Site icon Trickbd.com

এবার তেল -গ্যাস ছাড়াই চলবে ‘ মোটরবাইক ’ . . ? তৈরী করলেন বাংলাদেশের একাদশ শ্রেণির ছাত্র মুন্না

নিজের প্রচেষ্টায় যে সব কিছু করা সম্ভব
এমনটাই
প্রমান করলেন ভোলার এক যুবক। তিনি
উদ্ভাবন
করেছেন জ্বালানি বিহীন মোটরসাইকেল।
সম্পূর্ণ নিজস্ব প্রযুক্তিতে তিনি
মোটরসাইকেলটি
আবিষ্কার করেন। যা কোন ধরনের তেল-গ্যাস
ছাড়া ধোঁয়া বিহীন শতভাগ পরিবেশ বান্ধব।

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের পেশকারপাড়া
এলাকার
মোঃ তাজুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে
মোঃ
মনোয়ারুল ইসলাম (মুন্না)র মোটরসাইকেল
আবিষ্কার নিয়ে এলাকায় রীতিমত হৈ চৈ
ফেলে পড়ে
গেছে । গত কিছুদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায়
পরীক্ষামূলকভাবে চালানো তার আবিষ্কৃত
মোটরসাইকেলটি নিয়ে উৎসুক জনতার ব্যপক
উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে ।
তরুন উদ্ভাবক মনোয়ারুল ইসলাম মুন্নার সাথে
কথা বলে জানা যায়,তার আবিস্কৃত মোটর
সাইকেলটি চালাতে কোন প্রকার তেল গ্যাস
লাগেনা। এটা সম্পূর্ণ ব্যাটারীচালিত। এটি
একবার চার্জ করলে ৩০ কিলোমিটার যায়
এবং সয়ংক্রিয় চার্জের কারণে আরও ৩০
কিলোমিটার যায়। অর্থ্যাৎ একবার চার্জ

করলে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে ।
প্রতিবার চার্জ করতে মাত্র ৩ থেকে ৪ টাকা
খরচ হয় বলে জানিয়েছে মুন্না । তাছাড়া
তার আবিষ্কৃত এই মোটরসাইকেলের গতি ৪৫
কিলোমিটারএবং এই মোটরসাইকেলের
চেসিস, বডিসম্পূর্ণ স্টিলনেসষ্টিলের তৈরি।
তাই শতবছর পরও এটিতে কোন মরিচা
আসবেনা এবং সাধারণ মোটর সাইকেলের
মতই বিভিন্ন সিগনালবাতি, হর্ন, হেডলাইট,
ব্রেকলাইট ও ড্রাম ব্রেকও কাজ করবে ।
এমন উদ্ভাবনের শখ বা ইচ্ছা নিয়ে জানতে
চাইলে
মুন্না জানান, এখনো ইন্টারমিডিয়েড পড়ছেন
মুন্না –
পারিবারিক পেশার কারনে ছোটবেলা
থেকেই
বাইক চালাতে হত , বাইকের তেল কিনতে
বেশি টাকা
অপচয় হওয়ার বিড়ম্বনা থেকে বাচতে এবং
সাশ্রয়ি
হতে এই পরিকল্পনা মাথায় রেখে গত ১ বছর
ধরে
নিরলস চেষ্টা করে অবশেষে সফল হয়েছেন
দাবী মুন্নার । এখন বানিজ্যিক ভাবে প্রতি
পিস
মোটরবাইক তৈরিতে তার খরচ হতে পারে ৫০
হাজার
টাকা বলেও জানান মুন্না ।
এই মোটরসাইকেল কন্ট্রোলকরা খুবই সহজ ও
নিরাপদ। মুন্না আরো জানায় বর্তমানে তার
মোটরসাইকেলের নাম দেওয়া হয়েছে
GALAXY
BIKE কোন কোম্পানী যদি তার সাথে
কন্ট্রাকে
আসে তাহলে সে তার আবিস্কৃত
মোটরসাইকেলটি
সল্পমূল্যে বাজারজাতকরবে। মুন্নার এই
মোটরসাইকেল আবিস্কার ছাড়াও আরো
অনেক
আবিষ্কার রয়েছে, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য
হল
, মোবাইল দিয়ে মেশিন স্টার্ট দেওয়ার যন্ত্র
এবং
পানির ট্যাংক খালি হলে অটোমেটিক মোটর
ষ্ট্রাট
হওয়ারযন্ত্র।
এ মোটর সাইকেলটি বাণিজ্যিক উৎপাদনে
কোনো
প্রতিষ্ঠান বা সরকার এগিয়ে এলে
পরিবেশবান্ধব
মোটরসাইকেলটি দেশের জ্বালানি খরচ
কমানোর
পাশাপাশি বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব
হবে বলে
আশা প্রকাশ করেন তিনি।