গণিতশাস্ত্র আবিষ্কার অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনের মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয়
আমরা স্কুল কলেজ ভার্সিটি সহ বাংলা ইংরেজি আরবি মাদ্রাসার, স্কুলে সাধারণত গণিতশাস্ত্র সম্পর্কের কেউ আর অজানা নয়। আপনি কি জানেন এই গণিতশাস্ত্র কিভাবে তৈরি হয়েছিল,
বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের কোনো অস্তিত্ব প্রকাশ করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু সত্যিকার অর্থে মুসলমানরা এই গণিত শাস্ত্র সম্পর্কে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল।
সাধারণত গণিতকে বিজ্ঞানের মূল বলা হয়ে থাকে। এই গণিতশাস্ত্র আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতি উৎকর্ষ সাধনে মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয়। ইসলামে অনেক মুসলিম মনীষী এই গণিতশাস্ত্র পরিশুদ্ধ লাভ করেছিল। আজকের আর্টিকেলে আমরা গণিতশাস্ত্র, মুসলিম মনীষী সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব যারা মূল, এই গণিতশাস্ত্র আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনে অবদান অবিস্মরণীয়।
গণিতশাস্ত্রঃ সাধারণত গণিতকে বিজ্ঞানের মূল বলা হয়ে থাকে। আর এই গণিতশাস্ত্র আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনে মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয়। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য কয়েকজনের নাম নিচে দেওয়া হল।
***আল খাওয়ারেযমি নামক একজন তিনি গণিতশাস্ত্র আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
***ইবনে হায়সাম নামক একজন তিনিও কিন্তু গণিতশাস্ত্র আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিল।
***ওমর খৈয়াম নামক একজন লোক তিনিও গণিতশাস্ত্র আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপরোক্ত তিনজন ব্যক্তির নাম সহ আরো অনেক লোক, মুসলিম মনীষী এই প্রসিদ্ধি লাভ করে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বর্তমান পৃথিবীতে এদের নাম, তেমন কোনো লোক জানে না।
তাহলে একবার ভাবুন এদের অবস্থা কেমন, এরাই সাধারণত মুসলিম মনীষী এ গণিতশাস্ত্র প্রসিদ্ধি লাভ করে, আর এদের নামই এখনো পর্যন্ত অনেকে জানেনা।
যদিও গণিতশাস্ত্র এর আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনে মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয়। কারণ উপরোক্ত তিনজন মুসলিম মনীষী সহ আরো অনেক মুসলিম মনীষী এই শাস্ত্রে, প্রসিদ্ধি অবদান রয়েছে। সুতরাং আমাদের এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকলেও সংক্ষিপ্ত আকারে ধারণা থাকা জরুরি।
[/h2]মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজম[/h2]
তার নাম মূলত মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমী। তিনি সাধারণত 780 খ্রিস্টাব্দে খাওয়ারিজম নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি গণিত শাস্ত্রের সর্বাধিক প্রসিদ্ধ একজন ব্যক্তি। তাকে গণিত শাস্ত্রের জনক বলা হয়। এমনকি তিনি বীজ গণিতের আবিষ্কারক হলেন সেই তিনিই।
মুহাম্মদ ইবনে মুসা আল খাওয়ারিজমী তার গণিতশাস্ত্র দ্বারা ওমর খৈয়াম, লিওনার্ডো, ফিরোনাসসি এবং মাস্টার জ্যাকব সহ আরো অনেকেই প্রভাবান্বিত হয়েছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, তিনি 850 খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
হাসান ইবনে হায়সাম
হাসান ইবনে হায়সাম সাধারনত একজন চক্ষু বিজ্ঞানী ছিলেন। আর তিনি 965 খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিল। চক্ষু বিজ্ঞান বিষয়ক মৌলিক গ্রন্থ সাধারণত, কিতাবুল মানাযির, তাকে ইতিহাসে অমর করে রেখেছে। মধ্যযুগের আলোক বিজ্ঞানের একটি মাত্র গ্রন্থ ছিল এটি। তাছাড়া এর অবদান ইতিহাসে অনেক রয়েছে।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা তার সম্পর্কে খুব কম লোকই জেনে থাকতে পারি। আধুনিককালের বিজ্ঞানীরা জ্যোতির্বিজ্ঞানী কে তাদের আবিষ্কার বলে দাবি করলেও, ইবনে হায়সাম এই বিষয়ে বহু পূর্বে বিস্তারিত বর্ণনা করেছিলেন। আর হাসান ইবনে হায়সাম তিনি 1044 খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
ওমর খৈয়াম
তার নাম ওমর ইবনে ইব্রাহিম আল খৈয়াম সংক্ষেপে সাধারণত ওমর খৈয়াম বলে জানা যায়। ওমর খৈয়াম সাধারণত 1844 খ্রিস্টাব্দে পারস্যে জন্মগ্রহণ করেছিল। তিনি ছিলেন প্রথম শ্রেণীর গণিত বিদ। তার কিতাবুল জিবার ওয়াল মুকাবালা।
গণিত শাস্ত্রের একখানি অমর গ্রন্থ এটি। ঘন সমীকরণ এবং অন্যান্য উচ্চশ্রেণীর সমীকরণের, পদ্ধতিতে বিশ্লেষণ ও সংখ্যা অনুসারে এগুলো শ্রেণীভূক্ত করে এই ওমর খৈয়াম। তাছাড়া তিনি বীজগণিতের অসাধারণ অগ্রগতি সাধন করেন।
তাছাড়া তিনি পাটিগনিত জ্যোতির্বিজ্ঞানের উপরেও বহু গ্রন্থ তিনি রচনা করেছিলেন। আর এদিকে আবার তিনি গ্রীকদের থেকেও বেশি পারদর্শীতা দেখিয়ে ছিল। ওমর খৈয়াম তিনি সাধারণত 1122 খ্রিস্টাব্দে ইন্তেকাল করেন।
প্রিয় বন্ধুরা, এতক্ষণ আমরা মুসলিম মনীষী, কয়েকজন গণিতশাস্ত্র আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনের, মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয় নিয়ে আলোচনা করছিলাম। এবং পরিচয়সহ কয়েকজনের গুণগতমানের সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেছি।
ইতিহাসে তারাই গণিতশাস্ত্র সর্বপ্রথম পৃথিবীতে আবিষ্কার করেছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বর্তমান পৃথিবীতে তাদের নাম খুব কম লোকই শুনেছে। এমনকি আমরা যারা পড়ালেখা করি তারাও হয়তো এদের নাম কখনো শুনিনি। তাহলে ভাবুন পৃথিবীর অবস্থা বর্তমান সময়ে কেমন !
সুতরাং আমাদের অবশ্যই এই বিষয়ে সঠিক ধারণা, ভুল থেকে বেরিয়ে আসায় উত্তম। ইতিহাসে মুসলমানদের বিশেষ করে মনীষী মুসলমানের অনেক অবদান পাওয়া যায় গণিতশাস্ত্র। সুতরাং এদের সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারণা অবশ্যই জানা প্রয়োজন হয়। আর্টিকেল টি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না।
গণিতশাস্ত্র আবিষ্কারের অগ্রগতি ও উন্নতির উৎকর্ষ সাধনের মুসলমানদের অবদান অবিস্মরণীয়,, আশাকরি আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে একটু হলেও ভালো লেগেছে। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।