দিক মেনে রোযা রাখার তৌফিক দান করুন,আমিন।

টেকনিক্যাল বিষয়ে যাবতীয় ভিডিও ও সমাধান পেতে আমাদের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুনঃ

Youtube Channel

আজ এ পযন্ত,
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জ্ঞান আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেস্টা করি।
পরবর্তী আর্টিক্যাল এর জন্য অপেক্ষা করুন, আবারো ভাল কিছু নিয়ে হাজির হবো।
সে পযন্ত ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন।

যে কোনো প্রয়োজনে আমার সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ করতে চাইলেঃ- Sk Shipon

ধন্যবাদ