Site icon Trickbd.com

কিয়ামত কিভাবে সংঘটিত হবে?

Unnamed

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু। এই পৃথিবী চিরদিনের জন্য নয়।এই পৃথিবী পরীক্ষাস্বরূপ মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বানিয়েছেন।মানুষ যেমন মরণশীল প্রত্যেক প্রাণী যেমন মরণশীল ঠিক তেমনি পৃথিবীও মরণশীল।

সুন্দর এ পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে এক সময়। এই সময়টা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই ভাল জানেন কখন পৃথিবী ধ্বংস হবে। কিয়ামত সংঘটিত হবে তখন যখন কোন লোক আল্লাহর ইবাদত করবে না। আল্লাহ নাম বলার কোন লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না। তখন কিয়ামত সংঘটিত হবে।

ইসরাফিল আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেরেশতা শিঙ্গায় ফুৎকার দেওয়ার জন্য বসে রয়েছে। কান খাড়া করে রয়েছে আল্লাহর আদেশের জন্য।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি শিংগায় ফুৎকার দিবেন এবং কিয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে।

কিয়ামত সংঘটিত কিভাবে শুরু হবে?



মানুষ সহ প্রত্যেক প্রাণীই যেমন মরণশীল ঠিক তেমনিভাবেই পৃথিবীও মরণশীল। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যেমন সবকিছু সৃষ্টি করেছেন ঠিক তেমনি ভাবে একদিন ধ্বংস করে দিবেন।তবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ছাড়া কেউই জানেনা কিয়ামত কখন সংঘটিত হবে।

হযরত ইসরাফিল আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফেরেশতা শিংগায় ফুৎকার দেওয়ার জন্য আল্লাহর আদেশে বসে আছে।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আদেশ পাওয়া মাত্রই শিংগায় ফুৎকার দিবেন। ফুৎকার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পৃথিবী ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেছেন : কেয়ামত যখন শুরু হবে তখন কেউ যদি খাওয়া দাওয়ার জন্য তৈরি হয় তখন সে খাওয়া-দাওয়া শেষ করতে পারবে না। কেউ যদি দুধ দোহন করে সে দুধ পান করার আগেই কেয়ামত সংঘটিত হয়ে যাবে সে দুধ পান করতে পারবে না।

কেউ যদি কোন কাজ শুরু করে সে কাজ শেষ হওয়ার আগেই কেয়ামত শুরু হয়ে যাবে। আমরা কেউই জানিনা কিয়ামত কখন হবে। এমনকি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম তিনি জানতেন না কিয়ামত কখন হবে। তবে কোন এক জুমার দিন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আদেশ পাওয়া মাত্রই ইসরাফিল আলাইহি সালাম শিংগায় ফুৎকার দিবেন।

কোন এক শুক্রবারে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কিয়ামতের আদেশ দিবেন। ইসরাফিল আলাইহি সালাম প্রথম চিৎকার দিলে কোন এক লোক প্রথমে শুনতে পারবে। শোনার জন্য আরো বেশি শুনতে চাইবে শোনার সাথে সাথে সে বেহুঁশ হয়ে যাবে।

অতঃপর সকল মানুষই কিয়ামতের ফুৎকার শুনতে গিয়ে বেহুঁশ হয়ে যাবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন শিশিরের ন্যায় বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। অতঃপর সকল মানুষই জ্ঞান ফিরে পাবে। তারপর ইসরাফিল আলাইহি সালাম আবার ফুৎকারে দিবেন।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেন: শিঙ্গায় ফু দেওয়া হবে অতঃপর আসমান ও জমিনে সকলে বেহুঁশ হয়ে যাবে। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করবেন সে ব্যতীত। অতঃপর আবার সিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে। তখন তাঁরার দন্ডায়মান হয়ে দেখতে থাকবে। এই আয়াতটি রয়েছে সূরা আয-যুমার 68 নম্বর আয়াতে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমি কীভাবে শান্তিতে থাকবো। ইসরাফিল আলাইহি সাল্লাম ফেরেশতা সিঙ্গায় মুখে নিয়ে কান পেতে আল্লাহর আদেশের অপেক্ষা করছে। আল্লাহর আদেশ পাওয়া মাত্রই মাত্রই শিঙ্গায় ফুৎকার দিবেন এবং কিয়ামত শুরু হয়ে যাবে।

তখন কেউ যদি রান্না করে তাহলে সে রান্না শেষ করতে পারবে না। কেউ যদি কোন কর্ম শুরু করে তাহলে কর্ম শেষ করতে পারবে না।দুধ দোহন করা হলে দুধ পান করার আগে কেয়ামত সংঘটিত হবে। মহান আল্লাহ বলেন আমি দুনিয়া সৃষ্টি করেছে জুমার দিন। এবং দুনিয়া কিয়ামত করব জুমার দিনেই।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেনঃ কেয়ামত খুবই কঠিন ও ভয়ঙ্কর। ক্বিয়ামত সংঘটিত হলে আসমান ও জমিনের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। কিয়ামতের পূর্বে আল্লাহর নাম বলার কোন লোক পাওয়া যাবেনা। কেয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবারে অর্থাৎ জুমার দিন।

মৃত্যুর ফেরেশতা আল্লাহর কাছে এসে বলবে হে আল্লাহ পৃথিবীর সকলেই মরে গেছে। আল্লাহ তাআলা বলবেন অবশিষ্ট আর কে আছে। আরশ বহনকারী ফেরেশতাগণ বাকি আছে। আল্লাহ তাআলা বলবেন তাদের কেউ মৃত্যুবরণ করতে হবে। তারা সকলেই মারা যাবেন।

মৃত্যুর ফেরেশতা আল্লাহর কাছে এসে বলবে আল্লাহ তারা সকলে মারা গেছে।আল্লাহতালা আবার জিজ্ঞাসা করবেন অবশ্য কেউ আছে কি আর। তখন ফেরেশতা বলবেন আমি বাকি আছি। আল্লাহ তাআলা বলবেন তুমি তোমার মাখলুকাত তোমাকে মৃত্যুবরণ করতে হবে। তখন মৃত্যুর ফেরেশতা ও সহ সকল ফেরেশতারা যাবেন।

আসমান জমিনে কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকবে না একমাত্র মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন ব্যতীত। যখন সবকিছু ধ্বংস এবং সবকিছু শেষ হয়ে যাবে তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আসমান ও যমীনকে নিজ হাতে গুটিয়ে নিবেন। এবং বলবেন দুনিয়ার রাজা বাদশারা কোথায়। কি কথা তিনি তিনবার বলবেন জবাব দেওয়ার কোন লোক থাকবে না তিনি উত্তরে বলবেনঃ আমি প্রতাপশালী আমি অহংকারী।

মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবী আসমান জমিন সবকিছুর মালিক একমাত্র তিনিই। তার ক্ষমতার অধিকারী কেউ নন একমাত্র তিনিই সবকিছুর মালিক। আসমান জমিন এবং আসমান-জমিনের যা কিছু আছে সব কিছুর মালিক একমাত্র মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন।

ধন্যবাদ আর্টিকেলটি মনোযোগ সরকারের শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। আল্লাহ তা’আলা আমাদের সবাইকে তার এলেম সঠিকভাবে অর্জন করার তাওফিক দান করুন আমিন। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং আল্লাহর আদেশ মেনে চলুন এবং নবীর আদর্শ অনুযায়ী জীবন কাটান। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।