সন্তান জন্মদান নিঃসন্দেহে একজন নারীর জীবনে নিয়ে আসে অন্যরকম আনন্দ। কিন্তু এর সবটাই কি আনন্দ? গর্ভাবস্থায় তার মাঝে এমন কিছু পরিবর্তন আসে যা বিব্রতকরও বটে। গর্ভবতী হবার আগে এসব ব্যাপারে জানা থাকে না অনেকেরই। তাই গর্ভাবস্থার শুরুতে এসব পরিবর্তনে একেবারে আকাশ থেকে পড়েন তারা। ১) জীবনের সবচাইতে ভয়াবহ ব্রণের সমস্যা যারা মনে করেন টিনেজ বয়স পার হয়ে গেছেন বলে ব্রণ আর ভোগাবে না, তাদের জন্য আছে দুঃসংবাদ। গর্ভাবস্থায় সিস্টিক অ্যাকনি দেখা দিতে পারে আপনার ঘাড়ে, কানের পেছনে, থুতনি জুড়ে, এমনকি বুক ও পিঠে। গর্ভাবস্থার পুরো সময়টা জুড়ে যদি আপনার ত্বক থাকে ঝকঝকে,তবে এমনটাও হতে পারে যে সন্তান জন্ম নেবার পর পরই আপনার মুখ ভরে যাবে ব্রণে। ২) নাক হয়ে উঠবে আপনার শত্রু যেন সুপার পাওয়ার পেয়ে যাবে আপনার নাক। গন্ধ শুঁকে দূর থেকে আপনি বুঝে যাবেন আপনার স্বামী বাইরে থেকে কি খেয়ে এসেছেন! কিছু খাবার খাওয়ার জন্য সময়ে অসময়ে আওনার মন ছটফট করবে। আবার কিছু খাবারের গন্ধ এতো তীব্র মনে হবে যে সেগুলো খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে আপনাকে। কি খেতে পারবেন কি পারবেন না, তার পেছনে কোনো কারণ থাকবে না। চিকেন ফ্রাই এর গন্ধ আপনার কাছে অসহ্য লাগতে পারে। আবার কাঁচা বাঁধাকপির প্রতি বেড়ে যেতে পারে ভালোবাসা। ৩) অযথাই সারা দিন বমি বমি ভাব ব্যাপারটাকে মর্নিং সিকনেস বলা হলেও সারাদিন ধরে আপনার বমি বমি ভাব পেলে অবাক হবেন না। অনেক সময়ে ডেলিভারির আগে পর্যন্ত চলতে পারে এই সমস্যা। ৪) শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল অকারণেই শরীর হয়ে পড়ে দুর্বল। মাথাব্যাথা, পিঠে ব্যাথা, বুক জ্বালাপোড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। শরিরে পানি আসে আর পা ফেলতেও হয় কষ্ট। ৫) মুখের ওপর থাকে না নিয়ন্ত্রণ আগে হয়তো নাক ডাকতেন না আপনি। কিন্তু এখন দেখা যাবে এতো জোরে নাক ডাকছেন আপনি যে তার শব্দে নিজেই ঘুম থেকে উঠে গেছেন। খাবারের স্বাদ পালটে যাবে একেবারেই। স্বাভাবিক সব খাবারের স্বাদ লাগবে অস্বাভাবিক। কখনো কখনো মনে হবে আপনি খাবারের বদলে লোহার টুকরো গলাধঃকরণ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ৬) ঘামের পরিমাণ বেড়ে যায় হঠাৎ করেই হরমোনের প্রভাব দেখা যায় আপনার শরীর জুড়ে। সব সময়ে ঘামতে থাকবেন আপানি, ঘামের পরিমাণও বেড়ে যাবে। এ ছাড়াও বেড়ে যাবে শরীর জুড়ে রোমের পরিমাণ। ৭) শারীরিক অবস্থার চাইতেও খারাপ হয় মানসিক অবস্থা বিজ্ঞাপন দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়বেন আপনি। ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়লে রাগে চিৎকার করতে ইচ্ছে হবে। এটা-সেটা ভুলে যাবেন খুব সহজেই। ৮) টয়লেটে যাওয়া মানে এক বিভীষিকা অল্প একটু নড়াচড়া করতেই প্রস্রাব পাবে আর টয়লেটে যাবার দরকার হবে আপনার। কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যাওয়াটাও খুব স্বাভাবিক। আর এ সবের ফলে টয়লেটে যাওয়ার ব্যাপারটাকে রীতিমত দুঃস্বপ্ন মনে হবে আপনার।