মোবাইল চার্জে দিয়ে মোবাইল খুঁজতে
থাকার
ঘটনা কি আপনার সঙ্গে ঘটেছে কখনো?
বা
মাথার ওপর চশমা রেখে আপনি কি সারা
ঘরে চশমা
খোঁজেন? এমন করে আপনি কি প্রায়ই কিছু
না কিছু
ভুলে যান?
স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে পড়লেই এমন সমস্যায়
পড়তে হয় আমাদের। বিভিন্ন কারণে
আমাদের
স্মৃতিশক্তি প্রভাবিত হয়, স্মৃতিশক্তি কমে
যায়;
আমরা ভুলে যাই। ঘুমের অসুবিধা, মানসিক
চাপ,
বিষণ্ণতা, অপুষ্টি, থাইরয়েড হরমোন
নিঃসরণে
সমস্যা, ধূমপান, মদ্যপান এসব কারণে
স্মৃতিশক্তি
কমে যায়। এ ছাড়া প্রবীণ বয়সে স্মৃতিভ্রম
রোগেও এ ধরনের সমস্যা হয়। বেশি সমস্যা
হলে চিকিৎসা তো নিতে হবেই, তবে
আগে কিছু ‘ঘরোয়া ওষুধ’ খেয়ে দেখতে
পারেন। পরামর্শটি দিয়েছে
স্বাস্থ্যবিষয়ক
ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. কাঠবাদাম : কাঠবাদাম একটি চমৎকার
আয়ুর্বেদিক
উপাদান। এটি স্মৃতিশক্তি ও মস্তিষ্কের
শক্তি
বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি
এসিড। এর
মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের
জন্যও
ভালো।
যা করতে হবে – ৫ থেকে ১০টি
কাঠবাদাম সারা রাত
ভিজিয়ে রাখুন।
– পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে
নিন এবং
একে গুঁড়া করুন।
– এক গ্লাস দুধের মধ্যে এই গুঁড়া মিশিয়ে
ফুটান।
– স্বাদ বাড়ানোর জন্য সামান্য চিনি
বা মধু মেশাতে
পারেন।
– ৩০ থেকে ৪০ দিন এটি প্রতিদিন খান।
স্নায়ুকে শিথিল করে
এবং স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। গবেষণায় বলা
হয়, কেবল
দারুচিনি একটু নাকের কাছে নিয়ে
শুঁকলেও
স্মৃতিশক্তি ভালো হয়, এতে মস্তিষ্কের
কার্যক্রম বাড়ে।
অনেকে এও বলেন, ঘুমের আগে মধু
খেলে মানসিক চাপ কমে; ঘুমেও সাহায্য
হয়। এটি
স্মৃতি একত্রীকরণে ভূমিকা রাখে।
যা করতে হবে – এক চা চামচ কাঁচা মধুর
মধ্যে এক
চিমটি দারুচিনি মেশান।
– কয়েক মাস ধরে প্রতি রাতে এটি খান।