আসছে গ্রীষ্মকাল আর বাড়বে গরম আর তার সাথে
ঘামাচি! খুব ব্রিবতকর অবস্থা! ঘামাচি একটি ঘর্মগ্রন্থি
সৃষ্ট রোগ। এটি সাধারণত গরম বাড়ার সাথে সাথে বেশি
দেখা দেয়। যাদের ঘামাচির সমস্যা আছে তারা ভালো
করেই জানেন এর কষ্ট। সাধারণত সবারই ঘামাচির সমস্যা
দেখা দেয়। এটি মূলত অপরিস্কার থাকার কারণেই হয়। কাজ
করতে করতে আমরা যখন ঘেমে যাই তখন দেহ ময়লা বেশী
ধরে এবং সেই ময়লা এবং ঘাম শুকিয়ে ঘর্মগ্রন্থির মুখ বন্ধ
হয়ে যায়, ফলে ঘামাচির সৃষ্টি হয়। আর তাই আজকের
সম্পূর্ণায় আমরা আলোচনা করবো ঘামাচি থেকে কি ভাবে
বেঁচে থাকা যায়, আর হলেই বা কি করে কমানো যায়।
চন্দন বাটা ও গোলাপ জল মিশিয়ে পাতলা পেষ্ট তৈরী
করে যে সকল স্থানে ঘামাচি উঠে সে সমস্ত স্থানে
লাগালে ঘামাচি কম হয়।
যাদের ঘামাচির সমস্যা আছে তারা তেল ব্যবহার থেকে
বিরত থাকুন।
গোসল করবার ১ঘন্টা আগে এক চা চামচ খাবার সোডা ও এক
কাপ গোলাপ জল পানিতে গুলে গায়ে লাগিয়ে তারপর
ট্যালকম পাউডার গায়ে মাখতে পারেন।
এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর জেল ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে
লাগালে ঘামাচির আক্রমণ কম হয়, কেননা এটি শরীরকে
ঠান্ডা করে।
পানিতে ভুট্টার আটা মিশিয়ে পাতলা পেষ্ট তৈরী করে
ঘামাচি আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে
ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতেও ঘামাচি কমবে।
প্রচুর পরিমানে পানি খেতে হবে।
গরমে-ঘামাচি-হতে-মুক্তি-পাওয়ার-উপায়-
প্রতিবার গোসলের পর অন্তর্বাস পাল্টে নিতে হবে।
টাইট ফিটিং কাপড় পরিধান না করে গরমে যতটা সম্ভব
ঢিলাঢালা আরামদায়ক পোশাক পরিধান করুন।
গোসল করবার আগে ফিটকিরি পানিতে গুলি নিয়ে গায়ে
লাগালেও ঘামাচি দূর হয়।
প্রতিদিন একাধিক বার গোসল করুন।
রাত্রে ঘুমাবার সময় ঘরে পর্যাপ্ত পরিমানে বাতাস
চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন, জানালা দরজা একদম বন্ধ করে
ঘুমাবেন না। সম্ভব হলে দু-এক রাত শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত
ঘরে কাটান।
তেজপাতা সারারাত গোলাপ জলে ভিজিয়ে রেখে সেই
পানি দিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগালে ঘামাচির প্রবণতা
ঘামাচি প্রতিরোধে লাউ বেশ উপকারী একটি তরকারী।
ঘামাচির যন্ত্রণা কমাতে লাউ আগুনে ঝলসে নিয়ে রস করে
খেলে কাজ হয়।
গোসলের পর গা-হাত-পা ঘসে ঘসে মুছবেন না, এতে করে
ঘামাচির যন্ত্রণা যেমন বাড়বে, তেমনি ঘামাচিও বাড়বে।
যদি মুখে ঘামাচির সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে কচি লাউ
তুলসি পাতা ও আতপ চালের গুড়ো এক সঙ্গে বেটে পেষ্ট
তৈরী করে মুখে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
ভাল ভাল টিপস পেতে আমার সাইটে ঘুরে আসবেন PostMela.Com