Site icon Trickbd.com

অজানা পৃথিবীর তথ্য সমগ্র ~ পর্ব ২ | (মহাকাশ রহস্য) মহাকাশ স্টেশন: মহাকাশে মহাত্রাস

Unnamed

স্টেশন বললেই তো
আমাদের মাথায়
প্রথমেই ট্রেন
স্টেশনের কথা আসে,
যেখানে ট্রেন থাকে
আর যাত্রীরা ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে।
বাসের ক্ষেত্রেও
তাই। কিন্তু মহাকাশ
স্টেশন এদের থেকে
একটু আলাদা। কেননা
মহাকাশ স্টেশনে সেই অর্থে কোনো
মহাকাশযান আসা
যাওয়া করে না বটে
কিন্তু ঘটনা কাছে
ধারেরই কিছু। মহাকাশ স্টেশন মূলত
একটি বিশাল
মহাকাশযান। আবার
একে তুমি কৃত্রিম
উপগ্রহও বলতে পার,
যেটা পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২২০ মাইল উপরে
একটি অক্ষপথ ধরে
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ
করে থাকে। এই
মহাকাশযানে কিছু
মহাকাশবিজ্ঞানী একটি নির্দিষ্ট সময়
বসবাস করেন এবং
মহাকাশ বিষয়ক
গবেষণা করেন। এই
গবেষণাগুলো মূলত
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি এজেন্সি–
ন্যাশনাল এরোনটিকাল
এ্যান্ড স্পেস
এ্যাডমিনিস্ট্রেশন
সংক্ষেপে যাকে
তোমরা NASA নামে চেন, তারা পরিচালনা
করেন। এ ধরণের গবেষণার মূল
উদ্দেশ্য হচ্ছে,
মহাকাশকে আরও
ভালোভাবে জানা। মহাকাশ স্টেশনগুলো
বেশ কয়েকটি খন্ড
নিয়ে গঠিত। ১৯৯৮
সালে রাশিয়ান
রকেটে করে প্রথম
মহাকাশ স্টেশনের একটি খন্ড মহাকাশে
নিয়ে যাওয়া হয়।
এটাকে স্থাপন করার

মাধ্যমেই প্রথম
মহাকাশ স্টেশনের
গোড়াপত্তন হয়। প্রায় দুই বছর নানান খন্ড এর
সাথে জুড়ে দেওয়ার
পরে এটি মানুষের
বসবাস করার এবং কাজ
করার উপযোগী হয়।
কিন্তু এটার কাজ পুরোপুরিভাবে শেষ
হতে ২০১১ সাল পর্যন্ত
লেগে যায়। এখন কথা হচ্ছে,
মহাকাশ স্টেশনগুলো
কত বড় হয় যে, এগুলোকে
একবারে নেয়া যায় না?
এমনিতে মহাকাশ
স্টেশন বেশ বড়ই হয়। প্রায় একটি পাঁচ
বেডরুমের বাসার
সমান বড়! সেই সঙ্গে
দুটা বাথরুম,
জিমনেসিয়াম থাকলে
যত বড় হতে পারে, তত বড়! তবে শুধু থাকার
জন্যই তেো আর মহাকাশ
স্টেশন নয়,
গবেষণাগার,
যন্ত্রপাতি ইত্যাদিতে
ঠাসা বলে পুরো জিনিসটা আসলে একটি
ফুটবল মাঠের সমানই
বড় হয়। কেননা একটা
স্টেশনে গবেষণাগার
শুধু একটি দেশেরই
থাকে না। কয়েকটি দেশের কয়েকটি
গবেষণাগার থাকে।
সব মিলে মহাকাশ
স্টেশনটির ওজন হয়
প্রায় এক মিলিয়ন
পাউন্ড। এত বড় যার আকার সেই
স্টেশন চালাবার
শক্তি কোথা থেকে আসে
ধারণা করতে পার? এত
বড় স্টেশন চলার শক্তি
শুধু সেই জোগান দিতে পারবে যার নিজের
শক্তি অসীম এবং তা
শেষ হবার ভয়ও নেই।
ঠিক ধরেছ, মহাকাশ
স্টেশনের শক্তির
যোগান দেয় সূর্য। স্টেশনের দুইপাশে
দুইটা পাখার মতো
সোলার প্যানেল
লাগানো থাকে
যেগুলোকে দেখতে
পাখা মনে হলেও আসলে এগুলো সৌরকোষের
সমষ্টি। এত আয়োজন করে যে
মহাকাশ স্টেশন
বসানো হয়, সেগুলোর
কাজ কী তা নিশ্চয়ই
এখন জানতে ইচ্ছে
হচ্ছে? নাসা এই মহাকাশ স্টেশনগুলোকে
মূলত তিন ধরণের কাজে
ব্যাবহার করে। এক,
মহাকাশ যাত্রীদের
বসবাসের জন্য। এক
একটি স্টেশনে ৬ জন করে মহাকাশ যাত্রী
বসবাস করতে পারে।
দুই, যদিও তাদের
মহাকাশ যাত্রী বলা
হয়েছে কিন্তু তাই বলে
তারা কেউই সাধারণ যাত্রী নন। তারা
প্রত্যেকেই মহাকাশ
বিজ্ঞানী যারা
মহাকাশে বসবাস করে
যার যার
গবেষণাগারে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করে
থাকেন, যে গবেষণা
পৃথিবীতে বসে করা
সম্ভব না। তৃতীয় এবং
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
কারণ হচ্ছে, নাসা মহাকাশের আরও
অজানা অংশকে জানার
জন্য মহাকাশের আরও
গভীরে মানুষ পাঠাতে
চায়। এই স্টেশনগুলো
সেই অর্থে অপেক্ষার স্থান না হলেও এখানে
যারা বসবাস করেন,
তারা অজানা মহাকাশ
এবং পৃথিবীর মানুষের
মধ্যে একটি যোগাযোগ
সেতু তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।

সউজন্যেঃ বিডিপ্রযুক্তি

Trickbd admin, i have a request. Please, make a new category in TrickBD– ‘World Mystery News’.