বাঁকা চাঁদের মতো একটু অংশ। কালো ছোপ পড়ে গেলে চাঁদের গায়ের দাগগুলোর মতোই অসুন্দর লাগে। পুরো চেহারার মধ্যে এই অংশটি খুবই পাতলা। ধাঁধার মতো লাগছে কি? বলছিলাম চোখের নিচের অংশটুকুর কথা। চোখের নিচে কালোছোপ পড়ে গেলে চেহারায় একটা ক্লান্তির ভাবও চলে আসে। মুখের দিকে তাকালে সবার আগে কিন্তু চোখজোড়াই নজরে আসে, সঙ্গে এই কালচে ভাবটাও। কী করলে চোখের নিচের কালো ছোপটুকু কমানো যাবে।চোখের নিচে কালি পড়ার কারণ অনেক। রূপবিশেষজ্ঞেরা জানালেন, কম ঘুমানো কিংবা রাতে না ঘুমানো চোখের নিচে কালি পড়ার প্রধান একটি কারণ। তবে অনেকের বেলায় এটা বংশগত কারণেও হয়ে থাকে। চোখের এক কোনা থেকে আরেক কোনা পর্যন্ত জায়গাটি কিন্তু খুব স্পর্শকাতর। এমনটাই মনে করেনআফরোজা পারভীন। তিনি বলেন, ‘চোখের নিচের অংশে কালো ছোপ না থাকলে চেহারায় একটা সতেজ ভাব থাকে। এটা পাতলা হওয়ায় কালো ছোপটাও তাড়াতাড়ি পড়ে যায়। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে কিংবা শরীর খারাপ হলেও কালো হয়ে যায়। দেবে ভেতরে ঢুকে যায়।’প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শসা ও আলুর রসে তো উপকার পাওয়াই যায়—এ ছাড়া মাটির পাত্রে গম ভিজিয়ে রেখে দিন ৫ থেকে ১০ দিন। পাত্রটি রাখতে হবে কোনো স্যাঁতসেঁতে জায়গায়। গম থেকে চারা বের হওয়ার পর ওটা ভেঙে, ব্লেন্ড করে শসা বা আলুর রসের সঙ্গে মিলিয়ে চোখের নিচের অংশে লাগান। উপকার পাওয়া যাবে।রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নীর মতে, রোদে রোদচশমা না পরে যাওয়া কিংবা শারীরিক কোনো সমস্যা থেকেও এটা হতে পারে। তাঁর পরামর্শ—
* দিনের শেষে চোখের মেকআপ অবশ্যই তুলে ফেলুন।
* কমবেশি কাজল লাগান অনেকেই। কাজল প্রতিদিনই পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এটা থেকে কালো ছোপ পড়ে যায়।
* শারীরিক চাপ থেকে অথবা বেশি চিন্তাতেও কিন্তু চোখের নিচটা কালো হয়ে যায়।
* পানি বেশি আছে এমন আইজেল ব্যবহার করা উচিত। এটি ভালো ব্র্যান্ডের হতে হবে।
* ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা প্রয়োজনপ্রতিদিন।আয়ুর্বেদ রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা সহজ ঘরোয়া পদ্ধতির কথা জানালেন। গোলাপ ফুলের পাপড়ি দুধ ও মধুর সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করুন। এ ছাড়া টমেটোর সঙ্গেও দুধ আর মধু মাখিয়ে দিতে পারেন। খেয়াল রাখবেন যেন চোখের ভেতরে চলে না যায়।রূপচর্চার বাইরেও মেকআপ দিয়ে কিছুটা ঢাকতে পারবেন। ত্বকের যে রং তার থেকে এক টোন গাঢ় কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন চোখের নিচেরঅংশটায়। আট ঘণ্টা ঘুমান। ভাজাপোড়া বেশি না খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞরা জানান, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে ত্বকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অনেক দেরিতে। এ ছাড়া নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার ও এর যত্ন তো নিতেই হবে।
ফেসবুকে আমার পেজ সবাই ভালো থাকবেন এবং ট্রিকবিডির সাথেই থাকবেন।
ধন্যবাদ।