আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ!!!
হযরত আদম আঃ এর গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরিচয়
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সর্বপ্রথম মাটি ধারা আদম আঃ কে সৃষ্টি করেছেন। সেদিনটি ছিল শুক্রবার। পৃথিবীর সর্বপ্রথম মানুষ ছিল হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম। আদম আলাইহিস সাল্লাম এর পরে সৃষ্টি হল হাওয়া আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
হযরত আদম আঃ এর পাঁজর থেকে সৃষ্টি করলেন হাওয়া আঃ কে। আদম আঃ হল হাওয়া আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী। এ কারণেই স্ত্রীজাতি পুরুষ জাতির অনুগামী। এমনকি পরস্পরের সাথে আকৃষ্ট ঠিক এ কারণেই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের আদেশের তারা জান্নাতে বসবাস করতে লাগলো।মহান আল্লাহতালা তাদেরকে বললেন তোমরা জান্নাতে যা ইচ্ছা তাই করো কিন্তু কোন এক গাছের ফল পান করো না।
অতঃপর ইবলিশ আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের কাছে এসে একথা ওকথা বলে বশ করে নিল। এবং তাদেরকে বলল,,, তোমরা কি জানো আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কেন তোমাদের ওই গাছের ফল খেতে নিষেধ করেছে? এই গাছের ফল খেলে তোমরা এখানে তোমরা চিরস্থায়ী হয়ে যাবা অথবা ফেরেশতা হয়ে যাবা। এরকম আরো অন্যান্য এ কথা সে কথা বলে তাদেরকে প্রতারিত করেন ইবলিশ শয়তান।
আল্লাহ তা’আলার নিষিদ্ধ করা বক্ষের ফল তারা দুজনই পান করল। অতঃপর সাথে সাথেই গুপ্তাঙ্গ প্রকাশিত হয়ে গেল। অতঃপর সঙ্গে সঙ্গে তারা গাছের পাতা দিয়ে তা তারা ডাকতে লাগলো। তারপর আল্লাহ রব্বুল আলামিন পৃথিবীতে আদম এবং হাওয়া আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পাঠালেন।
কিছু কিছু বক্তব্য থেকে আমরা জানতে পারি হযরত আদম আঃ শ্রীলংকায় এবং হাওয়া আঃ সৌদি আরবে অবতরণ করেছিল। এবং ইবলিশ ইরাকে অবতরণ করেছিল। যদিও এ ব্যাপারে কুরআন এবং হাদিসে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই আমরা এ বিষয়ে চুপ থাকাই ভালো।আদম আলাইহি ওয়াসাল্লামই শুধু মাটি দিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর থেকে আমরা সবাই মায়ের গর্ভে জন্মায়।
আদম আলাইহিওয়াসাল্লাম ছিলেন নিষ্পাপ। আল্লাহ তা’আলা আদম আলাই সাল্লাম কে সকল বস্তুর শিক্ষা দিয়েছেন। পৃথিবীর সর্বপ্রথম নবী হলেন হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি দুনিয়াতে খলিফা হিসাবে এসেছেন। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাকে দুনিয়ার সবকিছু শিক্ষা দিয়েছিলেন।
আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিল 40 হাত লম্বা। আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম সৃষ্টি হয়েছে শুক্রবারের দিন। পৃথিবী তৈরি হয়েছে শুক্রবার এর দিন এবং পৃথিবী ধ্বংস হবে শুক্রবারের দিন। এগুলো আমাদের মাথায় থাকা অবশ্যই জরুরি। হযরত আদম আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে 1000 বছর জীবিত ছিলেন।
আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই। এ ধরনের তথ্য এবং ইসলামিক আরও তথ্য পেতে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।আপনাদের আগ্রহ থাকলে আর্টিকেলগুলো আরো বড় করে বিস্তারিত কোরআন এবং হাদিস নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করবেন ইনশাল্লাহ। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতু।