Site icon Trickbd.com

মন ছুয়ে যাওয়া অসাধারণ দোয়া কবুলের গল্প। তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হওয়ার গল্প।

Unnamed

আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

মন ছুয়ে যাওয়া অসাধারণ দোয়া কবুলের গল্প। তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া কবুল হওয়ার গল্প।


দোয়া কবুল হওয়ার অনেক মজার একটা বিষয়। আপনি যখন দোয়া করবেন তখন যদি দেখেন আপনার দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করছে তখন আপনার ফিলিং কেমন হবে। অবশ্যই আপনার অনেক ভালো লাগবে। আজকে এমনি একটা দোয়া কবুল হওয়ার ঘটনা শেয়ার করব। হয়তো এই ঘটনা অনেক পড়ে থাকবেন। আমার কাছে ঘটনাটা মন ছুয়ে গেছে তাই আপনাদের কাছে শেয়ার করছি।

এক লোক মসজিদে প্রবেশ করলো। মন খারাপ। এক পাশে গিয়ে বসে রইলো। একজন বৃদ্ধ হুজুরও আরেক পাশে ছিলেন। বৃদ্ধ হুজুর কৌতূহল হয়ে প্রশ্ন করলেনঃ বাছা! এখন তো নামাজের সময় নয়। তুমি কেনো মসজিদে এলে..? সে বলল হুজুর! আমি বিয়ে করেছি, বেশ কিছুদিন হয়ে গেলো। এখনো আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে, আমাদের ঘরে নতুন কোনও মেহমান আসেনি। আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই বেশ পেরেশান। সংসারে সন্তান না থাকাতে আমার স্ত্রীকে নানা জন নানা কথা বলে। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সন্তান না দেয়ার ফয়সালা করলে, আমি সেটার রাজি।

আমি আমার স্ত্রীকেও বারবার সান্তনা দিয়ে আসছি। আর সন্তান না হওয়াতো স্ত্রী দোষ নয়। আমরা দুজনেই বিষয়টার সাথে সম্পৃক্ত। মানুষের কটাক্ষ আর বিদ্রুপের কারণে অবস্থা এমন হয়েছে যে, আমরা স্ত্রী মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে, সে কিছুদিন পর পুরোপুরি পাগল হয়ে যাবে। রুবাবাহ মানে আমার স্ত্রী, সে এতো ভালো একটা মেয়ে, তাকে ছাড়া আমার জীবনটাও পানসে হয়ে যাবে। জীবনের কোনও স্বাদ আমি পাবো না। আমি কোনও ডাক্তার – বৈদ্য – কবিরাজ বাদ রাখিনি। কিছুতেই কিছু হলো না। বৃদ্ধ হুজুর বললেনঃ তুমি স্থির হয়ে বসো। আমি তোমাকে একটা ওষুধ দেবো।

ওষুধটার ব্যবহারবিধি খুবই কঠিন। তবে আমি আল্লাহর ওপর পুরোপুরি তাওয়াক্কুল করেই বলছি। এ ওষুধে তোমার অবশ্যই সন্তান হবে। ইনশাআল্লাহ। আল্লাহর দোহাই লাগে হুজুর! আপনি যত কঠিন আর কষ্টকর ওষুধ দেন, আমি সেটা ব্যবহার করার জন্য প্রস্তুত। ইনশাআল্লাহ। তোমরা দুজনেই, ফজরের আযানের কমপক্ষে একঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠবে। সময়টাকে দুইভাগে ভাগ করে নিবে। প্রথম ভাগে কিয়ামুল লাইল অর্থাৎ তাহাজ্জুদ পড়বে। দ্বিতীয় ভাগে ইস্তিগফার (তওবা) পড়বে। এভাবে নিয়মিত আমল করে যাবে।

কারণ আল্লাহ তায়ালা বলেছেনঃ আমি বলেছি, তোমরা তোমাদের রবের কাছে ইস্তিগফার করো, নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল। (এর ফলে) তিনি তোমাদের ওপর প্রবল বর্ষণ করবেন, আর তিনি তোমাদেরকে সম্পদ, সন্তান দ্বারা সাহায্য করবেন। আর তোমাদের জন্য বানিয়ে রাখবেন বাগ- বাগিচা। আর তোমাদের জন্য প্রবাহিত করবেন নদীনালা। (সূরা নূহঃ ১০-১২)

লোকটা ঘরে ফিরে গেলো। স্ত্রীকে বললোঃ ওগো! আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে আল্লাহ তায়ালা আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কিভাবে…?স্বামী বিষয়টা খুলে বললো। জিজ্ঞেস করলোঃ তুমি কি এই আমল করতে প্রস্তুত…? জ্বি, আমি অবশ্যই প্রস্তুত।আপনার সাথে কোন কাজেই বা আমি অপ্রস্তুত থাকি…? আমি কোন দিন থেকে আমলটা শুরু করবো..? কেনো আজ থেকেই, কোনও ওযর আছে তোমার…? জ্বি না। তারা দুজনেই আমলটা শুরু করলো।

পরে দিন যেতে না যেতেই স্ত্রীর মধ্যে গর্ভের বিভিন্ন উপসর্গ প্রকাশ পেতে শুরু করলো। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর তিনিও বিস্মিত হয়ে বললেন, আপনাদের জন্য তো সুখবর আছে। এটা ছিলো ইস্তিগফার বরকত। কোরআনের আয়াতটাতে তো আল্লাহ তায়ালা এমনটাই ইঙ্গিত করেছেন। ইয়া আল্লাহ! আমাদেরকে বেশি বেশি ইস্তিগফার করার তাওফিক দান করুন। আমিন। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

Exit mobile version