ব্রণ এমন একটি সম্যসা যা ছেলে/
মেয়ে, ছোট/বড় সবার হয়ে থাকে।
তৈলাক্ত, শুষ্ক ,স্বাভাবিক সব ধরণের
ত্বকেই ব্রণের সমস্যা হতে দেখা
যায়। আর একবার ব্রণ হলে সেই ব্রণ
সহজে সারতে চায় না।
কখনও কখনও এই ব্রণ সম্পূর্ণ নিরাময় হতে
প্রায় এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
কিন্তু কিছু উপায় আছে যা দ্বারা খুব
সহজে ব্রণ দূর করা যায়। আসুন তাহলে
জেনে নেয়া যাক রাতারাতি ব্রণ
দূর করার সহজ কিছু উপায়।
১। দারুচিনি এবং মধুর পেষ্ট
দারুচিনি এবং মধুতে প্রাকৃতিক
অ্যান্টিমাক্রোবিয়াল উপাদান
আছে। এই দুটি মিলে ব্রণের জীবাণু
ধ্বংস করে দেয়। ১ চা চামচ
দারুচিনি পাউডার এবং ২ টেবিল
চামচ মধু মিশিয়ে পেষ্ট করে নিন।
এবার এটি ব্রণের ওপর লাগান।
শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ব্রণ
অনেকটা শুকিয়ে বা ছোট হয়ে
আসছে।
২। ডিমের সাদা অংশ
ব্রণ দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায় হল
ডিমের সাদা অংশের ব্যবহার।
ডিমের সাদা অংশে ভিটামিন
ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ৩টি
ডিমের সাদা অংশ নিন। এবার খুব
ভাল করে ফাটুন। তারপর সাদা
অংশটুকু ব্রণে লাগান।
শুকিয়ে আবার লাগান। এভাবে ৪
বার ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করুন।
২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ
ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে
নিন।
> জিপি ফ্রী নেট <<
৩। নিম
নিমের তেল এবং নিম পাউডারে
অ্যান্টিব্যাক্টিরিয়াল উপাদান
আছে। প্রথমে কুসুম গরম পানি দিয়ে
মুখ ধুয়ে ফেলুন। এক টুকরো তুলোর বল
নিমের তেলের মধ্যে ভিজিয়ে
নিন। এবার এটি ব্রণের ওপর ব্যবহার
করুন।
নিমের তেলের সাথে নিমের
পাউডার দিয়ে পেষ্ট তৈরি করে
নিতে পারেন। এটি সারা রাত
মুখে লাগিয়ে রাখুন। সকালে
ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৪। পেঁপের পেষ্ট
পেঁপে ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং
মুখের অতিরিক্ত চর্বি কমিয়ে
থাকে। এক টুকরো পেঁপে নিয়ে
বীচি ফেলে পেষ্ট করে নিন। এই
পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এতে
করে আপনার মুখের ছিদ্রগুলো খুলে
যাবে।এবার পেঁপের পেষ্ট ব্রণে
লাগিয়ে ফেলুন। শুকানোর পর কুসুম
গরম পানি দিয়ে মুখ ধয়ে ফেলুন।
৫। স্ট্রবেরি ও মধুর পেষ্ট
স্ট্রবেরিতে স্যালিসিলিক এসিড
আছে। এটি ত্বকের ব্রণ দূর করার
পাশাপাশি ত্বকের ইনফেকশনও দূর
করে থাকে। ৩টি স্ট্রবেরি পেষ্ট
এবং দুই চাচামচ মধু দিয়ে প্যাক
তৈরি করে নিন। মুখ কুসুম গরম পানি
দিয়ে ধুয়ে নিন। এবার স্ট্রবেরি ও
মধুর প্যাক লাগান। ৩০ মিনিট পর মুখ
ধুয়ে ফেলুন।