Site icon Trickbd.com

যে বদভ্যাসগুলো সম্পর্ক নষ্টের মূল কারণ

Unnamed


সর্ম্পক নষ্টের মূল উপাদান যোগাযোগের অভাব। এর সঙ্গে যোগ হয় কিছু বদভ্যাস। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সম্পর্কে নষ্টের কিছু অভ্যাসের কথা।

১. কথা বলার সময় চোখ এদিক-ওদিক করাঃ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের সময় খুব সাধারণ একটি অভ্যাস চোখ পাকানো এবং তাচ্ছিল্যের সঙ্গে এদিক-ওদিক করা। এতে অপর সঙ্গী-সঙ্গিনীর মেজার আরো গরম হয়ে যায়। এটা খুব বাজে একটা অভ্যাস। এতে অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়।

২. পাথরের দেয়াল তুলে দেওয়াঃ মূলত এর মাধ্যমে সঙ্গী বা সঙ্গিনী নিজ ও অপরের মাঝে এক অভেদ্য দেয়াল তুলে দেন। বিবাদের যখন মাঝখানে রয়েছেন, তখন নিশ্চুপ থেকে গঠনমূলক কোনো কথায় না জড়ানোর মাধ্যমে এ কাজটা সম্পন্ন হয়। এতে সমাধান তো হয়ই না, উল্টো সব নষ্ট হয়ে যায়।

৩. ক্ষমা না করাঃ ঝগড়ার একটা পর্যায়ে কোনো না কোনো পক্ষ নিজের ভুল বুঝতেই পারেন। অথবা ভুল না হলেও আচরণের জন্যে ক্ষমা চাইতে পারেন। কিন্তু অপরপক্ষ কোনো অবস্থাতেই ক্ষমাশীল হতে পারেন না। এটা মারাত্মক ক্ষতিকর আচরণ। এই বদভ্যাসের কারণে বহু সম্পর্ক মুহূর্তেই ধ্বংস হয়। অপরপক্ষ ক্ষমা চাইলে তা সঙ্গে সঙ্গে গ্রহণ করা উচিত।

৪. বিদ্রূপ করাঃ দ্বন্দ্ব চলাকালে অপরকে বিদ্রূপ করা মোটেও উচিত নয়। এতে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে। এটা এমন এক আচরণ যার মাধ্যমে অপরকে হেয় করছেন। তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন। এটা অপরের জন্যে মারাত্মক তিক্ত অভিজ্ঞতা।

৫. সামান্য বিষয় নিয়ে তর্কঃ কে কখন কি বলেছে, তা আসলে বিবেচ্য হওয়া যোগ্য না। বর্তমানে পরিস্থিতিটা কি তাই আসল ব্যাপার। তা ছাড়া আসলে কি ঘটেছিল, সঙ্গী-সঙ্গিনীর ভূমিকা তখন কি ছিল তাই বাস্তব। তা ছাড়া নগন্য বিষয় নিয়ে অপরকে কটাক্ষ করা বা হীনমন্যতা দেখানো সম্পর্কে ভাঙনের অন্যতম অস্ত্র।

৬. চলে যাওয়াঃ বিতর্কের মাঝখানে আর যাই হোক, রাগ দেখিয়ে বেরিয়ে আসা উচিত নয়। অনেকের মাঝেই এ অভ্যাস দেখা যায়। এতে কোনো সমাধান তো হয়ই না, ওই মুহূর্তেই সম্পর্কে ব্যাপক ভাঙন শুরু হতে পারে। এ ধরনের আচরণের অর্থ হলো, অপরের কথা মোটেও ভালো লাগছে না। তাই বলে বেরিয়ে আসা শোভন দেখায় না। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

.
.

সবার প্রথমে এই পোস্টটি এখানে শেয়ার হয়ে ছিল
.
.
নতুন নতুন টিপস পেতে সময় পেলে ঘুরে আসবেন
.
.

LikeSmsBD.Ga

.
.
.