নিম্নে এই গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো উল্লেখসহ ব্যাখ্যা করা হলোঃ-
১. উইন্ডো এসিঃ-
নিজ ঘরে একটি সুন্দর জানালা থাকলে বসাতে পারেন একটি উইন্ডো এসি। উইন্ডো এসি-এর মূলত কাজ হচ্ছে ভেতরের গরম হাওয়া বাইরে বের করে দেয়া। ঠিক অন্যদিকে বাইরের ঠাণ্ডা হাওয়া ঘরের ভেতরে নিয়ে আসতে সাহায্য করা। তবে যদি একটা মাত্র ঘরের জন্য এসি চান তাহলে উইন্ডো এয়ার কন্ডিশনার সঠিক অপশন। টাকা পয়সার সাশ্রয় হবে। আবার ঘরের কুলিং সিস্টেমও অক্ষুণ্ণ থাকবে।
২. পোর্টেবল এসি:-
যদি পোর্টেবল এসি কেনার প্রতি আগ্রহী হোন তাহলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল হোসটি দেখে কেনা উচিত। কারণ এক্ষেত্রে ডুয়েল হোসের এসির চেয়ে সিঙ্গেল হোসের এসি ঘর ঠাণ্ডা রাখে বেশি। যদি বসার ঘর বাড়ির অন্যান্য ঘরের চেয়ে বড়ো হয় এক্ষেত্রে ঘরের আয়তন তুলনামূলকভাবে অনেকটাই বড়ো হয়ে থাকে এসব ক্ষেত্রে স্প্লিট এসি বা ডাক্টলেস এসি ব্যবহার করাটাই বেশী শ্রেয়।
৩. আধুনিক এসিকে প্রাধান্য দেয়াঃ-
বর্তামানে চিরাচরিত এয়ার কন্ডিশনারকে পেছনে ফেলে বাজারে আসছে অনেক স্মার্ট অপশন সম্বলিত সব অত্যাধুনিক এসি। এর ফলে পাওয়া যাবে অনেক অত্যাধুনিক সব অপশন। ফলে নানা ভালো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন দ্বারা নিয়ন্ত্রন করা যাবে এসির নানা অপশন। তবে এক্ষেত্রে কেবল ওয়াইফাই কানেকশনটি থাকতে হবে। অপশনটি অপারেট করার জয় কেবল নিজ স্মার্টফোনে একটি অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে হবে। সেই অ্যাপ চালু থাকলে আপনার এসি আপনা থেকেই বুঝে যাবে কখন আপনি ঘরে আছেন, কখনই বা নেই। সেই মতোই হবে ঘর ঠাণ্ডা রাখার ব্যবস্থা।
৪. এসির দরদাম সম্পর্কে পূর্বধারণা থাকাঃ-
নিজ পছন্দের এসির দরদাম সম্পর্কে পূর্বধারনা থাকলে অনেক সুবিধা হয়ে থাকে। পূর্বধারনার ফলে বাজেটের চেয়ে অনেক বেশি খরচ হওয়ার অনেকাংশ কমে যায়। অন্যদিকে এসি ক্রয় করার পূর্বেই অনেক ভালো করে নিজের ঘরের আয়তন সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। ঘরের আয়তন অনুযায়ি এসির সেটাপ করলে ঘর অনেকাংশ ঠান্ডা থাকে।
৫. কেমন বাজেট হওয়া উচিত-
নিজ পছন্দের ব্র্যান্ডের এসি ক্রয় করলে অনেকাংশ লাভবান হওয়া যায়। কোন ব্র্যান্ডের এসি কিনছেন, তার উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে এসির দাম। দেড় টনের উইন্ডো এসি ক্রয়ের জন্য সর্বনিম্ন বাজেট হওয়া উচিত ৩৫ হাজার টাকার মতো৷ অন্যদিকে এক টনের উইন্ডো এসির জন্য ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ পড়বে। অন্যদিক স্প্লিট এসির দাম তুলনামূলক ভাবে অন্যান্যগুলোর চেয়ে একটু বেশি। ঘর যদি সত্যিই বড়ো হয় তাহলে অন্তত: দেড় টনের এয়ার কন্ডিশনার না কিনলে তেমন লাভ হবে না। দেড় টনের স্প্লিট এসির জন্য বাজেট রাখুন ৪৫ হাজার টাকা।তবে ৩৫ হাজারেও দেড় টনের এসি পাবেন। ১ টন পোর্টেবল এয়ার কন্ডিশনারের দাম পড়বে ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকার মতো। ওয়াইফাই এনাবেলড এসির দাম স্বাভাবিক ভাবেই একটু বেশি। এক টনের ওয়াইফাই এনাবেলড এসির দাম পড়ে যাবে চল্লিশ হাজার টাকার কিছু বেশি।
৬. ছোট ঘরের জন্য কেমন এসি প্রয়োজনঃ-
মিনি কুলার ছোট ঘরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য যথেষ্ট বলা চলে। এক্ষেত্রে বাজেট রাখুন তিন হাজার টাকার মতো। অন্যদিকে যেই এয়ার কন্ডিশনার বা এয়ার কুলারই ক্রয় করুন না কেন, অবশ্যই ভালো করে দেখে নিন যে এয়ার কুলারটি সক্ষমতা কেমন বিদ্যুতের সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে।
উপরিউক্ত পয়েন্টগুলো যেকোন সময় এসি ক্রয়ের ক্ষেত্রে মনে রাখলে আশা করা যায় নিজ পছন্দের এসিটি পেয়ে যাবেন।
লেখাটি ভালো লাগলে এবং Air Conditioner সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে আমাদের সাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন!