আসসালামু আলাইকুম

আজকে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করব কুরআন এর প্রকৃতির সুরক্ষা নিয়ে, চলুন শুরু করা যাক :

আল্লাহ তাআলা নবিদের উপর ছোট ছোট এবং পূর্ণাঙ্গ বহু কিতাব অবতীর্ণ করেছেন। যেমন- হজরত মুসা আলাইহিস সালামের উপর তাওরাত, হজরত ইসা আলাইহিস সালামের উপর ইঞ্জিল এবং হজরত দাউদ আলাইহিস সালামের উপর যাবুর নাজিল করেন। আর কুরআন আল্লাহর এমন কিতাব, যার পর আর কোনো কিতাব নাজিল হবে না- তা আমাদের প্রিয়নবি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর নাজিল করা হয়েছে। যার পরে আর কোনো নবি নেই। তিনিই শেষ নবি। কুরআন সর্বশেষ আসমানী গ্রন্থ। যতদিন পর্যন্ত পৃথিবী থাকবে ততদিন পর্যন্ত পবিত্র কুরআন অবিকৃত অবস্থায় টিকে থাকবে। তার একটি হরকত কিংবা সাকিনও পরিবর্তন হবে না যা আল্লাহ তাআলা নাজিল করেছেন। আর আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনের হিফাজতের দায়িত্ব নিজেই নিয়েছেন। তিনি ইরশাদ করেন, “আমিই পবিত্র স্মারকগ্রন্থ (কুরআন) অবতীর্ণ করেছি আর আমি নিজেই তা সংরক্ষণ করবো” (হিজর-৯)। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, “আল্লাহর বাণীতে কোনো রকম পরিবর্তন, পরিবর্ধন আসে না” (ইউনুস-৬৪)। ইরশাদ হচ্ছে, “আর এটা সম্মানিত কিতাব যার সামনের দিক থেকে কিংবা পিছনের দিক থেকে বাতিল প্রবেশ করতে পারে না। প্রশংসিত প্রজ্ঞাময় আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ” (ফুসসিলাত-৪২)। কুরআন সম্পর্কে ঐশী গুরুত্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে-যেহেতু কুরআন তার প্রতিপক্ষ কাফের মুশরিকদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, “আমি আমার প্রিয় বন্ধুর প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি সে ব্যাপারে যদি তোমরা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে নিমজ্জিত থাক, তবে তার (কুরআনের) সাদৃশ্য একটি মাত্র সুরা তোমরা প্রস্তুত কর। আর (এ কাজের জন্য) তোমরা আল্লাহ ছাড়া তোমাদের অন্যান্য সহযোগিদের আহবান কর, যদি তোমরা তোমাদের দাবিতে সত্যবাদী হয়ে থাক। আর যদি তোমরা তা করতে না পার। আর তোমরা তো তা কস্মিণকালেও করতে পারবে না” (বাকারা ২৩-২৪)। অতএব, কুরআন কালোত্তীর্ণ, চিরন্তন, চির নতুন। কালের আবর্তনে তার নতুনত্ব পুরাতন হয় না। মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোতে এনে সত্যের দিশা দিতে এবং সঠিক পথে চালাতে মহান আল্লাহ তা নাজিল করেন। সে কারণে পবিত্র কুরআন আঁকড়ে ধরার বিকল্প নেই। যেমনটি তিনি বলেছেন, “এটা আপনার জন্য নসিহত এবং আপনার সম্প্রদায়ের জন্য যা তারা অচিরেই বুঝতে পারবে” (যুখরুফ ৪৪)। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, “আমি তোমাদের মাঝে দু’টি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা তা দৃঢ়ভাবে আঁকড়ে ধরবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা কখনও পথভ্রষ্ট হবে না। আর তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং তাঁর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ” (মুয়াত্তা মালেক, জামিয়ূল উসুল ফী আহাদিসুর রসুল)।

One thought on "বিকৃতি থেকে কুরআনের সুরক্ষা"

  1. Hafez_Ali_Ahsan Contributor says:
    No Offense! Quran e Onek Vhul Peyechi….And Ami nijei Quraner Hafiz

Leave a Reply