সুখী দাম্পত্যের রহস্য কী? এই প্রশ্নের ঝটপট উত্তর দেয়া কঠিন। তবে মোটাদাগে মধুময় দাম্পত্য জীবন সম্পর্ক বলতে আমরা বুঝি, পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ, আন্তরিকতা এবং একে অপরের প্রতি টান।যদিও এই তিনটি বিষয়ের পাশাপাশি আরও কিছু বিষয় আছে যা সুখী দাম্পত্য জীবনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে।সম্প্রতি মার্কিন এক গবেষণায়ও দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ‘যোগাযোগ এবং যৌন পরিতৃপ্তি’ এই দুটি বিষয় মেনে চললেই দীর্ঘমেয়াদি সুখী দাম্পত্য সম্পর্ক নিশ্চিত করা সম্ভব। গবেষকদের মতে, যেসব দম্পতি নিজেদের মধ্যে ভালো যোগাযোগ রক্ষা করে এবং প্রায়ই শারীরিক সম্পর্ক জড়ায় তারাই সুখী জীবনযাপন করে। গবেষণা নিবন্ধটি এই মাসের শেষের দিকে ‘দ্য জার্নাল অব সেক্স রিসার্চ’ এ প্রকাশিত হবে। প্রায় ৪০ হাজার বিবাহিত এবং একসঙ্গে বসবাস করছেন এমন দম্পতিদের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়। যৌন তৃপ্তি এবং সুখী হওয়ার বিষয়টি নির্ধারণের জন্য ২০০৬ সালে গবেষণাটি চালানো হয়। দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৮৩ শতাংশ জানায়, প্রথম ছয় মাস তারা পূর্নাঙ্গ যৌন তৃপ্তি পেয়েছেন।কিন্তু অর্ধেকের বেশি দম্পতি জানায়, তাদের বর্তমান যৌন সন্তুষ্টির পরিমাণ অনেক কমে গেছে। মোট ৭৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৮১ শতাংশ নারী গবেষকদের বলেছেন, তারা সপ্তাহে এক বা একাধিক বার যৌন সম্পর্ক করেছেন এবং এতে তারা সন্তুষ্ট। চ্যাপম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ও গবেষণার প্রধান লেখক ডেভিড ফ্রেডরিক বলেন, যৌন তৃপ্তি এবং পুনরাবৃত্তির ব্যাপারটি অনেকটা ‘মুরগি এবং ডিম’ এর মতো। লিঙ্গ ভেদে সন্তুষ্টির বিষয়টি ভিন্ন। নারীদের ক্ষেত্রে, অর্গাজমের পরিমাণ, মেজাজ এবং যোগাযোগ। আর পুরুষদের ক্ষেত্রে, মেজাজ, সেক্সে ভিন্নতা এবং যোগযোগ। শক্তিশালী সম্পর্কের ক্ষেত্রে যোগযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অধ্যাপক জ্যাকি গ্যাব বলেন, দীর্ঘমেয়াদি ভালোবাসাপূর্ণ সম্পর্কের জন্য মৌখিক এবং অমৌখিক যোগাযোগ দুটোই গুরুত্বপূর্ণ।