Site icon Trickbd.com

ভালোবাসার মানুষটি আপনাকে প্রত্যাখ্যান করলে কী করবেন? জেনে নিন?

Unnamed

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এক ক্যাম্পেইনে গিয়েছিলেন রাধা, বয়স ২৩। সেখানেই পরিচয় অভিষেকের সঙ্গে। তারা ভরা আকাশের নিচে এক-দুই রাত কাটানোর পরই রাধা বুঝতে পারেন, অভিষেকই তার স্বপ্নের পুরুষ।বিষয়টি খুলেও বললেন। কিন্তু অভিষেক যখন জানালেন, এখনই কোনো সম্পর্কের জন্যে
তিনি প্রস্তুত নন। তখনই আঘাতটা পেলেন রাধা। সারা রাত চোখের পানি ফেলে ভাবলেন, আমি যদি আরেকটু সুন্দর ও যোগ্য হতাম তবে অভিষেক না বলতে পারতো না। অনেকেই জীবনে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন নানাভাবে। সম্পর্ক গড়তে প্রত্যাখ্যাত
হওয়া ব্যর্থতা নয়। এটা গোটা ভবিষ্যৎকে বদলে দিতে পারে না। এ ক্ষেত্রে শিশুরা অনুপ্রেরণাদায়ক হতে পারে। শৈশবে তারা
বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যাত হয়। অন্য শিশুদের মাধ্যমে অপমানিত হয়ে নিজেদের. মূল্যহীন মনে করে। কিন্তু তারা ঠিকই বেড়ে
ওঠে মানুষ হয়ে। এ ধরনের পরিস্থিতিকে করণীয় প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছে ভারতের মনোবিজ্ঞানী ও মনোচিকিৎসক ড. কাশিশ
এ. চাব্রিয়া। ১. একে মনে পুষবেন না : হয়ত ভাবেননি
এমনটা হবে। এটা আকস্মিক আঘাত দেয়। এক্ষেত্রে নিজের আবেগ বুঝে উঠুন। প্রথমেই মনে আনতে হবে যে, এ ঘটনা মনে পুষে রাখলে চলবে না। এতে নেতিবাচক শক্তির আবির্ভাব
ঘটে। যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
নিজেকে বোঝাতে হবে যে, এটা কোনো
গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নয়। একান্ত ব্যক্তিগভাবে
একে গ্রহণ করা যাবে না। প্রত্যাখ্যাত হওয়া
বা ব্যর্থতার অনুভূতি ইতিবাচক বিষয়ের
অবসান ঘটায়। কিছু দিন গেলেই অন্ধকার
কেটে যাবে। আর আলোর দিশা পেতেই
সামনে এগোতে হবে।
২. একমাত্র চাবিকাঠি সমবেদনা : পুনের
হেয়ারস্টাইলিস্ট সাইয়ালি দিক্ষীত তার
ওজন নিয়ে দারুণ লজ্জাবোধ করতেন।
বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তেমন
সফল হতে পারেননি। এ সময়
আত্মসমালোচনা পীড়াদায়ক হয়ে ওঠে।
মনোবিজ্ঞানী গাই উইঞ্চ জানান, নিজের
প্রতি ঘৃণা বড় শত্রু হয়ে ওঠে। আত্মবিশ্বাস

কমে যায়। এটাই ক্ষতিগ্রস্ত করে আপনাকে।
মনে রাখবেন, আপনার মূল্য এতটুকুও কমেনি।
একজনের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। কিন্তু
অসংখ্য মানুষের কাছে আপনি অতি
প্রিয়জন। এ সময় নিজের গুণের দিকে নজর
দিন। এদের খুঁজে বের করুন। নিজের প্রতি
ধারণা বদলে যাবে।
৩. লিখুন, থেরপির কাজ করবে : ৩০ বছর
বয়সী সানা খান একটি হোঁচট খেলেন। যখন
তার প্রেমিক তাকে বললো, এ সম্পর্ক আর
এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। ছেলেটি একটি
টেক্সট করলেন, মোবাইল বন্ধ করলেন এবং
স্রেফ হারিয়ে গেলেন। দারুণ কষ্ট পেলেন
সানা। তবে মনের কথা লিখতে শুরু করলেন
একটি ডায়েরিতে। কাছের মানুষগুলোও লিখে
যেতে বললেন। লিখতে লিখতেই তিনি
আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে শুরু করলেন।
একসময় মনে হলো, সেই পরিস্থিতি থেকে
বেরিয়ে এসেছেন তিনি। যেন স্বাধীনতা ফিরে
এলো জীবনে। চারদিক থেকে অনুপ্রেরণা
সংগ্রহ করতে থাকলেন। এই লেখালেখি
সানার ক্ষেত্রে থেরাপির মতো কাজ করেছে।
তার অবচেতন মন পথ্য হিসাবে গ্রহণ করেছে
একে, জানান ড. চাব্রিয়া। প্রত্যাখ্যাত হলে
মনে যাবতীয় কথা লিখতে থাকুন।
৪. ঘুরতে যান, মজা করুন : ঘটনা ঘটামাত্র
উদ্যমী হয়ে ওঠুন। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা
দিন। ঘুরতে চলে যান। রেস্টুরেন্টে খেতে যান।
সাপ্তাহিক ছুটিতে দূরে কোথাও চলে যান।
বাড়িতেই মজার নানা কাজ করতে পারেন।
কোনো সদস্যকে নিয়ে খাওয়া-দাওয়ার
আয়োজন করুন। কাজিনদের নিয়ে ঘুরে
আসুন। আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান।
মোট কথা, প্রত্যাখ্যাত হওয়ার বিষয় নিয়ে
পড়ে থাকবেন না। আর মনে রাখবেন, কম
বয়সে এ ধরনের ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়তে
নেই। কারণ জীবনে এখনো বহু পথ বাকি।
টিনএজাররা প্রেমে জড়িয়ে খুব দ্রুত বিয়ে
করে ফেলেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়,
বয়স ৩০ পেরোনোর আগেই সম্পর্কের ইতি
ঘটে। কাজেই কম বয়সে সম্পর্কের বিষয়ে
এতটা সিরিয়াস হতে নেই।

কোনো রকম ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করবেন

টেকনোলোজি সম্পর্কিত নতুন নতুন আপডেট এবং ঈদের নতুন সকল এসএমএস পেতে ভিজিট করুন → Ictwap24.Com