হাসরের ময়দানে আল্লাহ পাক মানুষদের
অবস্থা কেমন হবে তা নিয়ে অনেকের মনেই
প্রশ্ন আছে। হাসরের দিনটি মূলত এখনকার
মতো এতো ছোট হবে না। সে দিনের সময়
সীমা হবে ৫০ হাজার বছরের সমান। [মুসলিম,
মিশকাত হা: ১৭৭৩]।
তবে ঐ দিন মুমিনের জন্য একটি ফরজ সালাত
আদায়ের সময়ের ন্যায় মনে হবে।
[বায়হ্বাকী, মিশকাত হা:৫৫৬৩]।
হাশরে ময়দানের অবস্থা সম্পর্কে কোরআন
হাদিসের আলোচনাগুলো নিম্ন
সংক্ষিপ্তাকারে উল্লেখ করা হলো-
১. সেদিন সকলে একত্রিত হবে। [সূরা আনআম
: ২২]
২. দুনিয়ার জমিন হবে রুটির ন্যায়।[বুখারী,
মুসলিম, মিশকাত হা: ৫২৯৮]
৩. মানুষ নগ্নপদ, নগ্নদেহ ও খতনাবিহীন
সমবেতহবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা:
৫৩০২]
৪. কেউ কারোর প্রতি দৃষ্টি দেওয়ার
অবকাশ পাবে না। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত
হা: ৫৩০২]
৫. কাফেরদেরকে মুখের মাধ্যমে হাঁটিয়ে
একত্রিত করা হবে। [বুখারী, মুসলিম,
মিশকাত হা: ৫৩০৩]
৬. ঐদিন মানুষ ঘর্মাক্ত হবে, এমনকি ঘাম
তাদের কান পর্যন্ত পৌছাবে। [বুখারী,
মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৬, ৫৩০৮]
৭ .সূর্যকে অতি নিকটে আনা হবে এবং
মানুষের আমল অনুপাতে ঘামের মধ্যে ডুবে
থাকবে। [বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা: ৫৩০৬,
৫৩০৮]
৮. দুনিয়াতে যারা আল্লাহর জন্য সিজদাহ
করে নাই কিংবা লোক দেখানোর জন্য
সিজদাহ করেছে তারা সেদিন আল্লাহকে
সিজদাহ দিতে পারবে না। [সূরা কালাম :
৯. মুমিনদের হিসাব হবে মুখোমুখি।
[মিশকাত: ৫৩১৫]
১০. যার হিসাব পুংখানুপুংখ যাচাই করে
হবে সেধ্বংস হবে। [মিশকাত: ৫৩১৫]
১১. ঐদিন মানুষের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
[সূরা ইয়াসীন: ৬৫]
১২. হাত, পা, কান, চক্ষু এবং চামড়া মানুষের
বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিবে। [সূরা নূর: ২৪; হা- মীম
সাজদাহ: ২০]