দাম্পত্য সম্পর্কে বিশ্বাস থাকা ও রাখা খুবই জরুরি। অনেক সময় সঙ্গীর ওপর বিশ্বাস নষ্ট হলে সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা বেশ কঠিন হয়ে যায়। আর এই বিশ্বাস রক্ষার জন্য স্বামীরা অনেক কিছু স্ত্রীর কাছে গোপন রাখে। তাদের ধারণা, কিছু বিষয় স্ত্রী না জানলে সংসার সুখের হবে। সেটা আপনার অতীতের কোনো ঘটনা হতে পারে, আবার বর্তমানের কোনো সমস্যাও হতে পারে।
কিন্তু এই বিষয়টি যদি সে আপনার কাছ থেকে না জেনে অন্যের কাছ থেকে জানে তাহলে আপনার স্ত্রী আরো বেশি কষ্ট পাবে। তাই নিজেই স্ত্রীকে গোপন কথা খুলে বলুন। দেখবেন, জীবনটা কত সহজ হয়ে যায়। কীভাবে, কখন গোপন কথা স্ত্রীকে বলবেন সে সম্বন্ধে কয়েকটি উপায়ের কথা বলা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন-
১. নিজে ভালো করে বুঝে নিন কথাটি স্ত্রীকে বলা জরুরি কি না। যদি গোপন কথাটি আপনার জন্য নিরাপদ না হয় তাহলে সেটি স্ত্রীকে না বলাই ভালো। কোন কথাটি বলতে হবে আর কোন কথাটি জরুরি না সেটা আগে বুঝতে হবে। যে কথাটি আপনি ছাড়া আর কেউ জানে না এবং খুবই স্পর্শকাতর কোনো বিষয়, যা জানলে সংসার ভেঙে যেতে পারে সেটা না বলাই ভালো।
২. যদি স্ত্রীকে অতীত নিয়ে কিছু বলতেই চান তাহলে নিজের মন থেকে দুশ্চিন্তা দূর করুন। নিজে আগে অতীতকে ভুলতে শিখুন। তাহলে আর স্ত্রীর কাছে বলতে কোনো দ্বিধা থাকবে না।
৩. যদি একসঙ্গে সব গোপন কথা স্ত্রীকে বলে দেন তাহলে হয়তো আপনার সঙ্গী বিষয়টি ঠিকমতো নিতে পারবে না। তাই সময় নিয়ে ধীরে ধীরে কথাগুলো বলার চেষ্টা করুন। একদিনে সব না বলে কয়েক দিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে একটু একটু করে আলোচনা করতে পারেন।
৪. এটা ভাবা ঠিক না যে, কোনো গোপন কথা বলবেন আর স্ত্রীর কোনো প্রতিক্রিয়া থাকবে না। স্ত্রীকেও সময় দিন বিষয়টি সামলে নিতে। দেখবেন, আস্তে আস্তে সেও সবকিছু মেনে নেবে।
৫. গোপন কথাটি শোনার পর হয়তো আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্কে ঝামেলা তৈরি হতে পারে। তাই আগে থেকেই প্রস্তুত থাকুন যেকোনো পরিস্থিতি সামলে নিতে। আপনার স্ত্রী হয়তো আপনার ওপর রাগ করে কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই কথাটি বলে ফেলার পর নিশ্চিন্তে থাকার কোনো মানে নেই। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা না হওয়া পর্যন্ত বিষয়টিতে একটু নজর রাখুন।