Site icon Trickbd.com

দাজ্জাল কে ?(সকল মুসলমানদের জন্য)

Unnamed

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। পৃথিবীতে আগমন করবে দাজ্জাল! সেটা কিয়ামতের বড় আলামত এর একটি আলামত। অর্থাৎ কিয়ামতের পূর্বে বড় আলামত এর একটি আলামত হল পৃথিবীতে আগমন করবে যে দাজ্জাল। আজকেরে আর্টিকেলে আমরা দাজ্জাল সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব।

দাজ্জাল কে দাজ্জালের পরিচয়?

দাজ্জাল: দাজ্জাল হল আমাদের মত সাধারন এক মানুষ। তবে তার আকৃতির চেহারা তার চরিত্র মানুষের থেকে ভিন্ন। এমনকি পৃথিবীতে তিনি অলৌকিক ক্ষমতা নিয়ে আগমন করবে। সে এখনো পর্যন্ত জীবিত রয়েছে কোন এক দ্বীপে। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর যুগে কোন এক সাহাবী সরাসরি দাজ্জালের সাথে সাক্ষাৎ করেছিল। যেটা আমরা সরাসরি হাদিস থেকে জানতে পারি।

দাজ্জালের চেহারা তার আকৃতি দেহগঠন মানুষের থেকে ভিন্ন। তার দেহ বিশাল আকার। সে দেখতে পেতে হবে এবং গায়ের রং লালচে হবে। হাদিস থেকে জানা যায় তার ডান চোখ অথবা বাম চোখ কানা থাকবে। এমনকি ঈমানদাররা সরাসরি তার কপালে কাফ ফা র অর্থাৎ কাফের লেখা দেখতে পারবে।

তাঁর কোন সন্তান থাকবেনা এবং তিনি পৃথিবীতে আগমন করবে ঈমানদারকে পরীক্ষা করার জন্য। খলীফাতুল্লাহ আল মাহাদী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমনের পর দাজ্জালের আবির্ভাব হবে। তার কাছে এমন ক্ষমতা থাকবে যা সাধারণ মানুষের থাকবে না।

দাজ্জাল পৃথিবীতে আগমন কেন করবে?

দাজ্জালের আগমন: দাজ্জাল পৃথিবীতে মাত্র 40 দিন থাকবে। এই 40 দিন পৃথিবীর সকল দেশে এসে মুহূর্তের মধ্যে সফর করবে। এবং প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিকে সে কাফের বানানোর চেষ্টা করবে। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দাজ্জাল কে নানারকম অলৌকিক ক্ষমতা দান করবেন। সে জান্নাত জাহান্নাম দেখাতে পারবে এবং মৃত মানুষকে জীবিত করবে তাছাড়া আরো নানারকম অলৌকিক ঘটনা সে মানুষদের দেখাবে।

দাজ্জালের আবির্ভাব মূলত ঈমানদারকে পরীক্ষা করার জন্য।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী কিয়ামত হওয়ার পূর্বে দাজ্জালের আগমন ঘটাবেন এবং ঈমানদারকে পরীক্ষা করবেন।দাজ্জাল পৃথিবীতে আগমন করে এই সর্বপ্রথম নবী দাবিদার করবে। তারপর আস্তে আস্তে সে নিজেকে খোদা দাবি করবে।

তার অলৌকিক ক্ষমতা দেখে বেশিরভাগ লোকই ঈমান হারিয়ে ফেলবে এবং তাকে খোদা বলে মেনে নেবে। কিন্তু কিছু কিছু লোক তাদের ঈমান দুর্বল হবে না।তখন যারা দাজ্জালকে মানতে চাইবে না তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে দাজ্জাল। কিন্তু খাঁটি ঈমানদার কে ইনশাল্লাহ আল্লাহ রক্ষা করবেন।

দাজ্জাল পৃথিবীতে কতদিন বেঁচে থাকবে?

দাজ্জালের জীবন কত দিন পৃথিবীতে: পৃথিবীতে দাজ্জাল এর জীবন মাত্র 40 দিন যেটা আমি আগেই বলেছি। তবে তার সময়কাল 40 দিন বর্তমান সময়ে এর মতন নয়। হাদিস থেকে জানা যায় দাজ্জালের আগমনের প্রথম দিনটি হবে বর্তমান সময়ের এক বছর এর মত। দাজ্জাল আগমনের দ্বিতীয় দিন কি হবে এক মাসের মতো। দাজ্জাল আগমনের তৃতীয় দিন হবে সপ্তাহে মত।

মূলত হাদীস থেকে আমরা এ ধরনের কথা স্পষ্ট প্রমাণ পাই। তবে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনই ভাল জানেন সবকিছু।খলীফাতুল্লাহ আল মাহদী আলাইহিস সাল্লাম পৃথিবীতে আগমনের কয়েক বছর পর দাজ্জালের আগমন ঘটবে। খলীফাতুল্লাহ আল মাহদী আলাইহিস সাল্লাম থাকা অবস্থায় পৃথিবীতে আগমন করবে হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

হযরত ঈসা আলাইহিস সাল্লাম পৃথিবীতে আগমন ঘটবে দাজ্জালকে হত্যা করা এবং মুসলমানদের কে বিজয়ী করার জন্য।সাধারনত দাজ্জাল খুব বেশিদিন পৃথিবীতে থাকবে না তবে তার আগমনের নিকটবর্তী দিন গুলো খুবই ভয়ঙ্কর হবে। দাজ্জাল ঈমানদারকে তার অলৌকিক ক্ষমতা দেখিয়ে বেশিরভাগ লোক কে কাফের বানিয়ে ফেলবে। তারপর দিন যেতে যেতে এক সময় ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীতে আগমন করবেন।

এবং মিথ্যুক দাবিদার দাজ্জালকে হত্যা করবে। তাছাড়া তার সৈনিক ও দলভুক্ত লোকেরা ঈমানদারদের সাথে বিরাট যুদ্ধ করবে। সেই যুদ্ধে ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দলেরা বিজয় হবে। অর্থাৎ সকল ঈমানদাররা বিজয়ী হবেন। তারপর পৃথিবীতে সুখ আবার ফিরে আসবে। মনে রাখা দরকার এই ঘটনার আগে পৃথিবীতে সুখ খুব কম থাকবে।

তারপর হযরত ঈসা আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাত্র 40 বছর পৃথিবীতে বেঁচে থাকবেন। এবং স্বাভাবিক ভাবে তার মৃত্যু হবে।এই ঘটনাগুলো না হওয়া পর্যন্ত কখনোই কিয়ামত সংঘটিত হবে না যেটা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন। এতক্ষণ আমরা যে বিষয়গুলো জানলাম এগুলো সব বানিয়ে কোন কথা বলা হয়নি।

সকল বিষয়েই হাদীস থেকে আমরা দলিলসহ পেয়েছি। সেগুলাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। তাছাড়া আরও অনেক ধরনের ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর আলামত পৃথিবীতে দেখা যাবে।এমনকি হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম একথা স্পষ্ট করে বলেছেন যে ততক্ষণ কিয়ামত সংঘটিত হবে না যতক্ষণ না এই ঘটনাগুলো ঘটবে। যদি পৃথিবীর বয়স একদিন থাকে তাহলে একদিন এই সকল ঘটনা সংঘটিত হবে তারপর কিয়ামত সংঘটিত হবে।

আর্টিকেল এর শেষ কথা


পরিশেষে বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্তই। আর্টিকেল সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন বা মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।এই আশা ব্যক্ত ও কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
Exit mobile version