আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। কিয়ামত বা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পূর্বে পৃথিবীতে আগমন করবে ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম।ঈসা আলাইহিস সালাম জন্মগ্রহণ করেছেন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনেক পূর্বে। আমাদের নবীর আগমনের পূর্বে ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অসংখ্য নবী রাসুল পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। যদিও কোরআনে 25 জন নবী রাসুলের কথা বলা রয়েছে। তবে পৃথিবীতে লক্ষাধীক নবী রাসুল আল্লাহ পাঠিয়েছেন। তার ভেতর ঈসা আলাইহিস সালাম অন্যতম। ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লামকে খ্রিষ্টান ধর্ম দিয়েছিলেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। তবে ঈসা আলাই সালাম পৃথিবীতে বেশিদিন টিকে থাকতে পারেননি।
ঈসা আলাইহিস সালামের যুগের লোকেরা তাকে বিভিন্ন কৌশলে মারার চেষ্টা করেছিল। এ কারণেই তিনি পৃথিবীতে বেশি দিন টিকে থাকতে পারেননি। এমনকি তিনি এখনও পর্যন্ত জীবিত রয়েছেন যেটা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আদেশে। পৃথিবীতে প্রত্যেক প্রাণীই প্রত্যেক জিনিসই মরণশীল। এমনকি পৃথিবী একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেনঃ দুনিয়া অর্থাৎ পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পূর্বে আমি আবার ঈসাকে পাঠাবো। ঈসা আলাইহিস সালামকে দুনিয়া তে আবার পাঠাবেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেটা আমরা হাদিস থেকে জানতে পারি। এখন আপনারা কল্পনা করে দেখুন তো ঈসা আলাই সালাম জন্মগ্রহণ করেছেন কত শত শত বছর আগে!
তাহলে পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পূর্বে পৃথিবীতে আগমন ঘটলো তার বয়স কত থাকবে। অথবা সে দেখতে কেমন হবে? মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীর সূচনা এবং সমাপ্ত নিজেই নির্ধারণ করে রেখেছেন। পৃথিবী সৃষ্টি করার আগে এই মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীতে কি কি হবে সবকিছু লিখে রেখেছেন।
বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় তিনি অর্থাৎ ঈসা আলাইহিস সালাম পৃথিবীতে 40 বছর জীবিত থাকবেন। এবং 40 বছর পৃথিবীতে তিনি রাজত্ব করে যাবেন। তিনি 40 বছর রাজত্ব করার পর পৃথিবী কিয়ামত হবে। তিনি পৃথিবীতে আগমন না করা পর্যন্ত কখনোই কিয়ামত হবে না। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না আবার হয়তো অনেকেই জানেন।
পৃথিবী কিয়ামতের পূর্বে মানুষ সবার সাথে কথা বলতে পারবে। যেমন গাছের সাথে আপনি কথা বলতে পারবেন গাছ আপনার সাথে কথা বলবে। অবাক হচ্ছেন!!! দেখুন এগুলো আজেবাজে বা বানিয়ে বানিয়ে আমি কোন কথা বলছি না। এইগুলা হাদীস থেকে আমরা জানতে পারি। পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার পূর্বে পাথর গাছপালা ইত্যাদি আরো অন্যান্য অনেক কিছুর সাথে আমরা কথা বলতে পারব এমনকি তারা আমাদের সাথে কথা বলবে।
আমরা হয়তো অনেকে দাজ্জালের কথা শুনেছি। দাজ্জাল পৃথিবীতে আসবে খোদা দাবীদার হিসেবে। দাজ্জাল কে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নানা রকম ক্ষমতা দিবেন যেগুলো সাধারণ মানুষের থাকবে না। দাজ্জাল যদি আকাশকে বলে পানি দিতে সাথে সাথে পানি দিয়ে দিবে আকাশ। কবর থেকে মৃত মানুষ নিমিষেই সে জীবিত করতে পারবে। তার কাছে জান্নাত এবং জাহান্নাম থাকবে। তার ইচ্ছামত সে নানা রকম জাদু কর খেলা দেখাবে।
এই মিথ্যুক দাজ্জাল পৃথিবীতে মাত্র 40 দিন থাকবে। তবে তার আগমনের সময় কাল অনেক বড় হবে। যেমন তার আগমনের প্রথম দিনটি হবে এক বছরের সমান। দ্বিতীয় দিন হবে এক মাসের সমান। তৃতীয় দিন হবে এক সপ্তাহের সমান। এভাবে করে দাজ্জালের আগমনের সময় অন্যরকম হবে।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সর্ব ক্ষমতার মালিক তিনি পৃথিবীর রব। ঈসা আলাইহিস সালাম এই মিথ্যুক দাজ্জালকে হত্যা করার জন্য এবং মানুষকে আলোর পথে ডাকতে আবার পৃথিবীতে আসবে। দাজ্জালকে হত্যা করবেন এবং 40 বছর পৃথিবীতে তিনি রাজত্ব করবেন। তাছাড়া মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঈসা আলাইহিস সালামকে বিভিন্ন ক্ষমতা দান করবেন। ঈসা আলাই সাল্লাম এর হাতে দাজ্জালের হত্যা হবে।
আর্টিকেলে এর শেষ কথা।
পরিশেষে ভাই ও বোনেরা আশা করি আপনাদের কাছে আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার মতামত কমেন্ট করতে ভুলবেন না।আজকের আর্টিকেলটি আমরা এখানেই শেষ করছি এবং পরবর্তী আর্টিকেলের জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। এ ধরনের আর্টিকেল আরো পেতে কমেন্ট করে জানাতে একদমই ভুলবেন না। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।