১. আপনি কি ভাই খুব ফিটফাট/
গোছালো? প্রথমেই মাইনাছ!
কিছুটা অগোছালো, এলোমেলো
ছেলেই নাকি সুন্দরী মেয়েদের
বেশি পছন্দ! তবে সাবধান! উদ্ধত্যপূর্ণ
কিংবা ছেঁড়া-ফাঁড়া পোশাক বাদ
দিন। ভালো পারফিউম ব্যবহার করুন।
২. মেয়ে ভাবলেশহীন ভাবে
তাকিয়ে আছে? আপনি উদাসী হউন।
নিজের ব্যাপার গুলো ভুলে যান
বেশী করে। জ্ঞান ফলান। তবে হ্যাঁ,
আঁতলামি কইরেন না আবার!
৩. মেয়ে নরম হচ্ছে না? তাকে দাম
দিন। প্রশংসা করুন- তবে মেপে
মেপে। শরীর নিয়ে ভুলেও প্রশংসা
করবেন না। করলে বিপুল মাইনাছ!!
তার কাজকে গুরুত্ব দিন। কোন গুণ
থাকলে তার প্রশংসা করুন। পোষা
প্রাণী থাকলে ওটারও প্রশংসা করুন
(আপনার পছন্দ না হলেও!)
৪. মেয়ে বেশি ভাব-গম্ভীর? ঘন ঘন
তাকান। বাছাই করা জোক্স দিয়ে
রসিকতা করুন। হাসুন– হাসতে দিন।
হাসি মুখ যে কাউকে আকর্ষণ করে।
৫. কাজ হচ্ছে না? দৃষ্টি আকর্ষণ করতে
পারছেন না?? কথার ফাঁকে আপনার
তাকালে জিভ্ দিয়ে ঠোঁট চাটুন
(বেশী করা যাবে না।) পশমী বুক
থাকলে জামার দু’একটা বোতাম
খুলে দিন। ভদ্র ভাবে……… নরম হবেই!!
৬. মেয়ে অতিরিক্ত কঠিন?
একেবারেই কাজ হচ্ছে না?? উলটো
পথে হাঁটুন। জানেন তো, মাইনাছে
মাইনাছে পিলাচ! এইবার দাম
কিছুটা কম দেন। অন্য কারো সাথে
ক্ষীর খান(মেয়ে হইলে ভালো)!!
হঠাৎ দাম কমে গেলে সে কিছুটা
জ্বলবেই। জ্বলে পুড়ে অঙ্গার হতে
দিন। পড়ে আগুন নিভে গেলে
বুঝবে……… আপনি ছাড়া গতি নাই!!
এগুলোতে কোন কাজই হলো না?????
ভয় পাবেন না। ভাত হাত দিয়ে
খাওয়া যায়, আবার চামুচ দিয়াও
খাওয়া যায়! অর্থাৎ ঘুরপথে আন্টির
কাছে যান। মনে রাখবেন, পরিবারও
অনেক সময় পছন্দে প্রভাব ফেলে।
৭. আন্টিকে কদমবুচি করেন। শরীর-
স্বাস্থ্যের খবর নেন। পারিবারিক
বিষয় নিয়ে আলাপ করেন। তবে
সাবধান!! এতক্ষণ মেয়ের সাথে যা
যা করছেন……… আন্টির সাথে আবার
রিপিট মাইরেন না! তাইলে আমার
লেখা পুরাই ব্যর্থ!!
মা মেয়ের চেয়ে আরো বেশী
কঠিন??
কিন্তু মেয়েটা যে বেশী জটিল!! এর
তাইলে আর কি? শেষ ভরষা………
তাহার পিতা!
৮. এইবার ভুলেও উদাসী পাট লইয়েন
না। ফিটফাট হয়া যান। কদমবুচি
রিপিট লন। শরীরের খবরও লন। এরপর
ইঞ্জিন স্টার্ট দেওয়ার মত পিতার
পছন্দের কোন বিষয়ে কথার আরম্ভ
কইরা দেন। সামনে নাশতা আসছে?
খাওয়ার কথা ভুলে যান! খালি
উৎসাহী বদনে শুনে যান। গাম্ভীর্য
বজায় রাখুন। পরবর্তীতে ঘরে আপনার
প্রশংসা হবেই। এতে যদি মেয়ে
কিছুটা গলে!!!!
পরিশেষঃ
” যদি দেখেন টিপ্স গুলাতে কোন
কাজ-ই হয় না
বুঝিবেন এই মেয়ে আপনার সাথে
যায় না !!