সকালে বেড়িয়েছেন অফিসে
যাবেন বলে। হঠাৎ কোন দুঃসংবাদ
এল। অথবা অফিসে পৌঁছে দেখলেন, বস
আজই মিটিং ডেকেছেন। এতদিনকার
জমানো সব কাজের রিপোর্ট নেবেন,
কোন সুযোগ নেই একটু গোছানোর।
মাসের শেষে হাতে টাকা নেই, এমন
সময়ে পড়ল বন্ধুর বিয়ের তারিখ। অথবা
কাউকে দাওয়াত করেছেন দুপুরে
আপনার সাথে খেতে, সে সঙ্গে
নিয়ে এল আরও দুজন বন্ধু! কী করবেন এমন
পরিস্থিতিতে?
অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতে আমরা প্রায়ই
মাথা ঠান্ডা রাখতে পারি না।
নিজেদের মনের জোড় হারিয়ে
ফেলি। ভেবে পাই না কী করব! যতটা
সহজে ঘটনা সামাল দেওয়া যেত
আমাদের দুশ্চিন্তার কারণে সেটাও
সম্ভব হয় না।
★ মনোবিজ্ঞানী Jennice Vilhauer, Ph.D.
দিয়েছেন এবিষয়ে চমৎকার ৪টি
সমাধান। আসুন, জেনে নিই সেগুলো….
প্রতিক্রিয়া প্রকাশের আগে একটু
থামুন
আপনি কী বলবেন বা কী করবেন বুঝে
দিন ভাববার। আপনার প্রতিক্রিয়ার
উপর নির্ভর করে আপনার ভাব মূর্তি।
তাই সাথে সাথে কিছু করে বসবেন
না। আমরা যখন কিংকর্তব্যবিমূঢ়
অবস্থায় থাকি তখন অসচেতন ভাবে এমন
অনেক কাজ করে ফেলি যা সচেতন
মনে করতাম না কখনোই। নিজেকে সময়
দিন। আগে ধাতস্থ হন। কী করবেন ভাবুন।
তারপরই কেবল করুন।
অপ্রত্যাশিত হলেও এর ভাল দিক
থাকতে পারে
আপনি আশা করেন নি বলেই যে
ঘটনাটি খারাপ, তা নাও হতে পারে।
হয়ত আপাতদৃষ্টিতে আপনি এর ভাল
কোন দিক দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু
আসলে মোটেই খারাপ নয় ঘটনাটি।
কোন কোন ঘটনার ফল আমরা সাথে
সাথে পাই না। সময় আমাদের সেই
সুফলের সাথে সাক্ষাত করায় তার মন-
মর্জি মত। তাই চেষ্টা করুন ইতিবাচক
চোখে দেখার। আপনাকে শান্ত করতে
এটি খুব কাজে দেবে।
শেষ যেন ভাল হয় সে চেষ্টা করুন
যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে।
চেষ্টা করুন যেন বাকিটা ভাল হয়।
আক্ষেপ আমাদের কখনো ইতিবাচক
কিছু দেয় না। বরং স্ট্রেস বাড়ায়,
হতাশা বাড়ায়। তাই চেষ্টা করুন যেন
আনতে পারেন। নতুন ঘটনাটিকে মেনে
নিন এবং উপভোগ করুন। সবকিছুই আপনার
হাতে। শুধু সুইচ অন করা বাকি।
নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন
কখনো ভাববেন না, এখন তো আপনার
কিছুই করার নেই। সবসময়ই কিছু না কিছু
করার আছে আপনার এবং আপনি
পারবেন সেটা। আমরা সব মানুষই
পরিস্থিতিকে মোকাবেলা করার
ক্ষমতা রাখি। প্রয়োজন শুধু ধৈর্য্য, বুদ্ধি
আর আত্মবিশ্বাসের। তাই হতাশ হবেন
না। আপনার চেয়ে ভাল আর কেউ
পারবে না সিদ্ধান্ত নিতে। মাথা
ঠান্ডা করুন, নিজের সঠিক
সিদ্ধান্তগুলোর কথা মনে করুন,
আত্মবিশ্বাসী হন।