চৈত্রের শেষের
দিকে রাজধানী ঢাকাসহ
সারাদেশে তাপপ্রবাহ বইছে।
চারদিক খাঁ খাঁ করছে। প্রচণ্ড গরমে
মানুষ হাঁসফাঁস করছে। এ সময় কর্মব্যস্ত
অসচেতন মানুষেরা নিজেকে শীতল
করার জন্য রাস্তার ধরে বরফ দিয়ে
তৈরি নানা রকম পানীয় পান করে
থাকেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই
উপকারী নয়।
প্রচণ্ড এ গরমে সারাদিনের খাটুনির
পর বাসায় ফিরে কে না চাই একটু
শীতল পানীয় বা শরবত। তবে সেটা
অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত হওয়া উচিত। তাই
বাসায় ফিরে নিজেই তৈরি করে
নিতে পারেন এসব শরবত।
এখন দেখে নেওয়া যাক এই গরমে
অবশ্যই যেসব শরবত খাবেন—
কাঁচা আমের শরবত
কাঁচা আম ভিটামিন ‘সি’-তে
পরিপূর্ণ। এই গরমে কাঁচা আমের শরবত
শরীরের জন্য খুবই ভালো। জিরা ও আম
পোড়া দিয়ে শরবত খেতে দারুণ
সুস্বাদু।
লেবুর শরবত
শরীর ভালো রাখতে লেবু পানি
অবশ্যই পান করা উচিত। গরমে
ফিরে এক গ্লাস লেবু শরবত খেয়ে
নিন। দেখবেন নিমিষেই চাঙ্গা
হয়ে গেছেন। কারণ এর মধ্যে রয়েছে
ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম,
পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম।
তরমুজের শরবত
তরমুজের রস শরীর ঠাণ্ডা রাখে।
পাশাপাশি এনার্জি বাড়ায় আবার
ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
ডাবের পানি
গরমে ডাবের পানি শরীর যেমন
ঠাণ্ডা রাখে, তেমনই শরীরে
শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে এনার্জিও
জোগায়।
ম্যাঙ্গো শেক
গরমে আম উপভোগ করুন। শেক বানিয়ে
খেলে স্বাদ যেমন বাড়বে, তেমনই
পুষ্টিগুণও বাড়বে। ঠাণ্ডা ম্যাঙ্গো
শেক দারুণ খেতে।
দইয়ের শরবত
দইয়ের সঙ্গে আদা, জিরা, পুদিনা
মিশিয়ে শরবত তৈরি করে পান করুন।
প্রতিদিন পান করা এটি শরীরের জন্য
ভালো।
বেলের শরবত
গরমে পেট পরিষ্কার রাখতে বেলের
শরবত খুবই উপকারী।
আখের রস
পটাশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট,
ক্যালশিয়াম, গ্লুকোজ ও
ম্যাগনেশিয়াম হিট স্ট্রোক থেকে
আইসড টি
এই সময় দুধ চা না খেয়ে আইসড টি
খান। শরীর ঠাণ্ডা রাখতে যেমন
সাহায্য করে, তেমনি হজমে সাহায্য
করে।
কোল্ড কফি
গরম চা, কফির বদলে এই সময় কোল্ড
কফি খান। এতে শরীর ঠাণ্ডা
থাকবে, পেটও ভরা থাকে।
ঠাণ্ডা দুধ
গরমে অ্যাসিডিটি হওয়ার সম্ভাবনা
খুব বেশি থাকে। এ কারণে সবচেয়ে
ভালো গরম দুধ না খেয়ে ঠাণ্ডা
খাওয়া। এটি প্রকৃতিক ওষুধের মতো
কাজ করে।
পানি
গরমে পানিকে কখনোই অবহেলা
করবেন না। এই সময় ডিহাইড্রেশন
কাটাতে দিনে অন্তত ৩ লিটার
পানি খান।