Site icon Trickbd.com

পাগলাটে নারীই লাইফপার্টনার হিসেবে চমৎকার

Unnamed


লাইফপার্টনার হিসেবে কেমন নারী
পছন্দ আপনার? কোনো পুরুষকে যদি এই
প্রশ্নটা করা হয় কী মিলবে উত্তর?
নিশ্চিত ৯০ ভাগ পুরুরই বলবেন, ঘরোয়া
আর শান্ত স্বভাবের নারীই তাদের
পছন্দ।

সত্যি কি তাই? মনোবিজ্ঞানীরা
বলছেন উল্টো কথা। তাদের মতে,
ঘরোয়া নারীদের চেয়ে একটু
খামখেয়ালি স্বভাবের ’পাগলাটে’
নারীরা স্ত্রী হিসেবে তুলনামূলক
বেশি সার্থক। সংসারে সুখ আনতে
তারা পারদর্শী হয়ে থাকে।
অবশ্য ‘পাগলাটে’ স্বভাব মানে
মানসিক ভারসাম্যহীন মোটেও নয়।

অন্যসব নারীর তুলনায় যারা খানিকটা
আলাদা, যাদের কথাবার্তা আর
কাজে-কর্মে লুকিয়ে থাকে কিছুটা
রহস্যময়তা; স্ত্রী হিসেব তাদেরই
বেশি সফল হতে দেখা যায়।

সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ’দ্যা
ওয়াশিংটন পোস্ট’ পত্রিকায়
প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে
ধরা হয়েছে। এতে শিকাগোর
মনোবিজ্ঞানী জুলিয়ানা
মার্গোরস ও অ্যালিসিয়া
ক্যালিন্ডার এক গবেষণা তুলে ধরে হয়।
গবেষণায় তারা লাইফপার্টনার
হিসেবে ‘পাগলাটে’ নারীদের
সাফল্যের ৭টি কারণ ব্যাখ্যা
করেছেন।

১::নিখাদ মানসিকতা: তারা যেমন,

তেমনটাই সকলের সামনে থাকেন।
কোনো ভেক ধরেন না। আপনি একবার
দেখেই বুঝবেন এর দোষ-গুণ কী কী
রয়েছে। এরা নিজেদের দোষ ঢাকতে
মিথ্যার আশ্রয় নেন না। মানুষ
হিসাবেও খুব সৎ হন।

২::অসাধারণ প্রেমিকা: আদর্শ
প্রেমিকা বলতে যা বোঝায় এরা
তাই। ভালোবাসার জন্য আলাদা
কোনো দিনের প্রয়োজন হয় না। ইনি
সঙ্গে থাকলে যেকোনো দিন
ভ্যালেন্টাইন্স ডে বলে মনে হতে
পারে। বিয়ের পরে অনেকের
ক্ষেত্রেই প্রেম-জীবন পানসে মনে হয়।
কিন্তু এদের ক্ষেত্রে কথাটি
একেবারে খাটে না।

৩::সৃজনশীল: আসলে সৃজনশীল মস্তিষ্কের
জন্যই এরা আর পাঁচজনের থেকে
আলাদা হন। জীবনে, মননে এরা খুব
সৃজনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। আউট অফ
দ্য বক্স ভাবতে এদের জুড়ি মেলা ভার।

৪::ন্যাকামি পছন্দ নয়: ট্রেকিংয়ে
হোক বা ঘরোয়া পার্টি, এরা মহিলা
হিসাবে কখনো আলাদা সুবিধা
দাবি করেন না। যেখানে যেমন,
সেখানে তেমন ভাবেই থাকতে পছন্দ
করেন। তাই ঘুরতে বেরিয়ে বা ট্যুরে
গিয়ে কখনো এদের নিয়ে সমস্যায়
পড়বেন না।

৫::আগলে রাখার ক্ষমতা::এদের
সামনে যদি স্বামী বা কোনো
প্রিয়জনকে কেউ অপমান করেন, তবে
আর রক্ষা নেই। যতক্ষণ না
অপমানকারীকে মাথা নত করাচ্ছেন,
ততক্ষণ ক্ষান্ত হন না। বিধিবদ্ধ
সতর্কীকরণ::যদি স্বামী হিসাবে
আপনিও কখনো তাকে অপমান করার

চেষ্টা করেন, তবে আপনারো একই
অবস্থা হবে কিন্তু।

৬. প্রাণশক্তি::এরা যাকে বলে হাই অন
অক্টেন এবং মোটিভেটেড থাকেন।
শুধু নিজেরাই নন, এদের সঙ্গে যারা
থাকেন, তারাও সান্নিধ্যের গুণে
অনুপ্রাণিত হয়ে উঠবেন। পাহাড় চড়া
থেকে নতুন ব্যবসা শুরু করা, তসবেতেই
এরা কখনো পাশ থেকে সরে যাবেন
না।

৭. অদম্য মনের জোর::এদের মনের জোর
এতটাই বেশি হয়, যে এরা হার মানতে
জানেন না। অনেকেই যে
পরিস্থিতিতে হাঁপিয়ে উঠবেন বা
নিয়তির ওপর নিজেকে সঁপে দেবেন,
এঁরা সে পরিস্থিতিতে লড়াই
চালিয়ে যাবেন। যতক্ষণ না জিতে
যাচ্ছেন।

নিঃসন্দেহে বলা যায়, এ রকম জীবন
সঙ্গিনী সহজে খুঁজে পাবেন না। বা
পেলেও প্রথমেই যে বিয়ের জন্য
রাজি হয়ে যাবেন তাও নয়। তবে যদি
কখনো খুঁজে পান, আঁকড়ে ধরবেন।
আপনার থেকে লাকি আর কেউ হবেন
না।
সুত্র:লাইফস্টাইল